'গ্রামের পথে পথে' ব্লগারের একটি পোষ্টের জবাব
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ডাক ৩০ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:০৭:৪১ সন্ধ্যা
সম্প্রতি 'গ্রামের পথে পথে' নামক এক ব্লগার 'ওয়াক থু! নবী মোহাম্মদের মাথায় উকুন' শিরোনাম দিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছে। তার প্রতি উত্তরে আমি একটি মন্তব্য করেছি যা আপনাদের সামনে পোষ্ট আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছি। ---
মনে হল, আপনি একজন অমুসলিম। কারণ কোন মুসলিম নিজের নবীর সম্পর্কে এরূপ মন্তব্য করতে পারেনা। আর অমুসলিমদের মধ্যে যারা শান্ত ও শালীন তারাও এরূপ কথা বলতে পারেনা। হাঁ যারা ধৃষ্ঠ ও অশালীন এবং যাদের অন্তর হিংসায় ভর্তি তারাই এরূপ আচরণ করতে পারে। যাই হোক, আপনি যেই হাদীসের কথা বলেছেন, তাতে
প্রথমতঃ একথা স্পষ্ট নেই যে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মাথায় উকুন ছিল।
দ্বিতীয়তঃ উম্মে হারাম বিনতে মিলহান নিজেও একথা স্বীকার করেননি যে তিনি উকুন পেয়েছেন।
তৃতীয়তঃ হাদীসে 'তাফলি রা'সাহু' শব্দের অনুবাদ হবে 'উকুন খোজা বা মাথায় হাত ফিরানো যাতে করে ঘুম চলে আসে।
চতুর্থঃ যদিও মেনে নেই যে মাথায় দুএকটি উকুন ছিল যা বেছে পরিষ্কার করে দিলেন তাতে সমস্যা কোথায়? বরং এটি তো তিনি যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কে ভালবাসতেন তারই একটি প্রমাণ।
পঞ্চমঃ আপনি এতে তাঁর নুবুওয়াতের বিপরীত কি খোজে পেলেন? তিনি একজন মানুষ ছিলেন আর মানুষের মাথায় ঘটনাক্রমে দুএকটি উকুন আসতেই পারে।
আপনার প্রতি আমার অনুরোধ থকবে আপনি নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর জীবনী একবার নিরপেক্ষ ভাবে পড়েন। তাঁর মধ্যে আপনি সকল প্রকার মানবীয় গুণের সমাহার দেখতে পাবেন। 'নবীয়ে রহমত' নামে একটি সীরাত গ্রন্থ রয়েছে সেটি আগে পড়েন তারপরে আপনার সাথে বাকী কথা হবে। আল্লাহ আপনাকে দ্বীনে ইসলামের হিদায়েত দান করুন। আল্লাহ হাফেজ।
উল্লেখ্য যে, তিনি যে হাদীসের কথা বলেছেন হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ। কারণ এটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবুদাউদ ও নাসায়ী শরীফ সহ অনেক হাদীস গ্রন্থে উল্লেখ আছে। তবে হাদীসের অর্থ তিনি বুঝতে সক্ষম হননি।
বিষয়: বিবিধ
১৬১৬ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি আসলে একজন বেদম মূর্খ লোক। ইসলাম সম্পর্কে কিছু জানেন না আর ব্যঁ ব্যঁ করতেই আছেন। ইসলাম ধর্মের নিয়ম মতে পুরুষের জন্য কিছু নারী এমন আছেন যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন হারাম। তাদের সাথে বসা, কথা বলা এবং প্রয়োজনে স্পর্ষ করাতে দোষের কিছু নেই। মনে করেন মা যদি ছেলের মাথায় হাত ফিরায় তাতে দোষের কি আছে? উম্মে হারাম একেতো ছিলেন অনেক বৃদ্ধা আবার ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য মুহরিমদের অন্তর্ভূক্ত। কপাল পুড়ারা এসব বুঝতেই চাইবেনা।
যদিও বা কেন মেনে নিতে যাব ?
রাসুলুল্লাহ্ সঃ এর মত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কে থেকেছে শুনি ?
রাসুলুল্লাহ্ সঃ ছিলেন সব থেকে পরিচ্ছন্ন লোক যার কারনে হাদীস শরিফে এসেছে"পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঈমানের অঙ্গ" ।
গ্রামের পথে পথে নিকটি যে লিখেছে মুহম্মদ সঃ এর মাথায় উকুন পাওয়া গেছে তা সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা ।
দুনিয়াতে যদি সব থেকে অপরিচ্ছন্ন থাকে তা হল হিন্দু ।
আর এই গ্রামের পথে পথে একজন হিন্দু হয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাঃ এর মাথায় উকুনের হাদীস বানিয়েছে শুনে হাসি পেল হাঃহাঃহাঃ !
আপনি যখন একটা হিন্দুর বাড়িতে যাবেন তখন আপনার দম বন্ধ হয়ে যাবে বাজে গন্ধে !
বমি আসবে !
এরা প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানের রান্নায় গরুর মূত্র দেয় ওয়াক থু থু !নতুন কারো বিয়ে হলে কপালে গোবর দেয় ওয়াক থু !
বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় একটা কথা আছে ,
সর্বাধিক গিদার জাত ,
মালু জাত !
আনাস বিন মালিক কর্তৃক বর্ণিত যে,আল্লাহ্র মেসেঞ্জার প্রায়ইUm Haram bint Milhanকাছে বেড়াতে যেতেন এবং সে ছিলUbada bin As-Samitএর স্ত্রী। একদিন নবী তার সাথে দেখা করতে গেলেন এবং তিনি তাকে খাওয়ানোর পর মাথার উকুন বাছতে লাগলেন । আল্লাহর নবী ঘুমিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর হাসিমুখে জেগে উঠলেন—।
গ্রামের পোদে পোদে দাস অথবা চক্রবর্তীর জ্ঞানবুদ্ধি এতই কম যে ইসলাম সম্বন্ধে পুরোপুরি জ্ঞান না রেখেই প্যাঃ প্যাঃ ম্যাঃ ম্যাঃ ট্যাঃ ট্যাঃ করেন ।ছুপা শিবছাগু বলে তো একটা কথা আছে ।
(ইসলাম অনুযায়ি পরস্ত্রী কি এই ভাবে মেহমানদারী করে ?)
এটা সত্যি কল্পনা যে নবীজিকে আরেক জনের স্ত্রী উকুন বেছে দিচ্ছে,যেখানে কোরআন নারী-পুরুষ কে দৃষ্টি এবং আচরণকে সংযম করতে বলেছে। সেখানে এই হাদিসটি দিব্যি পর পুরুষ এবং পর নারীর ঘটনাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এই হাদীসের মানে কি?
এই হাদীসের প্রচারক অবশ্যই দায়বদ্ধ তার হাদিস প্রচার-প্রসারের জন্য।যারা ইসলামের দলিল বা হাদীস লিখেছেন তাদের প্রতিটি কাজ অবশ্যই দেখা উচিত কোরআন,যুক্তি,বিচারশক্তি এবং বুদ্ধির (common-sense)মাধ্যমে।
আর মালাউন,মিশনারীদের বানানো এই হাদীস গুলো দেখতে সত্য হাদীসের মতই লাগে !
Qur'an forbids women to another location away from that as you have said in this Hadith that he has another woman, his head!It does not do anything without a major jokes
তিনি যে হাদীসের কথা বলেছেন হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ এবং সত্য। কারণ এটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবুদাউদ ও নাসায়ী শরীফ সহ অনেক হাদীস গ্রন্থে উল্লেখ আছে। তবে হাদীসের অর্থ তিনি বুঝতে সক্ষম হননি। মুহাদ্দিসগণ এবং হাদীসবিশারদগণ এর সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেটি মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।
আসলে- পঁচা, ময়লা বেশি ঘাটাঘাটি করলে শুধু দুঃগন্ধই প্রকট হয়, আপনি সেই কাজটিই করলেন। এখন কেচো খুঁজতে যেয়ে শাপ বেড় হয়ে গেল। পরস্ত্রী পরপুরুষের মাথায় হাত বুলিয়ে দিবেন এটা তো কাজ হতে পারে না। অসৎ চরিত্রের লুচ্চা বদমাসরা এসব করে। আসা করি আপনি আমার সাথে অন্ততঃ এ বিষয়ে দ্বিমত করবেন্না।
সাহস থাকলে উত্তর দিন।
এবার বলুন কি বলতে চান।
আবারো বলছি, ইসলাম সম্পর্কে জানার এত শখ থাকলে প্রথমে পড়েন। প্লিজ অযথা বাড়াবাড়ি করেন না।
মা'র কোলে ঘুনানো দোষের কিছু না। উম্মে রাহাম নবীর মাথা ছিলেন্না। এখন যদি ৩০ বছরের কোন যুবক নায়িকা কবরীর কোলে মাথা রেখে ঘুমায়, তাকে স্পর্স করে তাহলে বিষয়টি আপনি কোন চোখে দেখবেন।
আর দ্বিতীয় কথা হল, উম্মে হারাম ছিলেন তাঁর খালা।
তৃতীয় তিনি ছিলেন নিষ্পাপ নবী। তাঁর ব্যাপারে এরূপ চিন্তা করাই পাপ।
বলেন তো খালার কোলে ঘুমালে দোষের কি আছে?
আর রাসুল সাঃ কোন দিন পরস্ত্রীর কোলে শুইতে পারেনা এটাই সত্য ।
আসলে হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ এবং সত্য। কারণ এটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবুদাউদ ও নাসায়ী শরীফ সহ অনেক হাদীস গ্রন্থে উল্লেখ আছে। তবে হাদীসের অর্থ তিনি বুঝতে সক্ষম হননি। মুহাদ্দিসগণ এবং হাদীসবিশারদগণ এর সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেটি মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।
ইসলাম ধর্মের নিয়ম মতে পুরুষের জন্য কিছু নারী এমন আছেন যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন হারাম। তাদের সাথে বসা, কথা বলা এবং প্রয়োজনে স্পর্ষ করাতে দোষের কিছু নেই। মনে করেন মা যদি ছেলের মাথায় হাত ফিরায় তাতে দোষের কি আছে? উম্মে হারাম একেতো ছিলেন অনেক বৃদ্ধা আবার ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য মুহরিমদের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং মা, খালা, বোন বা অন্য কোন মুহরিম যদি মাথা স্পর্শ করে তাতে দোষের কি আছে?
কোরআনে সরাসরি আছে ,
পরনারী তোমাদের জন্য হারাম ,সেখানে রাসুলুল্লাহ্ সাঃ পরনারীর কোলে কিভাবে মাথা রাখে ?
আমি প্রায় ৪৫০০ সহীহ্ হাদীস পাঠ করেছি (বুখারী ১ম থেকে দশম খন্ড)কই কোথাও তো এটার আলোচনা দেখিনি তবে কেমনে এই উকুনের হাদীসটি কোন খন্ডে ?
হাদীসটি বুখারী শরীফের ৩য় খন্ড, পর্ব (৫৬) অধ্যায়ঃ পুরুষ এবং নারীর জন্য জিহাদ করার ও শাহাদাত লাভের দুআ। নং ২৭৮৮, ২৭৮৯ (তাওওহীদ পাবলিকেশন্স) (আ. প্র. ২৫৮২, ই. ফা.২৫৯৪) মুসলিমঃ ৩৩/৪৯, হাদীস নং ১৯১২।
জাযাকাল্লাহু খাইরান!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন