MOney Eyes মনোমুগ্ধকর জলে ভাসা মসজিদMOney Eyes

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ডাক ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫০:৫৮ রাত



প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের কথা শুনলে মনে হয় বিশাল এক বাগান যেন শূন্যে ঝুলে আছে আর বাতাসে দোল খাচ্ছে। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। তেমনই দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভেসে আছে কিন্তু আসলে ভেসে নেই, এমন একটি মসজিদ আছে মরক্কোয়। বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এ মসজিদটি তৈরি করেছেন কাসাব্লাঙ্কা শহরে।

মসজিদটির নির্মাণ কাজ করেছেন ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের প্রকৌশলীরা। আর এর নকশা তৈরি করেছিলেন বাদশা হাসানের ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ। মসজিদটিকে যে কারণে ভাসমান মসজিদ বলা হয় সেটা হলো, মসজিদটির তিনভাগের একভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে আর মুসল্লিরা যেন নামাজ পড়ছেন পানির ওপর।

মসজিদটি কিন্তু ছোটখাটো নয়। এখানে প্রায় ১ লাখ মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। এর মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার! আর মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মসজিদের ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট পরপর যান্ত্রিকভাবে খুলে যায়। ফলে মসজিদের ভেতরে প্রাকৃতিক আলো ও মুক্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে। তবে বৃষ্টির সময় ছাদটি খোলা হয় না। মসজিদটি এতই বড় যে, এর মূল কাঠামোর ভেতরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা সেন্ট পিটার্সকেও অনায়াসে বসিয়ে দেওয়া যাবে।

২২.২৪ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এ মসজিদের মূল ভবনের সঙ্গেই আছে লাইব্রেরি, কোরআন শিক্ষালয়, ওজুখানা এবং কনফারেন্স রুম। ২৫০০ পিলারের ওপর স্থাপিত এ মসজিদের ভেতরের পুরোটাই টাইলস বসানো। শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও আবার সোনার পাত দিয়ে মোড়া। মসজিদ এলাকার আশপাশে সাজানো আছে ১২৪টি ঝরনা এবং ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালের আগস্টে। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পীর দিনে দুই শিফট শ্রমের ফলে প্রায় সাত বছরে নির্মিত হয় এ মসজিদ। মসজিদটির উদ্বোধন করা হয় ১৯৯৩ সালে।

বিলাসবহুল এ মসজিদটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে তৎকালীন ৮০ কোটি ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা!

(সংগৃহীত: বিডিটুডে) Big Grin Big Grin

বিষয়: বিবিধ

১০৫১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

183575
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৩
কাজি সাকিব লিখেছেন :
183577
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৮
জোস্নালোকিত জ্যাস লিখেছেন : মাশাআল্লাহ!!
183593
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:২১
পবিত্র লিখেছেন : অসাধারণ!! দেখে মনটা জুড়িয়ে গেলো!! Happy Angel Angel
183604
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৪১
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : ভালো লাগলো
183624
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৮
সজল আহমেদ লিখেছেন : আল্লাহু আকবার!
183653
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৪৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভাল লাগল। কিন্তু মসজিদ এত কায়দা কানুন করে তৈরী না করে সাদামাটা তৈরী করলেও চলে। আর মুসলিম বহু আছে দুনিয়ায় যারা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করে। এসব বাদশাহরা সব ক্ষেত্রে বিলাসিতা পছন্দ করে। ইবাদতটাও বিলাশী হওয়া চাই তাদের।....আফ্রিকাতে মানুষ মরে খাদ্যের অভাবে...
২০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২৯
159266
আহ জীবন লিখেছেন : মুসলিম স্থাপত্য তৈরি করা খারাপ কিছু নয়।
তবে আপনার কথা ও অসত্য নয়।
তাবলীগে একটা কথা বলে- "আগে মানুষের ঈমান ছিল পাকা মসজিদ ছিল কাঁচা, এখন মসজিদ পাকা ঈমান কাঁচা।" ধন্যবাদ।
183658
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
183679
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৪৭
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ভালো লাগলো Good Luck Good Luck
183690
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৩১
ভিশু লিখেছেন : খুব ভালো লাগ্লো...Good Luck
আচ্ছা, এই মসজিদটির ফরমাল নামটি কি? একটু বলবেন প্লিজ... Happy
১০
183760
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৪
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম চমৎকার পোস্ট, জাজাকাল্লাহুল খাইরান
১১
183763
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৭
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো।
১২
183859
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
বিন হারুন লিখেছেন : অনেক ভাল লাগল. আপনাকে অনেক ধন্যবাদ Happy
১৩
184359
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৩
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : নিঃসন্দেহে সুন্দর, তবে এই ধরনের মসজিদ কিয়ামত এগিয়ে আসার লক্ষণও বটে Yawn Yawn Yawn

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File