প্রতারনা (cheating) নাস্তিক-মুরদাত ও ইসলাম বিরোধী শক্তি স্টাইল(গুমর ফাঁশ -বিশ্লেষণ ) ১১
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩৬:৪৩ দুপুর
আমরা পূর্বে বলে ছিলাম যে অপরাধী ও নিরপরাধী ব্যাক্তির মধ্যেকার পাথ্যক বুঝার জন্য, ব্যাক্তির আচার-ব্যাবহার, আসিড – ক্ষারের নিশ্চিত টেস্ট, লিটমাস টেস্টের মত একটি গুরুত্বপুন ফ্যাক্টর; যার সাহায্য নিয়ে আমরা সহজে বলে দিতে পারি কে অপরাধী আর কেইবা নিরঅপরাধী। ভিসি মান্নান সাহেবের লেখার উপর ভিত্তি করে, একটি ট্রাক টেবিল() তৈরি করে পরিষ্কার ভাবেই দেখিয়ে ছিলাম যে দুই যুদ্ধাপরাধী প্রিব ও হেস এর সাথে অধ্যাপক গোলাম আযমের(রহম) পাথক্য বিরাট বিশাল। অবশ্য ভিসি মান্নান সাহেবও নিজের অজান্তে এ কথা তার নিবন্ধে স্বীকার করে নিয়েছেন।( এই তিনজন অপরাধীর মধ্যে এক জায়গায় মিল আছে আর তা হচ্ছে, তাঁরা কেউ কখনো তাঁদের কৃত অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাননি। ---- ভিসি মান্নান।) অথাৎ তিনি এই দুই অপরাধীর সাথে নিরপরাধী গোলাম আযমের শুধু মাত্র এক জায়গায় মিল খুজে পেয়েছেন, তা হল দোষ স্বীকার না করা। আর এটা যে কোন মিল নয় বরং দুই জন অপরাধীর সাথে এক জন নিরপরাধী ব্যাক্তকে গোলেমালে এক করে অপরাধী প্রমান করার ব্যাথ চেষ্টা ভিন্ন আর কিছু নয়, এ কথা বুঝার জন্য খুব বেশী বুদ্ধির দারকার পড়ে না। সুতরাং গোলাম আযমের আচার-ব্যাবহার, যা কিনা, আসিড – ক্ষারের নিশ্চিত টেস্ট, লিটমাস টেস্টের মত একটি গুরুত্বপুন ফ্যাক্টর; তার সাহায্য নিয়ে আমরা স্পস্টতই দেখে পারছি যে তার ও অপরাধীদের মধ্যে ব্যাবধান আকাশ-পাতাল এবং তার বিরুদ্ধবাদীদের দারা অপপ্রচারের কোন বাস্তব ভিত্তি নেই, এক্ষেত্রে তা ব্যাখা করে বুঝানোর দরকার পড়ে না, কেননা তার চরিত্র, আচার, ব্যাবহার-ই আমাদের দুই চোখে আঙ্গুল দিয়ে জানান দিছে যে, সে ব্যাক্তি হিসাবে কেমন? কেন সে ইসলাম বিরুদ্ধী শক্তির দ্বারা বার বার আক্রান্ত হয়েছে? কেন তার বিরুদ্ধে এত অপপ্রচার?
অপর দিকে আমরা অধ্যাপক গোলাম আযমের চরিত্র এবং আচার ব্যাবহারকে আল্লাহর () নেক্কার বান্দাদের যেমন, ইমাম আবু হানিফা(), শাইখুল ইসলাম ইবন ত্যাইমিয়া() সাথে তুলনা মূলক বিচার বিশ্লেষণ করে দেখিয়ে ছিলাম যে অদ্ভত মিল। যেমন, তারা সবাই এক আল্লাহ প্রেমিক ছিলেন, সকলেই বাতিলের বিরুদ্ধে লড়েছে। প্রত্যেকেই শত ভয়ভীতি, নিপীড়ন, নির্যাতন ও প্রলোভনের কাছে কখনও মাথা নত করেনি কিংবা আপোষ রফা করেনি। তারা সকলেই ছিল কুরআনের জ্ঞানের আলোকে আলকিত এবং তাদের এই জ্ঞানের স্বাক্ষর বহন করে চলেছে তাদের লিখিত বিভিন্ন বই। তদের সকলেরই রয়েছে বিশ্ব ব্যাপি লক্ষ লক্ষ অনুসারি যারা তদের জ্ঞানের দ্বারা উপকার লাভ করেছে, আল্লাহ() ও তার রসুল() জানতে, বুঝতে ও কুরআন ও সুন্নার নিদেশনাবলী তাদের জীবনে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে। আল্লাহ() এরূপ প্রিয় বান্দাদের জীবনে এরূপ বালা মসিবদ আপতিত হওয়ার কারন সম্পকে সাদাকা রসুল() বলেন; সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস() থেকে বনিত। আমি(সাদ) রসুল()কে জিজ্ঞেস করি, কোন লোকের উপর সর্বাধিক বিপদ নাযিল হয়? জবাবে আল্লাহর() রসুল() বললেন, প্রথমে আম্বিয়ায়ে কেরাম (নবী-রসুলগন), তারপর ক্রমানুসারে অন্যান্য নেক বান্দাগন। প্রত্যেক ব্যাক্তিকে তার দ্বীনদারীর অবস্তা অনুসারে পরীক্ষা করা হয়। কেউ যদি দৃঢ় ও শক্ত ঈমানদার হয়, তার পরীক্ষা ও শক্ত ও কঠোর হবে। কারু দ্বীনদারী (ঈমান) হলকা পাতলা হলে, তার পরীক্ষাও সেরকমেরই হবে। (ইবনে মাজাহ, তিরমীযী)
গোলাম আযম () তার ঈমানের পরীক্ষায় দৃঢ়তার পরিচয় রেখে গেছে নাস্তিক মুরদাত ও ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির মোকাবেলা করে ।এখন সমনে আমাদের পালা। নাস্তিক মুরদাত ও ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির অপপ্রচার দ্বারা আমরা বিভ্রান্ত হবো কি হবো না সেটা আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপুন; অথাৎ আমাদের সমনে যে ছোট খাটো ঈমানের পরীক্ষা উপস্থিত, তাতে আমরা কতটা দৃঢ়তার পরিচয় দিতে পারবো সেটাই দেখার বিষয়। আর এতে গোলাম আযম() কোন লাভ ক্ষতি নেই, যা লাভ ক্ষতি তা আমাদের।
বিষয়: বিবিধ
১০০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন