যুক্তির বিপরীতে গালিগালাজ ও হুমকী ধমকি শুধু যুক্তিকেই প্রতিস্টা করে
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪৫:৩৩ রাত
এক সময়ের গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিন্তু বর্তমানে লেডী হিটলার খাত শেখ হাসিনার নেতৃতাধীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লিগের সামনে যে সত্য তার বিরুদ্ধবাদীরা তুলে ধরেছেন তার সারাংশ হলঃ—
১। বাংলাদেশ আওয়ামী শেখ মুজিবকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যাবহার করে ফায়দা নিছছে, যেরূপ ভাবে ধর্ম ব্যাবসায়ীরা “লাল সালু” কে ব্যাবহার করে মানুষকে প্রতারিত করে।
২। মুক্তি যুদ্ধের সময় শেখ মুজিব ম্যাটেরিয়ালিস্ট বর্বর পাক সেনাদের সাথে আপোষ করে পাকিস্তানের নিরাপাদ কারাগারে ছিলেন।
৩। শেখ মুজিব যে ৬ দফার ভিত্তিতে আন্দলন করে ছিলেন তা ছিল গনতান্ত্রিক পাকিস্তান প্রতিস্টার আন্দোলন, কখন –ই বাংলাদেশকে স্বধীন করার আন্দোলন নয়।
৪। শেখ মুজিব সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, যেখানে জুলফিকার আলী ভুটু চেয়েছিলেন শেখ মুজিব হোক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী আর সে হবে পসচিম পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী এবং সে জন্য শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ৭-ই মাচের ভাষণে “ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, বললেও তার বক্তব্য শেষ করে “ পাকিস্তান জিও” বলে। অথাৎ সে স্পস্ট করে বলেনি যে, এই এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, বলতে সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির কথা বুঝিয়েছে। কেননা “ পাকিস্তান জিও” বলে বক্তব্য শেষ করার অর্থ দারায়, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম অর্থ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও মুক্তি।
৫। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাংলাদেশী শাহাদাৎ বরন করলেও আওয়ামী লিগের কোন প্রথম সারির নেতা মারা যায়নি কেন!!
৬। বলা হছেছ বর্তমান আওয়ামী লিগের কান্ডারী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের স্বামী নাকি বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম চলাকালে পাকিস্তানের সামরিক জান্তার অধীনে একজন সরকারী চাকুরী করতেন এবং তার ছেলের (জয়) জন্ম হয়েছে পাকিস্তানের বর্বর বাহিনির হাসপাতালে!!!
৭ যেখানে এ, কে খন্দকার, কাদের সিদ্দিকী, জিয়াউর রহমান প্রমুখ ব্যক্তি বগ বাংলাদেশের ভিতরে থেকে নিজের জীবন বাজী রখে যুদ্ধ করেছেন, সেখানে আওয়ামী লিগের নেতারা ভারতের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে আরাম আয়েস করেছেন!!!
মুক্তিযুদ্ধের সাথে যারা ওতোপ্রত ভাবে জড়িত ছিল এমন কি খোদ আওয়ামীলিগার , আজকে এসে তারাই এই প্রশ্নগুল করেছে। শুধু তাই নয় তারা তাদের এই পেশ্নগুলর সমর্থনে প্রচুর প্রমান হাজির করেছে। কিন্তু এই প্রমানের বিপরীতে আমরা দেখছি যে
১। আওয়ামী লিগের তরফ থেকে গালিগালাচ ( রাজাকার, মুখ, মুখ জানোয়ার, পাগল, ছাগল ইত্যাদি) ও হুমকি ধামকি ( কেস কারা, হুলিয়া জারি করা, উত্তম মধ্যম দেউয়ার হুশিয়ারি ইত্যাদি)
২। আওয়ামী পন্থী বুদ্ধিজীবী মহল এর বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৈারব সুতরাং এ নিয়ে ঘাটা-ঘাটি করার দরকার নেই। সত্য হোক অথবা মিথ্যা হোক মুক্তিযুদ্ধের যে ইতিহাস আমরা জানি তা নিয়ে আমাদের সন্টুস্ট থাকা দরকার।
আমাদের বক্তব্য হল মুক্তিযুদ্ধ হল আমাদের গৈারব এবং এতে যারা প্রকৃত আবদান রেখেছে তাদের কথা, তাদের চিন্তা-ভাবনার কথা জানা আমাদের জন্য একান্ন্ত দরকার। কেননা আমাদের আগামী প্রজন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস না জানে তবে তাদের কাছ থেকে বেশী কিছু আশা করা ভুল হবে। পরিশেষে বলব যে জোরালো প্রমানের বিপরীতে গালিগালাচ কিংবা হুমকি ধামকি কিংবা সত্যকে আবিষ্কার করলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৈরব হানী হবে বলে পাশকাটিয়ে জাওয়ার অর্থই হল তদের অভিযোগ গুলকে সত্য বলে মেনে নেওয়া।
বিষয়: বিবিধ
১১২০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটার কোন সঠিক জবাব আওয়ামী লীগারদের কাছ থেকে পাবেন না ।
গালিগালাচ ও হুমকী ধমকি
মন্তব্য করতে লগইন করুন