মাত্র ৬বছরের প্রবাস জীবনে নেমে এলো অন্ধকার
লিখেছেন লিখেছেন মোবারক ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:৩৩:৪৫ রাত
জীবিকার তাগিদে নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আসি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে তার সাথে পরিবার পরিজনকে খুশী রাখার জন্য, কেউ পারে কেউ পারে না, এমন কোন প্রবাসী নেই যে, বলতে পারে প্রবাসে খুব ভাল ছিল।
আজ আমি লিখতে বসছি আমার মত এক প্রবাসীকে নিয়ে যার নাম আনোয়ার হোসেন, ফেনী সোনাগাজী ছেলে ৬বছর ধরে সৌদি আরবে আছে। সব ঠিকঠাক মত চলছে কোন সমস্যা নেই, এর মাঝে দেশে গিয়ে বিয়েও করছে,দুই ভাইর মধ্য আনোয়ার ছোট দুই ভাই ই প্রবাসী। দুই ভাইর ইনকাম দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর দিন যাচ্ছে এক কথায় বলা যায় সুখি পরিবার।
হঠাৎ একদিন আনোয়ার অসুস্থ হয়ে ডাক্তার কাছে গেলেন। ডাক্তার অনেকগুলো টেস্ট দিলো, এই টেস্টে যে তার জীবনের অমানিশা নেমে আসবে কে জানতো?
টেস্ট এর আগের গতিপথ যেমন চলছিলো হয়তো টেস্টে এর পরে আনোয়ারের
গতিপথকে স্লো করে দিবে, যে আনোয়ার বিদেশে এসেছে দুই পয়সা কামানোর জন্য সেই আনোয়ার {২৮বছর} এ থেমে যাবে, সুস্থ সবল স্বাস্থ্যগত দিক সব ঠিক আছে আনোয়ারের দিকে তাকিয়ে কেউ ধারনা করবেনা যে এই ছেলের কঠিন রোগে আক্রান্ত ।
টেস্টে ধরা পড়লো আনোয়ারের দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। কিডনি নষ্ট হওয়ার কারণ ধারনা করা হচ্ছে সৌদি আরবে আনোয়ারের পান করা পানি।
আমি এবং আনোয়ারের চাচা শ্বশুর দেখতে গিয়েছিলাম প্রবাসী আনোয়ারকে। তার বড় ভাই আমদেরকে নিয়ে গেলো আনোয়ারের রুমে একা বসে আছেন তিনি। প্রবাস জীবনে সবাই সবার কাজে ব্যস্ত দেশের বাড়ি হলে হয়তো মানুষের চাপে আমরা তার সাথে কথা বলারও সুযোগ পেতাম না। ছোট ভাইয়ের প্রতি বড় ভাইয়ের মহব্বত দেখে খুব ভালো লাগলো।
আমি যখন এই লেখা লিখছি তখন আনোয়ার দেশের।পথে আনোয়ারের চাচা শ্বশুর থেকে খবর পেলাম দেশের হাঁসপাতালগুলোতে আনোয়ারের পরিবার যোগাযোগ করতেছে যদি কিডনি না পাওয়া যায় সুখ-দুঃখের সাথী মা এ কিডনি দেবে।
এমন কেউ কি আছেন যিনি মানবিক কারনে অথবা টাকার বিনিময়ে একটি কিডনি দিয়ে আনোয়ারের জীবন বাঁচিয়ে তার পরিবারে সবার মুখে হাঁসি ফুটাতে ???????
বিষয়: বিবিধ
১৯১৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন