ইতিহাসের মানদণ্ডে মাযহাবের(مذهب) উৎপতি ও ক্রম বিকাশ পর্ব -১
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৫৩:৩৫ বিকাল
এই নিবন্ধে আমরা মাযহাবে(مذهبর উৎপতি ও ক্রম বিকাশ সম্পকে ঐতিহাসিক দৃষ্টকোনে বিস্তারিত আলোচনা করব মাত্র এবং বিতর্ক এড়ানোর জন্য কোন রকমের তত্বীয় বিশ্লেষণের দিকে যাব না।
নবী করিম (সাঃ) সময় আমরা দেখি যে, সেসময় মাযহাব বলতে বর্তমানে আমরা যা বুঝি সেরকম কোন কিছু বর্তমান ছিল না। কেননা তখন সকল প্রকারের সমস্যা সমাধানের জন্য সাহাবারা নবী করিম (সাঃ) কাছে যেতেন এবং নবী করিম (সাঃ) তার সমাধান বাতলে দিতেন। সুতরাং আমরা দেখছি যে সে সময়ে, বর্তমানে মাযহাব বলতে আমরা যা বুঝি, সেরকম কোন কিছু বর্তমান ছিল না বরং এক মাত্র নবী করিম(সাঃ) মাযহাব বিদ্যমান ছিল, যা ছিল সকলের জন্য আবশ্য পালনীয়।
নবী করিম (সাঃ) উফাতের পর মুসলিম উম্মার সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব এসে পড়ে নবী করিম(সাঃ) যোগ্য প্রতিনিধি খেলাফা-এ-রাশেদার উপর। এই মহান খলিফাদের সময়, ইজতিহাদ, কিয়াসের ব্যানারে ইসলামী ফিকহ ‘র একটি অবিছেদ্ধ অংশে পরিণত হয় এবং এই কিয়াসের উপর ভিত্তি করে, সাহাবা আকরামদের সর্বজন গ্রায্য মতামতের ভিত্তিতে যে আইন গৃহীত হত তা’ই ছিল মুসলিম উম্মার জন্য সকল প্রকারের সমস্যা সমাধানের ভত্তি এবং ত’ই ছিল সকল মুসলিম উম্মার জন্য অনুসরনয় মাযহাব; যা ইসলামী শারিয়ার পরিভাষায় ইজমা নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখের দাবী রাখে যে, খেলাফা-এ-রাশেদার সময়, ইসলামী আইন বা ইজমা প্রণয়নের পুরা বিষয়টি মহান খলিফাদের দ্বারা পরিচালিত হত এবং তারা ছিলেন মাযহাব প্রধান । আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে যে, সে সময়ে আজকের মত নবী করিম (সাঃ) বানী(হাদীস) এতটা সুলভ ছিল না। তাই উপরে বর্ণীত পদ্ধিতে অর্থাৎ ইজমার ভিত্তিতে কোন আইন বা মাযহাব প্রণয়ন হলেও পরবতিতে যদি, নবী করিম (সাঃ) কোন হদীস পাওয়া যেত, যা ইজমার ভিত্তিতে প্রণয়নকৃত আইন বা মাযহাব এর সাথে সাংঘরসিক, তবে খলিফার নির্দেশে ইজমার ভিত্তিতে প্রণয়নকৃত আইন বা মাযহাবকে বাতিল করে নবী করিম (সাঃ) হাদীসের অনুসরণ করা হত।
খালেফা-এ- রাশেদার যুগের পর আসে উম্যাইইয়া খলিফা/রাজা/বাদশা যুগ (৬৬১-৭৫০ খ্রীঃ) । এই সময় ক্ষমতা পরিবর্তনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসে। খলিফার পরিবর্তে আসে রাজা/বাদশা এবং এই রাজা/বাদশারা ইজমার ভিত্তিতে আইন প্রণয়নের বিষয়ে আগ্রহী না হওয়ায়, তারা আর পূর্বের যুগের ন্যায় মাযহাব প্রধান থাকে না এবং নবী করিম(সাঃ) সাহাবারা ইসলামী কেন্দ্র থেকে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়। ফলে এই সময়ে যে সম্যাসাটি সৃষ্টি হয় তা হল, যদিও তখনও ইজতিহাদ বর্তমান ছিল কিন্তু উম্যাইইয়া খলিফা/রাজা/বাদশাদের সহযোগিতা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ছিরিয়ে থাকা ওলেমাদের পক্ষে কিয়াসের ভিত্তিতে ইজমা প্রতিষ্ঠা করা ছিল খুবই দুরহ কাজ। এ সময়ে ফিকহ’র ছাত্র এবং শিক্ষকরা পরস্পরে সাথে যোগাযোগ ও মতামত আদান প্রদানের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
চলবে---
Meaning of some term used in this post
IJMA(ইজমা) : Ijma is verbal noun of the Arabic word ‘ajma’a which has two meanings; To determine and to agree upon something, The other meaning of Ijma is unanimous agreement. Ijma play a crucial role in the development of Shari’ah. The existing body of Fiqh is the product of a long process of Ijtihad and Ijma.
QIYAS(কিয়াস ): literal meaning of Qiyas is “Measuring’, Qiyas also mean comparison. Technically Qiyas is the extension of Shari’ah value from an original case,or asl, to a new case.
IJTIHAD(ইজতিহাদ ): mean personal resoning; Ijtihad is the most important source of Islamic law next to the Qur’an and Sunnah.Ijtihad is defined as the total expenditure of effort made by a jurist in order to infer, with a degree of probability, the rule of Shari’ah from their dertails evidence in the source.
বিষয়: বিবিধ
১৪২৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পুরটা পরার ইচ্ছে থাকল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন