মুমিনের তিনটি গুণাবলী

লিখেছেন লিখেছেন হাবীবুল্লাহ আল কাছেম। ২৭ মে, ২০১৩, ১২:০৫:৪১ রাত

মু'মিনের অনেকগুলো গুণ রয়েছে। তার মাঝে তিনটি গুণ হলো

১. প্রতিবেশির সাথে সদ্ব্যহার।

২. মেহমানদারী করা।

৩. কথা যখন বলবে তখন ভাল বা উপকারী কথা বলা নতুবা চুপ থাকা।

প্রতিবেশি : আমরা প্রত্যেকে যে যেখানে বাসকরি, আমাদের আশে-পাশে যে বা যারাই বাসকরেন তারাই আমাদের প্রতিবেশি। প্রতিবেশিদের সাথে সদ্ব্যবহার করা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। একজন মানুষ যার অনেক যশঃখ্যাতি, সুনাম ইত্যাদি লোকের মুখে মুখে, কিন্তু কখনো কখনো দেখা যায় এমন লোকেরাও তার প্রতিবেশির কছে বিশিষ্ট-সম্মানিত হতে পারছেন না।

মেহমানদারী / অতিথেয়তা : একে অপরকে মেহমানদারী করার ফলে নিজেদের মাঝে আন্তরিকতা /অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়। তবে দেশের দ্রব্য মূল্যের যে অগ্রগতি তাতে সাধারণ ও নিন্ম শ্রেণীর আয়ের কোন কোন লোকেরা মেহমানদারী করতে হিমশিম খায়। আবার কেউ কেউ এমনও রয়েছেন যার অঢেল অর্থ-সম্পদ রয়েছে, তারপরও মেহমান দেখলেই যেন তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। আসলে আমার মনে হয় মেহমানদারীর ক্ষেত্রে টাকা-পয়সা, অর্থ-সম্পদের চেয়ে বেশি প্রয়োজন হল সু-প্রশস্ত / সু-প্রসন্ন অথিতিপরায়ণ একটি সুন্দর মন।

তাছাড়া মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَأَنفِقُوا خَيْرًا لِّأَنفُسِكُمْ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর, শুন,আনুগত্য কর এবং ব্যয় কর। এটা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর। যারা মনের কার্পন্য থেকে মুক্ত,তারাই সফলকাম। (সুরায়ে তাগাবুন, আয়াত নাম্বার ১৬)

কথা যখন বলবে তখন ভাল বা উপকারী কথা বলা নতুবা চুপ থাকা :

আমাদের অনেকের স্বভাব এমন যে, ঘরে-বাইরে, বাজারে-বন্দরে, রাস্তা-ঘাটে, যানবাহনে, চায়ের ষ্টলে যেখানেই সুযুগ পায় যেন কথার ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে দেয়। কেউ তার কথা শুনছে কিনা বা শুনার আগ্রহী কিনা তা দেখার চেষ্ঠা করে না। এতে অনেকে বিরক্তিবোধ করে। যারফলে নিজের ভারসাম্যতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই হাদিসে তাদেরকে কথা কম বলার নির্দেশ দওয়া হয়েছে ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থেকে চুপ থাকতে বলা হয়েছে।

আসনু,এবার আমরা মূল হাদিসটা দেখি : হাদিসটি পাওয়া যাবে বোখারী শরিফরে ১৮/৪৩৭/৫৫৫৯ নাম্বার হাদিসে। আবু হুরাইরা রাঃ বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন,

مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُؤْذِ جَارَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ

যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও আখেরাত দিবসের উপর বিশ্বাষ রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও আখেরাত দিবসের উপর বিশ্বাষ রাখে সে যেন তার মেহমানের মেহমানদারী করে। আর ব্যাক্তি আল্লাহ ও আখেরাত দিবসের উপর বিশ্বাষ রাখে সে যেন ভাল কথা বলে অথবা চুপ থাকে।

তাই আসুন, আমরা এই হাদিসে বর্ণিত তিনটি গুণ নিজের মাঝে বাস্তবায়ণ করার আপ্রাণ চেস্ঠা করি।

বিষয়: বিবিধ

১৪৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File