প্রতারনা (cheating) নাস্তিক-মুরদাত ও ইসলাম বিরোধী শক্তি স্টাইল(গুমর ফাঁশ -বিশ্লেষণ ) ৭
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ০৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:৩৯:০০ রাত
আমরা এখন দেখবো, আবদুল মান্নান: সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তার নিবন্ধে প্রকৃত পক্ষে কি বলতে চেয়ে ছিলেন এবং কেন? তার লেখা পরে আমার মনে হয়েছে এ বিষয়টি লেখার ব্যাপারে তার ব্যাক্তিগত আগ্রহ বলতে কিছু ছিল না। বরং সে কারো অনুরোধ অথবা নিজের ব্যাক্তিগত সুযোগ সুভিধা নেওয়ার এটা লিখেছিল। কেননা সে এখানে দায়-সায় গুছের লেখা লিখতে যেয়ে যে সত্য তথ্যগুল তুলে ধরেছে তা মূলত; এ লেখার মধ্য দিয়ে সে যে মিথ্যকে সত্য বলে প্রতিস্টত করতে চেয়ে ছিল, তার পক্ষে না যেয়ে বরং বিপক্ষে যায়। প্রশ্ন হল সে কোন মিথ্যাকে সত্য হিসাবে প্রতিস্টা করতে চেয়ে ছিল। হ্যা সে বিশ্ব খ্যাত অসাম্যান্য নেতৃত গুন সম্পন্ন, মুসলিম বিশ্বের এক জন সস্মানিত ব্যাক্তি অধ্যাপক গোলাম আযমকে অপরাধী হিসাবে প্রমানের ব্যাথ চেস্টা করছিলেন। কেন এবং কারা তাকে ঐই অপকর্মটি করতে নিয়োগ করে ছিলেন। সে বিষয়ে পরে বিস্তারিত লিখবো।
প্রথমত ইসলাম বিরোধী নাস্তিক-মুরদাত শক্তি, পাশ্ববতী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় কয়েক ধাপে, বাংলাদেশী মানুষের মনে এ কথা দৃঢ় ভাবে গেঁথে দিতে সমথ হয় যে, যারা ইসলামী খেলাফতের কথা বলে বা ইসলামী বিধিবিধান (Islamic Rules & Regulation/Sharia ) ব্যাক্তি জীবনের গণ্ডী পেরিয়ে সমাজিক ভাবে কায়েমের কথা বলে তারা সবাই বাংলাদেশ বিরোধী তথা রাজাকার।
দ্বিতিয় ধাপে তারা ঐ ইসলাম পন্থীদের উপর বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ আনে, যেমন, হত্যা, গনহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ, কুরআন পুরানো এমন কি ধর্ষণ এর মত অভিযোগ(!!)। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হ’ল, তাদের আক্কেল মাকা বুদ্ধিতে নয় বরং পাশ্ববতী দেশের ঐ গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় তারা এই মিথ্যা অভিযোগ গুলও বাংলাদেশী মানুষের মনে এ কথা দৃঢ় ভাবে গেঁথে দিতে সমথ হয় যে, ইসলাম পন্থীরা আসলেই এ ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িত ছিল !!
তাদের এই সাফল্য –ই তাদেরকে ইসলাম পন্থীদেরকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে উৎসাহিত করে। ফলে তারা ICT সহ বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেয় ও প্রচারণা শুরু করে। উদ্দেশ্য একটাই এই নিরপরাধ ইসলাম পন্থীদেরকে দুনিয়া সরিয়ে দিয়ে জনগণকে বুঝানো যে তারা কোন নিঃরপরাধী নয় বরং অপরাধীকে ফাসি দিয়েছে। আপাদ দৃষ্টিতে বিষয়টি অত্যান্ত সহজ মনে হলেও এ ক্ষেত্রে তাদের পরিকল্পনায় বর ধরনের কিছু ভুল থকায়, তারা প্রথম দুই ধাপের মত এই ধাপে সাফল্য পেতে ব্যাথ হয় । এই ব্যথতা তাদের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনে। এবং তাসের ঘরের মত তাদের অনেক দিনের চেষ্টার ফলে প্রতিস্টিত মিথ্যাটা ভেংগে সত্য প্রকাশিত হয়ে পরে।
বুঝার সুভিদাথে ইসলাম বিরোধী শক্তি কতৃক প্রচারিত ও ব্যাপক ভাবে ভুয়া রেফারেন্স ব্যাবহিত এবং বতমানে এসে তা তাসের ঘরের মত ভেংগে পরা ঐ মিথ্যাগুল অতি সংক্ষিপ্তকারে:------
ইসলাম পন্থীরা ইসলামের কথা বললেও তারা ইসলাম সম্পর্ক কিছু জানে না!!! ( তবে জানে কারা?)
ইসলাম পন্থীরা দেশের ভিতরে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলতে খুন – খামারি, মারা-মারি কাটা-কাটি সহ সকল ধরনের অপরাধে জড়িত।
ইসলাম পন্থীরা যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত।
ইসলাম পন্থীরা মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত।
ইসলাম পন্থীরা সবধরনের অপরাধে অপরাধী
কিন্তু অজকের বাস্তবতা হল তাদের অনিত এ সকল মিথ্য অভিযোগ গুল যে ,মানুষকে ধোকা দেওয়ার চেস্ট ছাড়া আর কিছু নয় তা
জনতা বুঝে গেছে। ফলে তাদের হাতে এখন একমাত্র একটি টার্ম কাড আছে। আর সেটা হল নিঃঅপরাধি ইসলাম পন্থীদের দিয়ে ছলে,
বলে, কৌশলে এ কথা স্বীকার করিয়ে নেওয়া যে (তারা কোন অন্যায় কাজে জড়িত না থাকা সত্বেও) তারা অন্যায় কাজে জড়িত ছিল
এবং তারা অপরাধী!!!!!! শুধু তাই নয় গোলাম আযম ক্ষত্রে তাদের এই চেষ্টা ব্যাথ হওয়ার পর তার ছেলেকে দিয়ে এ কথা বলানোর জন্য
চালিয়ে যাচ্ছ যে তার বাবা অপরাধী ছিল!!!! অবিশ্বাস হলেও সত্য, ইসলাম বিরোধী পত্রিকা প্রথম আলো (May be this light came from IBLIS straight way) এটা প্রতিস্টার জন্য অবিরত
ঘৃন চেষ্টা –প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার জ্বলন্ত প্রমান আবদুল মান্নান, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিবন্ধ।
চলবে------
বিষয়: বিবিধ
১৩১৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন