হেফাযতে ইসলাম ও সরকার প্রসঙ্গে
লিখেছেন লিখেছেন নুরূল ইসলাম ২০ মে, ২০১৩, ১২:৫০:৪৮ রাত
৬ই এপ্রিল-২০১৩,হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাস্তিক ব্লগারদের (যারা কোন ধমdেই বিশ্বাস করে না)শাস্তির দাবিতে ঢাকামুখী লংমাচ করার কথা থাকলেও সরকারের পোষ্য কিছু পুলিশ-র্যা ব ও বাংলাদেশের কতিপয় কিছু বামদের(যারা আজ শাহবাগী হিসেবে পরিচিত)সহস্র বাধার প্রেক্ষিতে তা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়। সরকার লংমাচের দু’দিন আগে থেকে আওয়ামী বাহিনী দ্বারা হেফাযতদের বাধা দিতে থাকে। এমনকি তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাতে হরতালের মত কমসূচী পালন করে। বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হরতালের নজির এই প্রথম ।লংমাচ শেষে সমাবেশ থেকে সরকারকে তাদের কিছু দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আহবান করা হলো। এগুলো সবারই জানা(আমার মতে মুসলিম হিসেবে এ দাবি-দাওয়াগুলো যৌক্তিক)।সমাবেম থেকে সরকারকে একমাস সময় দেওয়া হলো্ ।এই একমাসের ভিতরে দাবি-দাওয়াগুলো মানা না হলে ৫ই মে ঢাকা অবরোধ কমসূচীর ঘোষনা দেওয়া হলো।সরকার তাদের কিছু দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেন।কিন্তু মাস শেষে সরকার যখন তাদের কোন দাবিই মেনে নিল না,তখন তারা তাদের কমসূচী অনুযায়ী ৫ই মে ঢাকা অবরোধ করার প্রস্তুতি নিল। অবরোধ শেষে সমাবেশ শুরূ হলো। সমাবেশে সরকার তার পুলিশ বাহিনী দ্বারা হেফাজত কমীদের গুলি করা শুরূ করল।শহীদ হতে থাকল হেফাযত কমীরা।সমাবেশে চার থেকে পাচ লক্ষ লোকের সমাগম হয়। রাত ৮ টার পরে সরকার পুরো ঢাকা শহর অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দেয়। কোথাও কোন আলো নেই। এর মাঝেও সমাবেশ চলে হেফাযতের। সমাবেশে আগত লোকদের মধ্যে অধিকাংশই এই প্রথম ঢাকা শহরে এসেছে।তাদের সবই অপরিচিত।অন্ধকারেই গুলিবষণ হতে থাকে তাদের উপর। রাত যখন দেড়টা,অধিকাংস লোকই দীঘ জাণির কারনে ঘুমন্ত।তাদের উপর আক্রমনের খবর প্রচার করা থেকে বিরত রাখতে সরকার সব মিডিয়াকে সেখান থেকে সরে নেয়।ঘুমন্ত লোকদের উপর পুলিশের মুহুমূহ্ গুলিবষণে পুরো ঢাকা শহরের লোকদের মধ্যে ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি হয়।হেফাজত কমীদের মতে, তাদের হাজার হাজার কমীরা শহীদ হতে থাকে।পুলিশের গুলিবষনের খবর যখন কোন কোন মিডিয়া(দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি)প্রচার শুরূ করে,সেই মুহূতে সরকার তড়িঘড়ি করে মিডিয়া দুটির সব কাযক্রম বন্ধ করে দেয়।আজ পযন্ত সেগুলো খুলে দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়।সরকার ভোর হওয়ার সাথে সাথে লাশ গুম করা শুরূ করে । হেফাযতের সমাবেশে যারা যোগ দিয়েছিল তাদের অনেকেই এতিম ছিল। তাদের অভিভাবকরা হয়তো এখনো জানে না যে তারা শহীদ হয়েছেন।সরকার আজ শহীদদের সঠিক সংখা নিণয়ে বাধা প্রদান করছে।দেশের প্রতেকটি মাদ্রাসায় সরকারী বাহিনী তাদেরকে গ্রেফতার করা শুরূ করেছে,তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ খুলতে দিচ্ছে না ।সরকারের অত্যাচারের মাত্রা তাদের ক্ষমতার সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে।সরকার নিরিহ লোকদের গভীর রাতে হত্যা করে ১৯৭১ সালের ২৫শে মাচের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কতৃক কালো রাত্রিকেও হার মানিয়েছে। আজ যখন সরকারের এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ বের হওয়া শুরূ হয়েছে ঠিক সেই মুহূতে সরকার ইণ্টারনেটের গতি ৭৫% কমিয়ে দিয়েছে।আমরা সরকারের এহেন আচরনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি।অনেক চেষ্টা করেও একটা পিকচার আপলোড দিতে পারিনি
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন