প্রতারনা (cheating) নাস্তিক-মুরদাত ও ইসলাম বিরোধী শক্তি স্টাইল(গুমর ফাঁশ -বিশ্লেষণ ) ১০
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:১২:৩০ বিকাল
গোলাম আযম (রহম) মত আল্লাহ প্রমিক, জন কল্যাণে নিবেদিত প্রান ও বাতিলের বিরুদ্ধে আপসহীন এক জন সিপাহসালার এর কর্ম পন্থা বুঝতে হলে, দুই জন ঘৃন অপরাধীর সাথে তুলনা করে কিছুই বুঝা যাবে না বরং বিরাট ভুল বুঝা-বুঝির সম্ভবনা রয়েছে। বস্তুত এতদিন ধরে ভিসি মান্নানের মত তার বিরুদ্ধবাদীরা, তার সম্পকে মানুষের জানার সীমাবদ্ধতাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যাবহার করে, তার বিরুদ্ধে মানুষকে বিভ্রান্ত করে; বিভিন্ন ভুয়া অভিযোগ দারা করিয়ে ছিল। তাই প্রকৃত ঘটনা বুঝার সুভিদাথে এখানে আমরা এমন কয়েক জন মহান ব্যাক্তির কথা আলোচনা করবো যাদেরকে আমরা সবাই চিনি, যাদের জ্ঞানের আলো আজও আমাদের পথ দেখায়, যাদের জীবন ও কর্ম পন্থা , বাতিলের বিরুদ্ধে সংগ্রমে আমাদের জন্য অনুপেরনার উৎস।
ইমাম আবু হানিফা(রহম) এই মহান ইমাম, ইমামে আযম বা বড় ইমাম নামে পরিচিত। তিনি হানিফি মাযহাবের প্রতিষ্ঠিতা। হক ও বাতিলের লড়ায়ে তিনি ছিলেন এক জন আপোষহীন যোদ্ধা ও বিখ্যাত ইসলামী ফিকহবিদ। হিজরি ১৪৬ সনে তৎকালীন যলিম শাসক মুনসুর এই মহান ব্যাক্তিকে জেলে পুরে শুধু মাত্র এই জন্য যে, এক ইমাম আবু হানিফা এই বক্তব্য দিতে অস্বীকার করে যে , “ সে (মুনসুর) এক জন হক পন্থী শাসক। দুই ঐ জালেমশাহীর অধিনে তার (আজ্ঞাবহ ) প্রধান বিচারপতির পদ গ্রহণ করতে অস্বীকার। ঐ জলিম শাসক শুধু তকে জেলে পুরেই ক্ষান্ত হননি তাকে বেত্রাঘাতও করে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এমন কি ঐ জালিম শাসক তার কাজের জন্য ইমামের কাছে অনুতাপ প্রকাশ করে ও অনেক টাকার প্রলোভন দেখিয়েও ব্যথ হয় এবং অবশেষে ইমামাকে বিষ প্রোয়গে হত্যা করে। জালিমশাহীর কোন অন্যায় আবদারই এই নিভিক ইমাম মেনে নেননি ফলে তাকে ভোগ করতে হয় জেল-জুলুম নিপিরণ নির্যাতন। জালেম শাহী কতৃক অপপ্রচার ও জুলুম নির্যাতন সত্বেও ইমামের সুখ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তার প্রমান মেলে তার মৃত্যুর পর হাজার হাজার লোকের তার জানাজায় অংশ গ্রহণ এর মধ্য দিয়ে। আজকে আমরা দেখি যে ইমাম আবু হানিফার রয়েছে বিশ্ব ব্যাপি লক্ষ লক্ষ অনুসারি যারা তার জ্ঞান থেকে উপকার পাচ্ছে; অপর দিকে জুলুমশাহী মনসুরকে চিনে খুব অল্প সংখ্যক লোক।
সাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়াহ(রহম) ইসলামের ইতিহাসে যে অল্প সংখ্যক মুজাদ্দিত সমাজে ইসলামের নামে অথচ ইসলাম বিরোধী প্রচলিত ভ্রান্ত ধর্ম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জনতাকে সচেতন করার জন্য আজীবন যুদ্ধ করে গেছেন তার মধ্য অন্যতম ইমাম ইবন ত্যাইমিয়াহ(রহম)। তার ঈমানী আন্দলোন, সমাজিক ভাবে প্রতিস্টিত ও ইসলামকে ব্যাক্তি স্বাথে ব্যাবহার কারী আলেম-ওলেমাদের স্বার্থ বিরোধী হওয়ায়, তাদের অনেকেই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষরযন্ত্রে লিপ্ত হয় ফলে তাকে বার বার জেলে যেতে হয়। সাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়াহ (রহম) এর বিরোধীতাকারীদের সম্পকে আল হুদাইফা আল বাজার (রহম) বলেন, “তুমি ইবন তাইমিয়াহ (রহম) বিরোধীতা কারীদের মাঝে কোন আলেমকে খোঁজে পাবে না, শুধু মাত্র তারা ব্যাতিত যারা দুনিয়ার অথ কড়ি, ধন-সম্পদ, পদ-পদবী এর প্রতি অত্যন্ত লোভী, দুনীয়ার মানসম্মান, পদ-পদবী অর্জন করার জন্য লালায়িত।------- ফলে তাদের জিহবা মিথ্যা বলে (Al-A laam al-Uliyyah , by al-Bazzaar; 82). স্বাথবাদী মহলের বিভিন্ন মুখী ষড়যন্ত্রের ফলে শেষ জীবনে তকে শুধু যে জেলে থাকতে হয় তাই নয়, ষরযন্ত্রকারীরা যাতে সে তার জ্ঞানকে জনতার মাঝে প্রচার করতে না পারে তারও ব্যাবস্থা করে। ফলে ইবন তাইমিয়া তার জ্ঞান কাগজ পত্রের অভাবে, জেল খানায় লিখে রেখে যান। ইমাম আবু হানিফার ()মত সাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়াহ(রহম)ও জেল জুলুম নির্যাতন ভোগ করেন এবং শত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র সত্বেও তার সুখ্যাতি দেশ- বিদেশে ছিরিয়ে পড়ে তার প্রমান মিলে মৃত্যুর পর তার জানাজায় হজার হজার লোকের (প্রায় দুই লক্ষ) অংশগ্রহণ এবং তার জ্ঞান ভন্ডার থেকে আজও উপকৃত হচ্ছে আলেম- অলেমা সহ লক্ষ লক্ষ মুসলিম।
এই ভাবে যদি আমরা আল্লাহ() নেক বান্দাদের জীবন চরিত আলোচনা করি তবে দেখবো যে, তারা সর্বদা বিভিন্ন ধরনের বিপদআপদ, বলা মসিবত ও অপপ্রচারকে মোকাবেলা করেই এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। অধ্যাপক গোলাম আযম (রহম) জীবন চরিত আলোচনা করলে আমরা দেখি একই ঘটনার পুনরাবৃতি। তিনি একটি ইসলাম বিদেশী পরিবেশে, পাশ্ববতী একটি শক্তিশালী দেশের সহায়তায় তার বিরুদ্ধবাদীদের দারা আক্রান্ত হন নির্মম ভাবে; তার বিরুদ্ধে তৈরি করা হয় মিথ্যা অভিযোগ, যাতে মানুষ তার দীনের দাওয়াত গ্রহণ না করে। তাকেও ভোগ করতে হয় জেল-জুলুম, নিপীড়ন- নির্যাতন। এমন কি ঐই কুরআন প্রিয় মানুষটিকে তার প্রিয় কুরআনকে যাতে জেল খানায় বসে পরতে না পারে তার ব্যাবস্থা করে জুলুমশাহী। একটি বিদেশী শক্তির সহায়তায় তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয় নাস্তিক-মুরতাদ’দের। তার পক্ষে দেশ-বিদেশে কয়েক হাজার লোক সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত থাকা সত্বে ক্যাঙ্গারু কোট অনুমতি দেয় মাত্র এক জনকে!!! ম্যাটেরিয়ালিস্ট বর্বর পাক বাহিনী ছিল তখন অন্য সব সামরিক যান্তার মত এক চাটিয়া সুপিরিয়র কমান্ডের পজিশনে, এটা ছিল সকলের কাছে দিবা লোকের মত স্পস্ট ও পরিষ্কার অথচ ফ্যাসিস্ট রেজীম কতৃক প্রতিস্টত ক্যাঙ্গারু কোট বলছে ভিন্ন কথা!!!! কেননা এটাই ছিল তাদের কাছে একমাত্র উপায় তার মত একজন নিরপরাধ লোককে জেলে পুরার। অধ্যাপক গোলাম আযম (রহম) ক্ষেত্রেও আমরা একই ভাবে দেখি যে এত জেল-জুলুম, নিপীড়ন- নির্যাতন ও অপপ্রচার সত্বেও তার সুনাম দেশ-বিদেশ ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর সর্ব প্রান্তের মুমিনরা তার জনাজায় অংশ নেয় ও বিশ্ব খ্যাত অলেম- ওলেমারা তার জন্য দোয়া করে। এক জন মুমিনের জন্য এর চেয়ে বড় চাওয়া আর কিইবা থাকতে পারে।
চলবে---
বিষয়: বিবিধ
১১৮৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চালিয়ে যান।
মিথ্যা দিয়েই তারা নিজেদের কে মনে করে অনেক কিছু।
মন্তব্য করতে লগইন করুন