শিক্ষাঙ্গনে দূর্নিতি (Must Read)
লিখেছেন লিখেছেন বাপের বড় পোলা ২৭ মে, ২০১৩, ০৭:৫৮:৫৮ সকাল
একটা কাজে ছোট বোনের প্রাইমারী সমাপনী পরীক্ষার সর্টিফিকেট মার্কশীট এগুলা লাগছিল। তাই আজেকে দুপুর বেলা গেলাম স্কুলে। এগুলা নেওয়ার পর স্যার বললো ১৫০ টাকা লাগবে। আমি বললাম কিসের টাকা? ওনি বললো লাগবে। যাক কিছু বললাম না। তারপর গেলাম কলেজে এডমিট কার্ড আনার জন্য । ঐখানেও বললো ৮০০ টাকা লাগবে। বললাম কিসের? বললো এডমিট বাবধ ৫০০ আর মিলাদ বাবদ ৩০০। বললাম মিলাদ বাবদ টাকা নিতে পারেন কিন্তু এডমিট বাবদ কিসের টাকা? স্যার বললো এটা সরকারী ফি। আমি বললাম যে ঠিক আছে টাকা দিচ্ছি কিন্তু আমাকে লিখিত দেন যে, কি কি বাবধ টাকা নিতেছেন। ওনারা বললো না লিখিত দেওয়া যাবে না। বললাম কেন সরকারী ফি নিবেন লিখিত দিতে সমস্যা কি? যাক এ নিয়ে অনেক ঝগড়া করলাম। তারপর এক বড় ভাই আইসা সমঝোতা কইরা দিল। আসলে টাকা কোন বড় কথা না ওনারা লাস্ট পর্যন্ত কি বলতে চায় সেটাই ছিল দেখার বিষয়।
আগে যখন কলেজে ভর্তি হইছিলাম তখন করেছিল এক নাটক। তারপর প্রতি পরীক্ষার আগে এক নাটক । শেষে ফরম ফিলাপ করার সময়তো পুরা ফ্লিম দেখায়া দিল।
আসলে এগুরা এক ধরনের প্রকাশ্যে দুর্নিতি। যা আমাদের চোখের সামনে হচ্ছে কিন্তু আমর মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছি না কারন ওনারা আমাদের শিক্ষক।
যে শিক্ষকরা আমাদের শিক্ষা দিবে কিভাদে দেশকে ভালবাসা যায়, কিভাবে দেশের উন্নয়ন করা যায়, কিভাবে দেশের দুর্নিতি রোধ করা যায়। কিন্তু ওনারাই যদি এসকল কাজ করে তাহলে আমরা যারা ওনাদের ছাত্র/ ছাত্রী আমরা কি শিখব?
এটা শুধু আমাদের এখানকার ঘটনা নয়। সারা দেশে একই অবস্থা। এ সকল সমস্যার সমাধান করা একান্ত প্রয়োজন। কথায় আছে সর্ষে যদি ভূত থাকে তাহলে কি দিয়ে আপনি ভুত ছাড়াবেন। তাও শিক্ষরাই যদি দুর্নিতি করেন তাহলে এসকল দুনিতি রোধ করবে কারা।
আসুন সকলে মিলে এ সকল দুর্নিতি রোধে সোচ্চার হই।
বিষয়: বিবিধ
১৯১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন