নাস্তিক দ্বারা নাস্তিকদের কটূক্তির বিরুদ্ধে “দাঁতভাঙা জবাব”

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৫ মার্চ, ২০১৪, ০৬:০৪:৫৬ সন্ধ্যা

আমার এই পোস্ট লেখার পিছনে যে কারনটি কাজ করেছে ত হ’ল একজন নাস্তিকের পোস্ট পরে মন্তব্য করার পর,সে আমার জবাবকে জেনে শুনে বিকৃীত করে ভুলভাবে তুলে ধরেছে। আমার মন্তব্যটি ইংরেজীতে ছিল বিধায় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়তে পরেন। তার মিথ্যচারের করনে। ফলে আমার সম্পকে অনেকেই ভুল বুঝতে পারেন। তাই বিষয়টি বিশদ ব্যাখার জন্য এই পোস্ট লিখা। এ সংবাদ আমার কাছে প্রচুর এসেছে যে নাস্তিক মুরদাতরা তদের এজেন্টদের সকল দিকে ছড়িয়ে দিয়েছ মুসলমানদের প্রতিষ্ঠান এবং নৈতিকতাকে ধ্বংস করার জন্য। তার এই মিথ্যাচার সেটাই প্রমান করে। যা হোক মুল বিষয়ে আসা যাক। তার পোস্টি ছিল নিন্মরুপঃ

কটূক্তি২ ২ :



হাদীস দ্বারা প্রমানিত যে নবীর সাহাবীরা যুদ্ধবন্ধী নরীদের ধর্ষন করতেন? কিন্তু এটাতো ভাল মানুষের কাজ না। সার্বিয়ান সৈন্যরা বসনিয়ান নারীদের ধর্ষন করে কি ভাল মানুষের পরিচয় দিয়েছে??


দাঁতভাঙা জবাব:

দেখুন নবীর সাহাবীদের বিষয়টি আলাদা, যুদ্ধবন্দিনীরা মুসলিমদের বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে নিজেরাই মিলিত হত। এতে তারাও আনন্দ পেত, সেটা কি আপনাদের চোখে পড়ে না?

আমরা জবাব ছিল মোটমাট নিন্মরুপঃ

আপনার উত্তরটি মোটেও ভাল না ( সে যে নাস্তিক তখন তা আমার কাছে জানা ছিল না) । নবী করিম() সময়ে যখন দুই পক্ষ যুদ্ধে লিপ্ত হত তখন এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হত্যা, তাদের সম্পতি ধ্বংস, তদের মহিলাদের ধর্ষণ সহ বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত হত এবং তাদের এই খারাপ কাজের সমথন দিত মুলত তাদের মহিলারা। যখন কোন এক পক্ষ হেরে যেত, যার ফলে তাদের অপর পক্ষের হাতে বন্দী হতে হত, তখন তাদের ভাগ্য নিধারিত হত তৎকালে প্রচলিত যুদ্ধ অপরাধী আইন অনুসারে। তৎকালে প্রচলিত যুদ্ধ অপরাধী আইন অনুসারে এই যুদ্ধ অপরাধীদেরকে দাসে পরিণত করা হত এবং এই দাস/দাসীদের সাথে খুবই খারাপ ব্যাবহার করা হত। এই যুদ্ধ অপরাধী মহিলা দাসিদেরকে তৎকালে প্রচলিত যুদ্ধ অপরাধী আইন অনুসারে ধর্ষণও বৈধ ছিল। এখন প্রশ্ন হল ইসলাম কেন তৎকালে প্রচলিত যুদ্ধ অপরাধী আইনকে বাতিল করে নাই?? এর উত্তর হল, একঃ প্রথমত ইসলাম এই আইন নিজে তৈরি করে নাই বরং এই আইন ছিল তৎকালে প্রচলিত সর্বজন স্বীকৃত যুদ্ধ অপরাধী আইন। তৎকালিন অবস্থা বিবেচনায় আনলে আমরা দেখবো যে, তৎকালে প্রচলিত সর্বজন স্বীকৃত যুদ্ধ অপরাধী এই আইনকে একেবারে বাতিল করে দেওয়া সম্ভব ছিল না। এই বিষয়টি শুধু মাত্র কয়েকটি পোস্ট এর সাহায়্যে বুঝা সম্ভব নয়, এর জন্য দরকার এর উপর লিখিত বই। তবে এ বিষয়ে ইসলাম এর গুরুত্বপুর্ণ অবদান হল, ইসলামের নৈতিক। এই আইন তৎকালে প্রচলিত যুদ্ধ অপরাধী আইনের জন্য দাস/দাসীরা যে নিপীড়ন-নির্যাতন এর স্বীকার হত তা হতে তদের রক্ষাকল্পে বিরাট ভুমিকা রাখে; এবং যা পরবতিতে ঐ যুদ্ধ অপরাধী এই কুখাত আইনকে বাতিল করনের পক্ষে ভুমিকা রাখে।

আমার কমেন্টর জবাবে তার জবাব ছিলঃ

নাস্তিক লিখেছেন : বর্তমান ওয়ার ক্রাইম ল ইহুদী-নাসারা-নাস্তিকদের তৈরী। তরা কখনো ইসলামের ভাল চায় না। যে কারনে যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষনের ইসলামী স্বর্গিয় আইন তারা বাতিল করে দিয়েছে। এটি ইসলামের বিরুদ্ধে গভির ষড়যন্ত্র। ধন্যবাদ আনিস ভাই।

যেখানে আমি আলোচনা করেছি ১৪০০ বছর আগেকার “ওয়ার ক্রাইম ল’ আর সে এটাকে পরিবর্তন করে লিখেছে বর্তমান ওয়ার ক্রাইম ল!!

আমি লিখেছিঃ একঃ প্রথমত ইসলাম এই আইন নিজে তৈরি করে নাই বরং এই আইন ছিল তৎকালে প্রচলিত(অথাৎ ১৪০০ বছর আগে) সর্বজন স্বীকৃত যুদ্ধ অপরাধী আইন।

যেখানে আমি লিখিছি এই খারাপ আইনটি ছিল তৎকালে প্রচলিত(অথাৎ ১৪০০ বছর আগে ) এবং ইসলাম বিরোধী শক্তি দ্বারা প্রণীত। সেখানে সে এটাকে পরিবর্তন করে লিখেছে যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষনের ইসলামী স্বর্গিয় আইন!!

এক কথায় আমরা পুরো বিষয়টীকে বলতে পারি, কোথায় আগরতলা আর কোথায় চকির তলা।

তবে আমি মনে করি এ ঘটনা আমাদের পরিস্কার ভবে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, নাস্তিকরা তদের অস্ত্র অর্থাৎ মিথ্যাবলা, চিটিং, বাটপারি ইত্যাদি দ্বারা সজ্জিত হয়ে মুমিনদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চরের/ চোরের মত ঢুকে পরেছে। এখনেই আমাদেরকে এই ভাল লোকের বেশ ধারীদের নাস্তিকদের ব্যাপারে সর্তক হতে হবে। এমন কি আপনার নিকটস্থ মসজিদের ইমাম যে, ইমামের বেশে এক জন নাস্তিক, না তাও তার কাজ কর্ম না দেখে বুঝার উপায় নেই। সাবধান !!

বিষয়: বিবিধ

১২২৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

197839
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : আনিস ভাই আপনি তো অনেক পুরাতন ব্লগার এবং ইংরেজীতেই আপনার মন্তব্যগুলো চোখে পরে। কিন্তু আপনার যে ব্যক্তি সম্পর্কে পোস্ট দিয়েছেন তার সম্পর্কে তো আপনার আগে থেকেই জানার কথা। সে একেক সময় একেক নিক ব্যবহার করে ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা কুৎসা রটিয়ে থাকে। স্বাধীনতা, বিবিয়ানা, ভিক্টোরিয়া, যমুনার চরে, গেরহস্তের কণ্যা, রায়হান রহমান ইত্যাদি নিকগুলো একই ব্যক্তির।
197910
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
198231
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৫৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এদের ব্যাপারে আমার মনে হয় একটি পন্থাই উপযুক্ত। বাজারি লোকের কথা হেসে উড়িয়ে দাও।
198346
২৬ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanks আহমদ মুসা for your comment. All the way you are right but I learnt from my mistake.From now on I pay more attention to identifry this type of cheting people.
198347
২৬ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩০
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanksবাংলার দামাল সন্তান এবং রিদওয়ান কবির সবুজ to read my post and your comments

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File