সাংবাদিকরা বদমাইশ চরিত্রহীন লম্পট, এদের রুদ্ধ করতেই নীতিমালা করা হয়েছে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১০ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:৫৩:৩৮ সকাল

সাংবাদিকদের বদমাইশ, চরিত্রহীন ও লম্পট বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী।গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে সিলেট বিভাগীয় আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি সাংবাদিকদের সম্পর্কে এমন অশালীন মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিষোদগার করেন। মঞ্চে ওঠে মাইক হাতে নিয়েই তিনি সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের নির্দেশ দেন। কিন্তু পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে সাংবাদিকরা স্থান ত্যাগ না করায় মন্ত্রী তার বক্তৃতায় সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় বিষোদগার করেন।

এ সময় সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের ঠিক করতে নীতিমালা হয়েছে। ওই দিন কেবিনেট মিটিংয়ে আমি থাকলে সাংবাদিকদের ...... (অশালীন শব্দ) দিয়ে বাঁশ ঢুকাতাম। সাংবাদিকদের এখন এমনভাবে ঠিক করা হবে যাতে নিজের স্ত্রীকে পাশে নিয়েও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। সাংবাদিকরা বদমাইশ, চরিত্রহীন, লম্পট।’

বক্তব্য চলাকালে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।

এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে হট্টগোল শুরু হলে মহিলা সাংসদ কেয়া চৌধুরী ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে হাত জোড় করে মাফ চান। কিন্তু সমাজকল্যানমন্ত্রী তার অশ্লীল বক্তব্য চালিয়ে গেলে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বয়কট করে চলে আসেন।

মন্ত্রিত্বের পরোয়া করেন না এমন দম্ভোক্তি করে মহসিন আলী বলেন, মন্ত্রীত্ব থাকলেই কী, আর না থাকলে কী? জনগণ আমাকে ভালোবাসে, আমিও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে চাই।

সাংবাদিকরা অল্পশিক্ষিত বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, আমার মেয়ে সাংবাদিকতায় মাস্টার্স পাস। আর যারা পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তারা দু’-এক কলম পড়ালেখা করেছে। আমি বলি একটা, তারা লেখে আরেকটা। দুই টাকা খেয়ে তারা আমার ... (অশালীন শব্দ) দিয়ে বাঁশ ঢুকাতে চায়। আমার শ্বশুরবাড়ি সিলেটে। সাংবাদিকদের পেছনে সিলেটের মানুষ লেলিয়ে দিতে আমার সময় লাগবে না। সাংবাদিকরা আমার ... (অশালীন শব্দ) ছিঁড়তে পারবে না।

আদিবাসী নেতা গৌরাঙ্গ পাত্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, নারী সাংসদ কেয়া চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও আদিবাসী নেতা একে শেরাম প্রমুখ।

বিষয়: বিবিধ

১০৫১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

252782
১০ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:২২
শেখের পোলা লিখেছেন : হয়তবা কারো পায়ে ছেঁড়া জুতা থেকে থাকবে, কিন্তু ব্যবহার হয়নি জুতার সম্মানের কথা চিন্তা করে৷
১০ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
196982
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanks for your comment. I am agree with you. But its also clearly show us that how bloddy the present bangladeshi regime are and their oppresive policy are?
252799
১০ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:২৪
হামিদাখানম লিখেছেন : একজন মন্ত্রী একটা দেশের অভিভাবক। কাজেই মন্ত্রীদের আচার-আচরণ ও ভাষা মার্জিত ও রুচিশীল হওয়া বাঞ্চিত।
১০ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
196985
আনিসুর রহমান লিখেছেন : I think your comment is only applicable for any legal regime. But we can not expect any good gesture from present illegal oppressive bangladeshi fasciet regime.
252820
১০ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২০
হতভাগা লিখেছেন : সাংবাদিকদেরকে এর চেয়ে বেশী ভদ্রভাবে সম্বোধন করা যায় না ।

মহসিন আলীকে বাহবা দিতে চাই সাংবাদিকদের এতটা সন্মান দেবার জন্য যার যোগ্য আসলেই সাংবাদিকরা কি না সন্দেহ আছে ।
১০ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:১৫
196989
আনিসুর রহমান লিখেছেন : মহসিন আলীকে বাহবা দিতে চাই, কারন
১।সাংবাদিকদের বদমাইশ, চরিত্রহীন ও লম্পট বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। ( গিবত, গালিগালাচ)
২।মঞ্চে ওঠে মাইক হাতে নিয়েই তিনি সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের নির্দেশ দেন (হুমকি, বল পরয়োগ,in one words perfect represent the present fasciest regime)
৩. আমার শ্বশুরবাড়ি সিলেটে। সাংবাদিকদের পেছনে সিলেটের মানুষ লেলিয়ে দিতে আমার সময় লাগবে না (openly ভারাটিয়া গুনডা লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি)
দুই টাকা খেয়ে তারা আমার ... (অশালীন শব্দ) দিয়ে বাঁশ ঢুকাতে চায়। ( clearly show his family background and education)
bla bla bla
মহসিন আলীকে represent nothing but bloddy stupid fascist regime.


মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File