ওরা মানুষ নয় , ওরা আওয়ামিলিগ
লিখেছেন লিখেছেন এনোনিমাস ডেভিল ২৩ মে, ২০১৩, ০৬:০৯:৩৫ সকাল
কিসের পর্দা , আগে নিয়ম : শিক্ষিকা নামের কলঙ্কিনী মাহবুবা খানম !
আমাদের মাননীয় শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর স্ত্রী মাহবুবা খানম
জোর করে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মের হাতা কেটে নিয়েছেন আবার এও দাবী করেছেন ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার জন্য এ কাজ করা হয় নি করা হয়েছে নিয়ম মানানোর জন্যে।
বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ড. উম্মে ছালেমা বেগম বলেন ‘কেউ যদি পর্দা করার জন্য ফুল হাতার ইউনিফর্ম পড়ে বিদ্যালয়ে আসে তাতে দোষের কিছু নেই।’ তার মানে ওই বিদ্যালয়ে এমন কোনো নিয়ম ছিল না যে কেউ ফুল হাত জামা পরে আসতে পারবেনা। আর এতে প্রমানিত হয় যে, ওই মহিলার ''নিয়ম মানানোর জন্য এটা করা হয়েছে'' কথাটা মিথ্যা। আসলে এটা উনি করেছেন ওনার ইসলামবিদ্ধেসিতা থেকে এবং ক্ষমতার দাপটে।ক্ষমতার দাপটে তিনি এও বলেন যে ''সামনের ক্লাশগুলোতে নিয়ম মেনে স্কুলে না আসলে স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না'' আমি বলি ''দেশটা তর বাপের না ষোল কোটি মানুষের' আর স্কুল টা ও তর বাপের না ৩ হাজার শিক্ষার্থীর'' ওদের টাকাতেই তর বেতন হয় স্কুল চলে, তাই ওদের নিয়মেই তোকে মানতে হবে।
আমার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করি : ২০০৯ সালের গটনা, তখন আমার চোট বোন ক্লাস নাইন এ পড়ে, একদিন ওর সহকারী প্রধান শিক্ষক (আওয়ামীলীগের নেতা), ওকে এবং ওর কিছু ক্লাসমেট কে খুব অপমান করলেন বোরকা পরে স্কুল এ যাওয়ার কারণে এবং বললেন ''বোরকা পরে গেলে আর স্কুল এ প্রবেশ করতে দেবেনা।আমার বোন বাসায় এসে আমাকে সব কিছু খুলে বল্লো। তারপরের দিন আমি আমার বোনকে নিয়ে স্কুল এ গেলাম এবং প্রধান শিক্ষকের অফিসে গিয়ে ওনাকে বল্লাম আমি আর আমার বোনকে এই স্কুল এ পড়াবনা আপনারা ওর TC দিয়ে দেন আমি ওকে অন্য কোথাও পড়াব, কথা শেষ করতে না করতেই শুনতে পাই অফিসের বাহিরে চেঁচামেচির শব্দ, তাকিয়ে দেখি প্রায় ১০০ জনের মত শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বই-পত্র নিয়ে বেরিয়ে এসেছ, সবার মুখে একটাই কথা বোরকা পরতে না দিলে আমরা আর এই স্কুল এ পড়বনা !!. প্রধান শিক্ষক তো পড়লেন মহা বিপদে, পরে বাদ্য হলেন আমাদের দাবি মেনে নিতে। তাই আমি উদয়ন স্কুলের সকল শিক্ষার্থীর অভিবাবকদের কে বলতে চাই আপনারা টাকা দিয়ে সন্তানদেরকে পড়ান so আপনাদের কথামতই ওদের কে চলতে হবে, আর কি করতে হবে সেটাতো বুজতেই পারছেন।
আরো কিছু কথা :
ওরা নাকি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে চায়। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে কি এই যে মুসলমানদেরকে তাদের ধর্ম পালন করতে দেয়া হবেনা। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে তো এই হবার কথা যে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার থাকবে এবং যে যে যার যার ধর্ম পালনের পূর্ণাঙ্গ অধিকার পাবে। এখন প্রশ্ন জাগে ওরা কি আসলেই ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ চায় নাকি ইসলাম মুক্ত বাংলাদেশ চায় ??? যদি ধর্ম নিরপেক্ষই চাইবে তাহলে মুসলমানদের উপর কেন এত অত্যাচার, ইসলাম ধর্ম পালনে কেন এত বাধা ?? কারণ ওরা মানুষ নয় ওরা আওয়ামিলিগ আর একমাত্র আওয়ামিলিগ এর পক্ষেই এসব কাজ সম্বব।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৬৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন