লন্ডনে আইনজীবীদের সেমিনারে বক্তারা : ঐতিহাসিক সত্য জিয়াই প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ৩১ মার্চ, ২০১৪, ০৬:০১:৪২ সকাল

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশেরও প্রথম রাষ্ট্রপতি। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান জাতিকে একটি কমন আইডেন্টিটি প্রদানকারী করে গেছেন। শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রতিনিধি তারেক রহমান এ সত্যটি জাতিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যে বসবাসরত আইনজীবীরা ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান : ঐতিহাসিক সত্যতা ও ভিত্তি’ শীর্ষক এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে একথা বলেন। ব্যারিস্টার আবুল মুনসুর শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, শেখনিউজ ডটকমের প্রধান সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, দৈনিক আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি অলিউল্লাহ নোমান, সাবেক ছাত্রনেতা নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, মানবাধিকার সমন্বয়ক মুনাওয়ার বদরুদ্দোজা, ব্যারিস্টার মুজিবর রহমান, ব্যারিস্টার আনোয়ার আহমেদ চৌধুরী, আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্দোলন নেতা এমএস আজাদ, অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার, ছাত্রনেতা রাজীব আহমেদ, ব্যারিস্টার সুবেহ সাদেক, অ্যাডভোকেট শাহীনুর আলম, অ্যাডভোকেট রনি, অ্যাডভোকেট হাসানাত, অ্যাডভোকেট জালাল, অ্যাডভোকেট নাজমুল করিম মুক্তা, আইনজীবী কুমকুম আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়িত্বে ছিলেন ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দি লিটন এবং ব্যারিস্টার ইকবাল হোসেন।

চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, এটি দালিলিকভাবে প্রমাণিত সত্য। তিনি যে প্রথম ঘোষণাতেই নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা দিয়েছিলেন তাই নয়, সংশোধিত ঘোষণাতেও জিয়া নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কমান্ড হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এগুলো স্বাধীনতার দলিল।

শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইতিহাস বেশি দিন চাপা দিয়ে রাখা যায় না। পূর্ববাংলার জনগণের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের ভূস্বামীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত শাসকদের দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা মুক্তির সংগ্রামকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আওয়ামী লীগের দ্বারা ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও তাই চাপা পড়েছিল। এখনও অনেক ইতিহাস চাপা পড়ে আছে। জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা-পরবর্তী প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান।

অলিউল্লাহ নোমান বলেন, শহীদ জিয়া যে প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান, এটি আজ দিবালোকের মতো প্রমাণিত সত্য। এটি যুক্তির ভেতর দিয়ে জাতির কাছে পৌঁছে দিতে হবে সবাইকে।

মূল প্রবন্ধে ব্যারিস্টার তমিজউদ্দিন বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতিকে পরিচয় দিয়েই শুধু নিজের দায়িত্ব শেষ করেননি। একজন সেবকের মতো জাতিকে মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত সেবা দিয়ে গেছেন। একজন পিতা বা মাতা যেমন তার সন্তানকে শুধু যত্নই করেন পরম মমতায়, শহীদ জিয়া দেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন বলেই পরম মমতায় গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশকে। দিয়েছেন গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চার ক্ষেত্র, বৃদ্ধি করেছেন ফসলের মাঠ আর ফসল, গ্রামের মানুষের জন্য দিয়েছেন নিজেদের সরকারব্যবস্থা। দেশকে শত্রুমুক্ত রাখতে গড়েছেন আধুনিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এগুলো কেবল এমন একজনের পক্ষেই সম্ভব যিনি হলেন কারিগর, প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান।

সত্যকে চাপা দিয়ে মিথ্যা ইতিহাস জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী নিজেদের দলীয় ক্যাডার বিচারকদের দিয়ে ইতিহাস বানানোর রায় নিয়েছে। আদালতের দ্বারা ইতিহাস চাপিয়ে দেয়া এবং সেই মিথ্যা ইতিহাস মানতে বাধ্য করার মতো জঘন্য কাজটিও পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মিথ্যা ইতিহাস না মানলে শাস্তির ব্যবস্থাও ইতিহাসে বিরল। এত বিরল কৃতিত্ব শুধু শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগের দ্বারাই সম্ভব হয়েছে।

তিনি প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, একটি জাতির স্বাধীনতা ঘোষণা যেমন কোনো সাধারণ নাগরিকের দ্বারা হলে তা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে না, তেমনি একটি জাতীয় যুদ্ধের প্রাক্কালে কোনো পাতি সিভিলিয়ানের ডাকেও যুদ্ধে জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে না। তাই তো ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষণে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম। আর স্বাধীনতার ঘোষণা একজন রাষ্ট্রপ্রধানের কণ্ঠে উচ্চারিত হওয়াই পৃথিবীর রেওয়াজ বিধায় সেদিন শহীদ জিয়া নিজেকে স্বাধীনতা ঘোষণাকারী জাতির আবাসভূমি ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে উল্লেখ করেই স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। Daily Amar Desh 31 March 2014

বিষয়: বিবিধ

৭৮৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

200662
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : বিএনপি অথবা জিয়া পরিবার কি পারবে তাদের দাবী প্রতিষ্ঠা করতে? অথচ আওয়ামী লীগ অনেক মিথ্যা ইতিহাসকে আজ জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে তাদের গোয়েবলসীয় প্রচার প্রফাগান্ডার মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির না আছে শক্তিশালী কোন প্রচার মাধ্যম আর না আছে নিবেদিতপ্রাণ খাটি জাতীয়তাবাদী মানসিকতাসম্পন্ন কোন স্বেচ্চাসেবী কর্মী বাহিনী।
200761
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২০
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : হুমম..উনাদের যুক্তিটাতো কিন্তু বেশ স্ট্রং ই..

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File