চলমান ফ্যাসিস্ট রেজীম(Fasciest Ragime) বিরোধী ও গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দলন ও তার মূল্যায়ন

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৭:১১:১০ সকাল

আনু মুহাম্মদের চোখে (অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)চলমান ফ্যাসিস্ট রেজীম(Fasciest Ragime) বিরোধী ও গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দলন: প্রকৃতপক্ষে জনস্বার্থে কাজ করলে জনগণের ওপরই ভরসা করতে পারত সরকার, সভা-সমাবেশ, নির্বাচন—কোনো কিছু নিয়েই সরকারের ভয় থাকত না। কিন্তু সর্বজনের সম্পদ লুণ্ঠন ও দখলকেন্দ্রিক তৎপরতায় লিপ্ত থাকায় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের ওপর তার ভরসা নেই, তাই ভর করতে হচ্ছে বল প্রয়োগের ওপর। নিজের ক্ষমতাকে স্থায়িত্ব দেওয়ার বাসনায় সরকার হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। তার এ বেপরোয়া ভূমিকার কারণেই অগণতান্ত্রিকতা ডালপালা মেলছে, সমাজে খুঁটি গাড়ছে। দেশি-বিদেশি নানা স্বার্থগোষ্ঠী সুযোগ খুঁজছে আরও দখলদারিত্বের। বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবপ্রধানদের হুমকি পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। বস্তুত বর্তমানকে দখল করতে গিয়ে সরকার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে আরও ভয়ংকর পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

ফ্রেডারিক গ্রের চোখে (পরিচালক ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস) চলমান ফ্যাসিস্ট রেজীম(Fasciest Ragime) বিরোধী ও গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দলন: রাজনৈতিক সমস্যার অরাজনৈতিক সমাধান নতুন করে সমস্যার জন্ম দেয় ।

জাহিদ মালেকের চোখে (প্রতিমন্ত্রী,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ,ফ্যাসিস্ট রেজীম ) চলমান ফ্যাসিস্ট রেজীম(Fasciest Ragime) বিরোধী ও গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দলন: অবরোধের নামে নাশকতাকারীরা পশুর মতো কাজ করে যাচ্ছে। তাদের প্রতিরোধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে।

কামরুল ইসলামের চোখে (খাদ্যমন্ত্রী,ফ্যাসিস্ট রেজীম ) এ সমস্যা রাজনৈতিক নয়। এটা রাজনৈতিক সংকট নয়। এটা সন্ত্রাস অরাজকতা। এটা জনদুর্ভোগ। আলোচনার মাধ্যমে এর মীমাংসা করা যায়না। আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর ভূমিকা দিয়েই এর সমাধান করতে হবে।চলমান আন্দোলনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন অস্ত্র দিয়েই এ সন্ত্রাস দমন করা হবে এবং শিগগিরই দেশের পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।

ডা. শফিকুর রহমানের চোখে: (ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) ২০ দলীয় জোট ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে দেশের লাখ লাখ জনতা অংশগ্রহণ করে এ কর্মসূচিকে সফল করে তুলছে। অবরোধ কর্মসূচি এখন দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের অধিকার রক্ষার গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। সরকার ২০ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বানচাল করার হীনউদ্দেশ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারের দলীয় সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হাতেনাতে ধরা পড়ছে। পুলিশ প্রহরার মধ্যে যাত্রীবাহী বাসে, পুলিশের গাড়িতে হামলা সরকারি ষড়যন্ত্রেরই অংশ। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে মানুষের বাড়ি-ঘরে হামলা চালাচ্ছে সরকার। সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

রফিকুল ইসলাম মিঞার চোখে:( জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি) অত্যাচার নির্যাতন পাকিস্তান বাহিনীর চেয়ে বেশি কেউ করেনি। কিন্তু টিকতে পারেনি। এখন যারা বিএনপিকে সন্ত্রাসী বলতে চায় একদিন তারাই বিলীন হয়ে যাবে”।আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। তার আশা প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রাজনৈতিকভাবেই সমাধানের উদ্যোগ নিবেন।

বিষয়: বিবিধ

৮২৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

300745
১৯ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:৪১
রক্তলাল লিখেছেন : Right now, the situation is that it is a stand-off.

Your enemy will shoot and kill you unless you do the same on them.

So, our people will have to act now before another Shapla incident occurs!

We know what their plan is. we can not hesitate or step back now. we need to go forward and destroy our enemies before they are able to pull the triggers!

১৯ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:৫০
243304
আনিসুর রহমান লিখেছেন : First of all, What did present fasciest ragime Want:---
সরকারের দলীয় সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হাতেনাতে ধরা পড়ছে। পুলিশ প্রহরার মধ্যে যাত্রীবাহী বাসে, পুলিশের গাড়িতে হামলা সরকারি ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
Why did did they pursue terrorism because they want to proof this movement are not political movement. For example
কামরুল ইসলামের চোখে (খাদ্যমন্ত্রী,ফ্যাসিস্ট রেজীম ) এ সমস্যা রাজনৈতিক নয়। এটা রাজনৈতিক সংকট নয়। এটা সন্ত্রাস অরাজকতা। এটা জনদুর্ভোগ। আলোচনার মাধ্যমে এর মীমাংসা করা যায়না।
They put their all effort to proof that. for example according to ডা. শফিকুর রহমান---
সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
brother be carefull about their TRAP. Be patient, inshallah evil forceses should be down






300753
১৯ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:২৩
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : ষোল কোটি মানুষের এক কোটি মরলেও শাসন করার জন্য থাকে ১৫ কোটি। সুতরাং----
২০ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৬:১১
243390
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanks for your comments. Yes some of the people whom successfully hold the position of AL and they are try to established their bloody ideology by using AL. They dangerously thinking () like your prediction. As a result AL are going downwards not upwards.
300765
১৯ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই আন্দোলন এর কোন শান্তিপূর্ন সমাধান হবে বলে মনে হয় না। আওয়ামি লিগ যদিও কিছুটা ছাড় দেয়ও তার অতি অনুগত পুলিশ বাহিনি কিছুতেই দিবে না। কারন রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামিলিগ টিকে যাবে কিন্ত তারা যে পরিমান বাড়াবাড়ি করেছে তাদের প্রতি সাধারন মানুষের প্রচন্ড ঘৃনার সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন রাজনৈতিক দল ই মানুষের এই সেন্টিমেন্ট কে গুরুত্ব দিতে বাধ্য।
২০ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৬:২৪
243391
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanks for your comment. I am not agree with your view. Only four forceses have to power to control our political movement/power
1. Bangladesh Govt i.e. AL
2. Opposition party, i.e. 20 party allance
3. Bangladesh army ( due to very strong democratic awareness among the people, they are not interested in about power/politics)
4. International forces
as far as I know police are not responsible for Govt policy but they only responsible for the action which he/she done by unauthorize way.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File