প্রতারনা (cheating) নাস্তিক-মুরদাত ও ইসলাম বিরোধী শক্তি স্টাইল(গুমর ফাঁশ -বিশ্লেষণ ) ৯
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:৩৭:১৬ সকাল
অপরাধী ও নিঃরপরাধী ব্যাক্তি মধ্যে থাকে চরিত্রগত, আদর্শগত, চিন্তা-চেতনা ও ব্যহিক আচার- ব্যাবহার গত বিরাট পাথাক্য। অপরাধীরা সধারনত যখন তাদের হাতে প্রচুর ক্ষমতা থাকে তখন ধরাকে সরা জ্ঞান করে মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করে এবং এ জন্য তাদের কোন অনুসচনা হয় না। কিন্ত যখন-ই ক্ষমতা হারায় তখন ঐ জুলুম নির্যাতনের ফলাফল এর কথা ভেবে সধারনত মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরে যা তাদের আচার ব্যাবহার দারা বুঝা যায় পরিষ্কার ভাবে অর্থাৎ তারা তাদের দ্বারা কৃত অপরাধ স্বীকার করুক অথবা না করুক তাতে কিছু আসে যায় না কেননা তাদের আচার আচরণই আমাদের বলে দেয় তারা অপরাধী। যেমন যুদ্ধাপরাধী রুডলফ হেস, তার অপরাধের কথা ভেবে অনুশ্চনায় অবশেষে, ১৯৮৭ সালের ১৭ আগস্ট কারাগারে আত্মহত্যা করেন। অপর যুদ্ধাপরাধী প্রিব, তার কৃত অপরাধের কথা ভেবে বিচারের আগেই পালিয়ে আন্তরক্ষা করতে চেয়ে ছিলেন। বস্তুত অপরাধীদের অচরনগত এই পার্থক্য বুঝতে হলে আমাদের অত দূরে যাওয়ার দরকার নেই, আমাদের দেশেই রয়েছে এর ভুরি ভুরি উদাহরণ। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় আওয়ামী লীগ নেতা শামিম উসমানের কথা। সে সময়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন হেরে যাওয়ার সাথে সাথে সে তার কৃত অপরাধের কথা ভেবে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় পালিয়ে যায়।
অপরাধীদের এই আচার- আচরণ এর পাশাপাশি আমরা যদি নিরপরাধ অধ্যাপক গোলাম আযম(রহম) এর আচার- আচরণ, তুলনা করি তবে পরিষ্কার ভাবেই দেখবো যে, পার্থক্য বিরাট- বিশাল। যেখানে আমরা দেখি অপরাধীরা পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করতো চেস্টা করে সেখানে আমরা দেখি অধ্যাপক গোলাম আযম(রহম) পালানোর সুযোগ থাকা সত্বেও দেশ গড়ার কাজে অংশ নেওয়ার জন্য বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসার জন্য চেষ্টা করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রধান যুদ্ধাপরাধী রুডলফ হেস এর নেতা রুডলফ হিটলার ক্ষমতা হারানোর পর নিজের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে এতটাই ভেঙ্গে পরে যে, সে পালানোর পরিবতে অত্নহননের পথকে বেছে নেয়। সাধারণত কোন অপরাধীই তার ভুল স্বীকার করে না কিন্তু তাদের আচার-ব্যাবহার দ্বারা পরিষ্কার ভাবেই আমরা বুঝতে পারি যে তারা অপরাধী ছিল বা অপরাধী। অপর দিকে ভাল লোকের ক্ষত্রেও আমরা তার আচার-ব্যাবহার পর্যবেক্ষণ করে বলে দিতে পারি তারা ভাল লোক, এ ক্ষত্রে তার বিরুদ্ধবাদীরা তার বিরুদ্ধে যতই মিথ্য অভিযোগ অনুকনা কেন তাতে কিছু এসে যায় না। কেননা তারা জানে সময়ের সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হরে। আর এ ক্ষেত্রে “ আচার- আচরণ” লিটমাস টেস্ট এর মত নির্ভুল ভাবে বলে দিবে কে অপরাধী এবং কে নিরপরাধী। অধ্যাপক গোলাম আযম(রহম) ক্ষত্রে আমরা দেখি পালানোর সুযোগ থাকা সত্বেও বরং দেশ গড়ার কাজে অংশ নেওয়ার জন্য বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসার জন্য চেষ্টা করেন। তিনি এক জন ইসলামী নেতা /আলেম-ওলেমা হওয়ায় তার পক্ষে অতি সহজেই একজন সস্মানিত মেহমান হিসাবে মুসলিম দেশে থাকা সম্ভব ছিল কিন্তু তিনি বাংলাদেশকে ভালবেসে এ দেশে দীন প্রতিস্টার জন্য নিজের সমস্ত আরামকে হরাম করে নিয়েছিলেন। তার পথের অনুসারিরাও তার মত পালিয়ে থাকাকে ঘৃনা মনে করেছে উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মীর কাসেম আলীর কথা, তাকে অন্যায় ভাবে জলে ঢুকানোর কিছু দিন পূর্বে সে যখন আমেরিকা যায় তখন বর্তমান ফ্যাসিস্ট রেজীমের সমর্থনকারী কিছু কিছু পত্রিকা বলে ছিল মীর কাসেম আলী পালিয়েছে বিন্ত বাস্তবে দেখা গেল নিতিও গোলাম আযমের মত সত্যকে মোকাবেলা করার জন্য দেশে ফিরে আসেছেন।
সুতরাং আমরা পরিষ্কার ভাবে দেখছি যে যুদ্ধাপরধী প্রিব, হেস এর সাথে নিরপরাধ অধ্যাপক গোলাম আযম(রহম) মধ্য পাথক্য বিরাট বিশাল ( পরে বিস্তারি লিখবো)।অথচ ভিসি মাননান সাহেব নাকি কোন পাথক্য খুজে পান না। এটা কে চোখ থাকতে ও কানা ছাড়া আর কিবা বলা যায়। নাকি ব্যাক্তিগত সুযোগ সুভিদার জন্য এরূপ বলছেন তা হয়ত ভবিৎষতে জানা যাবে।
চলবে---
বিষয়: বিবিধ
১০৮৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন