তারেক রহমানের দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধের ডাক

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:১৩:৩৭ সকাল

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, একাত্তরে মুক্তিকামী জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকায় শেখ মুজিবের ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের খায়েশ পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, তেমনি সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে গণবিরোধী শেখ হাসিনারও তার পিতার মত অবৈধভাবে প্রধানমন্ত্রী থাকার স্বাদ মিটে যাবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য বিএনপির ৮ দিনের কর্মসূচির শেষ দিনে মঙ্গলবার ‘কনসার্ট ফর ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। লন্ডনের রয়্যাল রিজেন্সি হলে বাংলদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাসাস, যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এমএ সালাম। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। সভায় তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন বন্দি। এই বন্দি গণতন্ত্রের মুক্তির লড়াইয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণী-পেশা বিশেষ করে শিক্ষাবিদ, গবেষক, কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী ও সাস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, গবেষকদের সমাজের বাতিঘর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন অপশক্তির নানা অপবাদ কিংবা হামলা মামলার ভয়ে আপনারা চুপ করে বসে থাকলে র্যা বের বন্দুক থেকে হয়তো সাময়িক রক্ষা পাওয়া যাবে কিন্তু নিজের বিবেকের কাছে রেহাই পাবেন না। তারেক রহমান আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদার মুক্ত হয়েছিল। সম্পূর্ণভাবে শত্রুমুক্ত হয়েছিল। এখন ’৭১ এর সেই হানাদারদের সহযোগীদের কবলে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ’৭১ সালে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের মরণপন লড়াই যেভাবে শেখ মুজিবের ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ মিটিয়ে দিয়েছিল, বল বীর, বল উন্নত মম শীর ডাক দিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে গণবিরোধী শেখ হাসিনারও তার পিতার মত অবৈধভাবে প্রধানমন্ত্রী থাকার স্বাদ মিটে যাবে। তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিনসন স্কয়ার গার্ডেনে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে আর ছোট্ট পরিসরে হলেও এই আয়োজন গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মুক্তির এই আন্দোলনেও জনগণের বিজয় হবেই, ইনশাআল্লাহ। বিজয়োৎসবের দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দলের নিউ জার্সি সিটি কমিটির চেয়ার সোলায়মান সেরনিয়াবাদ প্রমুখ। রিজভী বলেন, বাংলাদেশি সংস্কৃতি এখন আগ্রাসনের শিকার। খুব সুকৌশলে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে। সোলায়মান সেরনিয়াবাদ বলেন, ২০১১ সালের ২৩ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি সিনেটে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত একটি রেজ্যুলেশনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, ২০১১ সালের ২৩ মে সিনেটের স্পিকার স্টিফেন সুইনী তৎকালীন বিরোধাদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিনেটে আমন্ত্রণ জানান। সিনেটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশ নারী শিক্ষা এবং বিভিন্নক্ষেত্রে তার নেয়া পদক্ষেপেকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়। সেই সময় সরকার এবং বিরোধী দলের প্রতিটি সিনেটরের ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে এই রেজ্যুলেশনটি পাস হয়। সোলায়মান সেরনিয়াবাদ বলেন, নিউ জার্সি সিনেটের ১৬৭ বছরের ইতিহাসে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো নেতাকে এ ধরনের বিরল সম্মাননা প্রদান এটাই ছিল প্রথম। এরপর তিনি রেজ্যুলেশনের একটি কপি তারেক রহমানের হাতে তুলে দেন। অঅর ক্রেস্টের একটি কপি বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রিজভী আহমদের হাতে তুলে দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব আশিক ইসলাম। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কনসার্টে অংশ নেন বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় শিল্পীরা। গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী রিজিয়া পারভীন, মনির খান এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তাসবীর চৌধুরী শিমুল এবং ফয়সল চেীধুরী।

১০০% কপি-পেসট

বিষয়: বিবিধ

৮৩৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

295460
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৫
মোহাম্মদ গোলাম ছাকলাইন লিখেছেন : মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস উদঘাটিত হোক।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩
238962
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Yes all Bangladeshi people want this like you except BAL. Because they use ourমুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস as a political weapon to get the power.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File