দুনিয়া(Physical World) এবং আখেরাত(Meta Physical World) পব-২
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৮ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:৫৩:০০ সন্ধ্যা
কুরআন এবং দুনিয়া(Physical World): আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি যে কুরআন আমাদেরকে দুনিয়া(Physical World) এবং আখেরাত(Meta Physical World) উভয় জগত সম্পকেই তথ্য দেয়। এবং আমরা আগের পবে(Part-1) এ বিষয়টি পরিস্কারভাবে দেখেয়ে ছিলাম যে, কুরআনের দেওয়া আখেরাত(Meta Physical World) সম্পকিত কোন তথ্যই যাচাই- বাছাই তো দূরের কথা বুঝাও সম্ভব নয়। এর কারন হিসাবে তখন বলেছিলাম দুনিয়া(Physical World) চলে দুনিয়ার নিয়ম (Physical Law ) অনুসারে কিন্তু আখেরাতে (Meta Physical World) দুনিয়ার নিয়ম (Physical Law ) কাজ করে না(বিস্তারিত ব্যাখ্যা পরে দিব)। যেহেতু দুনিয়ার নিয়ম (Physical Law ) আখেরাতের ক্ষত্রে কাজ করে না তাই আমরা আখেরাত(Meta Physical World) সম্পকে আকেবারে-ই অন্ধকারে এবং ঐ জগত সম্পকে ভবিৎসতে জানার পথও বদ্ধ এ কথাও দিবালকের মত স্পট, কেননা দুনিয়ার নিয়ম (Physical Law ) এর সাহায্য ব্যাতীত আমরা কোন ঘটনা বুঝতে ও ব্যাখ্যা করতে পারি না। এই যখন অবস্তা, তখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিবে, তা হল এই অবস্তা থেকে উত্তরণের উপায় কী? এর জন্য সব চাইতে সহজ উত্তর হল, আপনি অন্যান্য সকলের ( মসলমান, ইহুদি, নাসারা---- )ন্যায় আখেরাত (Meta Physical World) এর উপর বিশ্বাস করুন। তার উত্তরে যদি কেউ বলে আমি কোন প্রমান ছাড়া আখেরাত (Meta Physical World) এর উপর বিশ্বাস করব না। তার উত্তরে আমরা তাকে বলব, যে জগতের (আখেরাত) প্রতি হাজার হাজার লাখ লাখ জনগণ, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে বিশ্বাস রাখছে। যে জগতের (আখেরাত) খবর নিয়ে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে নবী-রসুলরা জনতাকে অবহিত করছে। যার প্রমান রয়েছে ইতিহাসের পাতায় পাতায়, যার প্রমান রয়েছে বিভিন্ন প্রাচীন দুলভ পান্ডুলিপিতে। সেই জগতকে আপনি কোন যুক্তিতে অস্বীকার করবেন? দ্বিতীয়ত, একমাত্র কুরআন ছাড়া অন্যান্য ধমিয় পুস্তক অবিকৃত অবস্তায় নেই, যা তাদের ধমগুরুরাও স্বীকার করে নিয়েছে অথাৎ তার মানে দাড়ায় আখেরাত(Meta Physical World) সম্পকিত কুরআনের দেওয়া তথ্যগুলি একমাত্র নির্ভরযোগ্য তথ্য, আখেরাতকে(Meta Physical World) জানা ও বুঝার জন্য।
বুঝার সুভিদাথে এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের জানা দরকার, যে সময়ে কুরআন নাজিক হয়েছে অথাৎ ১৪০০ শত বৎসর আগেকার মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান কোন পযায়ে ছিল। Science & Technology এর বিকাশ বলতে আজকে আমরা যা বুঝি, সে সম্পকে মাত্র ৫০০ শত বৎসর আগেও মানুষের কোন ধারনা ছিল না। ১৪০০ বৎসর আগে প্রচীন আরবদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে প্রচীন আরবদের বিশ্বাস ছিল পাহাড় আকাশকে উপরে ধরে রেখেছে। তারা মনে করত যে পৃথিবী হল সমতল এবং তার দুই প্রান্তে বড় বড় উঁচু পাহাড় আছে। এই পাহাড় আকাশকে উপরে ধরে রেখেছে। কিন্তু কুরআন তৎকালীন সমাজে প্রচলিত ও সবজন স্বীকৃত ঐ ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে নাকচ করে দিয়ে আমাদের জনায় যে, “আল্লাহ্ আকাশকে উপরে তুলে রেখেছে কোন খুটি ছাড়া।”( ৩৮: ২১)। সুতরাং আমরা পরিস্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি যে, যে সময়ে কুরআন নাজিল হয় সে সময়ের মানুষ দুনিয়ার নিয়মগুল (Physical Law) সম্পেকে একেবারেই অনঅবহিত ছিল। অথাৎ কুরআন নাজিলের সময়কার মানুষ দুনিয়ার নিয়মগুল (Physical Law) ও আখেরাত উভয় সম্পেকে অন্ধকারে ছিল। কিন্তু সেই সময়ে কুরআন আমাদেরকে দুনিয়ার নিয়ম (Physical Law ) এবং আখেরাত(Meta Physical World) উভয় জগত সম্পকেই তথ্য দেয়। সুতরাং একথা বলা কোন ভাবেই অযৈক্তিক হবে না, আজকে যদি কুরআনের দেওয়া এই দুনিয়ার নিয়মগুল (Physical Law) সম্পকিত তথ্য সঠিক হয় তবে কুরআনের দেওয়া আখেরাত(Meta Physical World) সম্পকিত তথ্যগুল সঠিক হতে বাধ্য। কেননা আজকে যেরূপ আমরা আখেরাত(Meta Physical World) সম্পকে একেবারে অন্ধকারে আছি কিন্তু কুরআন নাজিক সময়কার মানুষরা শুধু আখেরাত(Meta Physical World) সম্পকে অন্ধকারে ছিল না বরং দুনিয়া(Physical World) এবং আখেরাত(Meta Physical World) উভয় জগত সম্পকে একেবারে অন্ধকারে ছিল।
চলবে ----
বিষয়: বিবিধ
১৮৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন