ছেলেরা কি মায়ের জন্য এত পাষাণ হতে পারে?
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ডাক ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:০০:১৯ রাত
‘আমারই ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!’ অবশেষে বরেণ্য শিল্পী নচিকেতার মর্মস্পর্শী সেই গানের সত্যিকারের রূপ মিলেছে।
কুমিল্লার পাষণ্ড দুই ছেলে বোনের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া কথা বলে তাদের গর্ভধারীনী মা আরাফাতুন নেছাকে বরিশালের গৌরনদীর টরকী বাসস্ট্যান্ডের রাস্তার পাশে ফেলে যায়।
এ সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন অনলাইন শীর্ষ নিউজসহ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ার পর অভাগী মা আরাফাতুন নেছার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিলেন গাজীপুরের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী মো. রবিউল ইসলাম। শনিবার বিকেলে তিনি অভাগী আরাফাতুন নেছাকে নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
সূত্র জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি রাতে দুরপাল্লার একটি বাস থেকে বৃদ্ধা আরাফাতুন নেছাকে তার ছেলে শামীম ও শাহিন গৌরনদীর টরকী বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যায়। রোগাক্রান্ত বৃদ্ধা পরবর্তী দশদিন রাস্তার পাশেই ছেলেদের আশার অপেক্ষার দিনাতিপাত করতে থাকেন। পরবর্তীতে স্থানীয় এনজিওকর্মী মোহাম্মদ আলী বৃদ্ধার করুণ কাহিনী শুনে তার খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ নিয়ে অনলাইন শীর্ষ নিউজসহ বিভিন্ন দৈনিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। একপর্যায়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃদ্ধা আরাফাতুন নেছাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য গৌরনদী হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে ভর্তি করেন। আট দিনের চিকিৎসায় বৃদ্ধা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও বৃদ্ধার চিকিৎসক ডা. মো. সেকান্দার আলী মোল্লা জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরাফাতুন নেছা দিন-রাত সব সময় তার ছেলে শাহিন ও শামীমের নাম ধরে ডেকে ডেকে কান্নাকাটি করছিলেন। কাউকে দেখলেই সে শাহিন, শামীম বলে জড়িয়ে ধরতেন। তার বুক ফাঁটা আহাজারিতে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ আগতরাও চোখের পানি ফেলতেন। নিজের ছেলেরা যে বৃদ্ধ মায়ের প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণ করতে পারে তা কেউই মেনে নিতে পারছেনা।
গাজীপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী রবিউল ইসলাম জানান, অনলাইন শীর্ষ নিউজসহ বিভিন্ন দৈনিকের সংবাদ দেখে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জাহিদ মুকুলের নির্দেশে তিনি শনিবার সকালে নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স যোগে গৌরনদী হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ওইদিন বিকেলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সহায়তায় বৃদ্ধা আরাফাতুন নেছা জিকির করতে করতে হাসপাতালের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে সংবাদকর্মীদের বুকভরা দোয়া করে বৃদ্ধাশ্রমের উদ্দেশ্যে এ্যাম্বুলেন্স যোগে রওয়ানা হন।
সংগৃহীত‘আমারই ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!’ অবশেষে বরেণ্য শিল্পী নচিকেতার মর্মস্পর্শী সেই গানের সত্যিকারের রূপ মিলেছে।
কুমিল্লার পাষণ্ড দুই ছেলে বোনের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া কথা বলে তাদের গর্ভধারীনী মা আরাফাতুন নেছাকে বরিশালের গৌরনদীর টরকী বাসস্ট্যান্ডের রাস্তার পাশে ফেলে যায়।
এ সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন অনলাইন শীর্ষ নিউজসহ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ার পর অভাগী মা আরাফাতুন নেছার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিলেন গাজীপুরের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী মো. রবিউল ইসলাম। শনিবার বিকেলে তিনি অভাগী আরাফাতুন নেছাকে নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
সূত্র জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি রাতে দুরপাল্লার একটি বাস থেকে বৃদ্ধা আরাফাতুন নেছাকে তার ছেলে শামীম ও শাহিন গৌরনদীর টরকী বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যায়। রোগাক্রান্ত বৃদ্ধা পরবর্তী দশদিন রাস্তার পাশেই ছেলেদের আশার অপেক্ষার দিনাতিপাত করতে থাকেন। পরবর্তীতে স্থানীয় এনজিওকর্মী মোহাম্মদ আলী বৃদ্ধার করুণ কাহিনী শুনে তার খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ নিয়ে অনলাইন শীর্ষ নিউজসহ বিভিন্ন দৈনিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। একপর্যায়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃদ্ধা আরাফাতুন নেছাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য গৌরনদী হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে ভর্তি করেন। আট দিনের চিকিৎসায় বৃদ্ধা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও বৃদ্ধার চিকিৎসক ডা. মো. সেকান্দার আলী মোল্লা জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরাফাতুন নেছা দিন-রাত সব সময় তার ছেলে শাহিন ও শামীমের নাম ধরে ডেকে ডেকে কান্নাকাটি করছিলেন। কাউকে দেখলেই সে শাহিন, শামীম বলে জড়িয়ে ধরতেন। তার বুক ফাঁটা আহাজারিতে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ আগতরাও চোখের পানি ফেলতেন। নিজের ছেলেরা যে বৃদ্ধ মায়ের প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণ করতে পারে তা কেউই মেনে নিতে পারছেনা।
গাজীপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী রবিউল ইসলাম জানান, অনলাইন শীর্ষ নিউজসহ বিভিন্ন দৈনিকের সংবাদ দেখে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জাহিদ মুকুলের নির্দেশে তিনি শনিবার সকালে নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স যোগে গৌরনদী হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ওইদিন বিকেলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সহায়তায় বৃদ্ধা আরাফাতুন নেছা জিকির করতে করতে হাসপাতালের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে সংবাদকর্মীদের বুকভরা দোয়া করে বৃদ্ধাশ্রমের উদ্দেশ্যে এ্যাম্বুলেন্স যোগে রওয়ানা হন।
সংগৃহীত
বিষয়: বিবিধ
১৪১০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ছেলেরা কিভাবে মায়ের সাথে এমন পাষাণ কাজ করতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন