আল্লাহর অস্তিতে বিশ্বাস এবং আমাদের অর্জিত জ্ঞান/ যুক্তি –শেষ পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৯ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:৪৪:৪৬ সকাল



প্রাকৃতিক নিদশনগুল আল্লাহর অস্তিতের স্বপক্ষে জরাল প্রমান দেয়।

(১) জীবন্ত কোষ(Life come from life): আজকে আমরা Lab-এ হাজার হাজার জৈব যৌগ কিত্রিম ভাবে প্রস্তুত করতে পারি। কিন্তু তার পরোও অসংখ্য বার প্রচেষ্টা নেওয়া সত্বেও, সকল জীবন্ত প্রাণীর মূল(building block), জীবন্ত কোষ, তৈরি করতে ব্যাথ। এই ব্যাথতা এটাই প্রমান করে কেউ একজন (আল্লাহ) আমাদের সৃস্টি করেছেন।

(২) আমরা যদি একটি পরমাণুর গঠন থেকে নিয়ে একে একে এই মহাবিশ্বের সকল প্রাকৃতিক নিদশন গুল নিয়ে চিন্তা গবেষণা, পরিক্ষা- পযবেক্ষন করি, তবে দেখবো যে, প্রতিটা প্রাকৃতিক নিদশনাবলীই একটি সুশৃখল নিয়মের অধিনে কাজ করছে। কোন ভাবে এই নিয়মের সামান্য ব্যাত্যয় ঘটলে, দেখা দেয় বিপযয় কেননা প্রতিটা প্রাকৃতিক নিদশনাবলীই বহন করছে নিপুন এবং অতন্ত জটিল পরিকল্পার স্বক্ষর। বস্তুত প্রয়ুক্তির দিক দিয়ে বিচার করলে অনেক ক্ষত্রেই আমরা দেখবো যে, কিত্রিম ভাবে প্রস্তত জিনিসের প্রয়ুক্তির থেকে অনেক অনেক উন্নত প্রয়ুক্তির স্বক্ষর বহন করছে প্রাকৃতিক নিদশনাবলী বা প্রয়ুক্তি। উদাহরণস্বরূপ বালা যায়, আজকে কোন কোম্পানি একটি উন্নত প্রয়ুক্তির Mobile , Computer ইত্যদি বাজারে ছাড়লে, অন্য আরেকটি কোম্পানি তার সমমান সম্পন্ন অথবা তার চাইতেও উন্নত প্রয়ুক্তির Mobile , Computer ইত্যদি বাজারে ছাড়তে সক্ষম। কিন্তু এই চরম উন্নত প্রয়ুক্তির যুগেও আমরা বড় অসহায়! কেননা আজও আমরা সামান্য(!) রক্ত, বা চোখ এর জন্য Blood Bank, Eye Bank এর উপর নিভরশীল।

কে এগুল তৈরি করল? এগুল কার পরিকল্পার ফসল? এত পরিকল্পিত এবং জটিল প্রয়ুক্তির স্বক্ষর বহনকারী এই প্রাকৃতিক নিদশনাবলী নিশ্চয় আপনা আপনি তৈরি হয়নি। আমাদের প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতা থেকে দেখছি যে প্রতিটা কিত্রিম ভাবে প্রস্তত জিনিসের এক জন প্রস্ততকারক রয়েছ। আপনার হাতের কাছের TV, DVD Player, Computer ইত্যদি রয়েছে এক জন করে প্রস্তুতকারক। এখন কেউ যদি দাবী করে তার Mobile phone বা Laptop অথবা অন্য কোন কিছুর কোন প্রস্তুতকারক নেই, ঐ কিত্রিম বস্তুটি হঠাৎ কাকতলীয় ভাবে তৈরি হয়ে তার কাছে চলে এসেছে। তাকে আমরা পাগল ছাড়া আর কিছুই ভাববো না। কেননা আমাদের প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতা থেকে দেখছি যে, প্রতিটা জিনিসের এক জন প্রস্ততকারক রয়েছ। অথাৎ কোন কিছু ছাড়া কোন কিছু তৈরি হতে পারে না এবং কোন কিছুর অস্তিত থাকা মানে তার পূবে তার এক জন প্রস্তুতকারক রয়েছে।

কোন কিছু ছাড়া এমন একটি ধারনা যা আমরা চিন্তাতো দূর কল্পনাও করতে পারি না। এই বাস্তবতাকে আমরা সবাই মেনে নিয়েছি যে কোন কিছু ছাড়া কোন কিছু তৈরি হতে পারে না। সুতরাং একথা নিদিধায় বালা চলে যে কোন এক জন প্রস্ততকারক এই মহাবিশ্ব এবং তন্মধ্যস্ত সব কিছু সৃস্টি করেছেন। একথা বিশ্বাস করাটা খুবই যুক্তিযুক্ত বরং অবিশ্বাস করাটা অযৌতিক। আবার আল্লাহকে() কে সৃস্টি করেছেন একথা কোন অথ বহন করে না, কননা আল্লাহকে কেউ সৃস্টি করেছেন একথা মেনে নেওয়ার অথ দারায় তিনিও আমাদের মত সৃস্ট জীবে পরিণত হয়ে যান।( কেননা সারা বিশ্বজাহানের রব হওয়ার জন্য অন্যতম কয়েকটি যোগত্যা হল, জন্ম নেওয়া বা দেওয়া থেকে মুক্ত হতে হবে, মৃত্যু, ঘুম, ক্লান্তি ইত্যাদি সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে হবে।)। অপরদিকে ২য় পবে আমরা দেখিয়ে ছিলাম যে, আল্লাহকে কে সৃস্টি করেছেন, গাণিতিক ভাবেও একথার কোন অথ হয় না।

সারাবিশ্ব জাহানের রব হওইয়ার জন্য যে গুণাবলী বা যোগত্যা দরকার, যার কয়েকটি আমি উপরে উল্লেখ করেছি, তা আমাদের প্রত্যহিক অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান দ্বারা বুঝ প্রায় অসম্ভব। এই বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখে খলীফা উমর (রা), আল্লাহ পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, “ তাকে (আল্লাহ্‌) জনা যায় না, এটাই সবচাইতে বড় জানা, তাকে (আল্লাহ্‌) বুঝা যায় না, এটাই সবচাইতে বড় বুঝা। আল্লাহ্‌ () আমাদেরকে তাঁকে জানার, বুঝার এবং মানার তৌফীক দান করুন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

২১২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File