বিজ্ঞাপন নিয়ে কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মাদ রুবেল ২৫ মে, ২০১৩, ০৯:২২:২০ সকাল
প্রচারেই প্রসার এই কথাকে সামনে রেখে ব্যাপক বিজ্ঞাপন দেখা যায় মিডিয়ায়। বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং ব্র্যান্ডের প্রতিযোগিতা চলছে যে, কার আগে কে টিকে থাকবে। তাই কোম্পানি গুলো বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। হোক সে বিজ্ঞাপনটি শ্রী বা বিশ্রী, পছন্দ বা অপন্দনীয়, ভাল বা মন্দ, শিক্ষনীয় বা বর্জনীয়, প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক। সেটি বিজ্ঞাপন দাতা এবং মডেলদের দেখার বিষয় নয় বরং ঢাক ঢোল পিটিয়ে, নেচে গেয়ে, হুই হুল্লর করে, অবাস্তব কিছু কথা বলে, দৃশ্য দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়াই মূল উদ্দেশ্য।
সরিষা তেল, সয়াবিন তেল, কোল্ড ড্রিংক-হট ড্রিংক ,শাড়ি-কাপড়, জমি-জমা, কাগজ-কলম, হোটেল-রেষ্টুরেন্ট, টয়লেট ক্লিনার-বডি ক্লিনার, আলতা-স্নো, প্লাষ্টিক-রড, এমন কোন জিনিস নাই যে তার বিজ্ঞাপন না দেয়া হয় প্রচারের জন্য। কোন কোন পণ্যের এমন বিজ্ঞাপন দেয়া হয় যে, বাস্তবের সাথে তাহার কোন মিল নেই। নেচে গেয়ে হেলে দুলে যারা ফুটিয়ে তোলেন বিজ্ঞাপনগুলো তাদের বলা হয় মডেল। অবাক বা আশ্চর্যের বিষয় হল এই সব মডেলদের অনুসরন করেন অনেকেই। শাবিক খান যখন দেখায় যে, পাওয়ার ড্রিংক খাইলে এইসব করা যায়, নায়িকা কেয়া যখন সরিষা তেলের বিজ্ঞাপন দিতে গিয়ে নিজের দেহেরই বিজ্ঞাপন দেয়, শাহরুখ খান যখন বলেন, আমি পানি পান করি না-পেপসি পান করি তখন ভাবিয়ে তোলে আমাদেরকে।
স্যামসাংয়ের টাচস্ক্রিন সেটের একটা বিজ্ঞাপনে দেখা গেল গানের তালে মেয়েরা রাস্তার মধ্যে দাপাদাপি শুরু করল নাচের তালে, ছন্দে। এজন্যই অনেকে রাস্তায় থাক, রিক্সায় থাক, বাসে থাক, আর ঘরে থাক কানের মধ্যে দুইটা ঢুকিয়ে হাবাগোবার মত হাত-পা গুলো নাড়াচাড়া করে। বিশ্বখ্যাত পপশিল্পী সাকিরা একটি ড্রেস পড়ে গান গেয়েছেন ওয়াকা ওয়াকা, তার সেই ড্রেস হয়ে গেল তরুনীদের কাছে সব চেয়ে প্রিয় ড্রেস। বাংলাদেশে সেটা দেখতে যতই বেমানান হোক না কেন তা অহরহ পড়ছে তরুনীরা। আর ব্যবসায়ীরা বলে বেড়ায় এইটা সবচেয়ে আধুনিক। সাকিরা এই ড্রেস পড়ে বিশ্ব মাতালেন। মার্কেটে গেলে এমন কথাই শোনা যায়, এটা অক্ষয় ব্যবহার করেন, আমির খান এই তৈল ব্যবহার করেন, সালমান খান এই পারফিউম ব্যবহার করেন, নোবেল এই ক্রিম ব্যবহার করেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আর বাংলাদেশের মডেলরা যে পণ্যটির বিজ্ঞাপন দেয় সেটি নাকি তারা নিজেরাই ব্যবহার করেন না!
প্রতিদিনই আমাদের সামনে হাজির হয় আজীব চিড়িয়া মার্কা কিছু বিজ্ঞাপন। এগুলার কোনটা গোপাল ভাড়ের জোকারি মার্কা লোক হাসানো, কোনটা অশ্লীল নাচ-গানে ভরপুর, আবার কোনটা মদন মার্কা অলীক স্বপ্ন দেখানো। সাবান মাখতে-মাখতে ভেজা শরীরে মাঠ-ঘাট নারীর পদতলে অবশেষে রাজপুত্রের সাথে দেখা! সবাই জানে সাবান গায়ে মাখার জন্য। তাহলে কেন বিজ্ঞাপনচিত্রে, গোসলখানায় বা পাহাড়ী ঝরণায় বা খোলা আকাশের নীচে নারীর খোলা চামড়ায় সাবান মাখানোর দৃশ্য দেখানো হয়। ভাবখান এমন যে সাবান শুধু মেয়েরাই ব্যবহার করে। আমাদের দেশের কোন নারী মডেল যদি লেডিস পন্যের বিজ্ঞাপন দেয় তাহলে বেমানান হবে না কিন্তু রুপবতী ললনা যদি ব্লেড বা শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে অভিনয় করতে করতে বলেন, আমার এসব খুব পছন্দ, অথবা ব্লেড বা শেভিং ক্রিমের প্রশংসা করেন, তাহলে কী ভাববেন? ফেয়ার এ্যন্ড লাভলী না মাখলে চামড়া সাদা হবেনা। আর নারী তোমার চামড়া সাদা না হলে এয়ার হোস্টেস হতে পারবা না কোন চাকরী পাবানা। তাই শুরু করো ঘষাঘসি। সেকি মুখে ঘষেছ শুধু, তাহলে যে তোমার বুক কালো থেকে যাবে, হাত কালো থাকবে তা কি হয়? তাই সাদা হবার জন্য বডি লোশন মাখো। অবশেষে ক্যামেরার সামনে বুক উচু করে দাড়াও আর নারীর মাঝে অন্যান্য নারীত্ব নামক প্রকৃতির যে গুনাবলী আছে সেগুলোর সাথে তোমার বক্ষের উদারতা প্রদর্শন কর! একটি সরিষার তৈলে বিজ্ঞাপন দিতে গিয়ে যে হারে কোমর,মাজা দোলানো হয় দেখে বোঝার উপায় নাই যে এটি কি বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে না সিনেমার গান হচ্ছে। এনার্জি ড্রিংকের বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে, দেখে মনে হয় যেন সেক্সের সুরসুরি দেয়া হচ্ছে। থ্রি-পিসের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে মনে হয় যেন তার দেহকেই দেখাচ্ছে। এখন তো এমনই হচ্ছে। মানুষের রুচি যে এত নিচে নামতে পারে ভাবতেই অবাক লাগে।
রান্না-বান্নার প্রোগ্রাম গুলো দেখেন,এখানে রান্না করে একজন আর অতিথি থাকেন কয়েক জন। বেশীর ভাগ সময় অতিথি হন মিডিয়ার নামি দামী কোন অভিনেত্রী। নাচতে নাচতে, হেলে-দুলে চলে আসেন ফতুয়া আর জিন্স পরে। কখনো কখনো পাতলা ফিনফিনে শাড়ি বা সেলোয়ার কামিজ। যা পরার থেকে না পরাই ভালো। আপনারাই বলেন, ধান ক্ষেতে পানি দিবে সেটির সাথে সুন্দরী মহিলার কি সম্পর্ক থাকতে পারে। ছেলে বলে আব্বা পানি নিতে আইছে আর আব্বা বলে ওরে নিতে দে। জুতার বিজ্ঞাপনের সাথে দলীয় নৃত্যের কি সম্পর্ক থাকতে পারে। কফির বিজ্ঞাপনের সাথে ঢোল ড্রাম আর ললনার চিৎকার করে বলা সময় জেনো যায় ইহার সাথে কি সম্পর্ক থাকতে পারে। টিভির বিজ্ঞাপনের সাথে মেয়েটার চোখ টিপের কি সম্পর্ক থাকতে পারে?
বিজ্ঞাপনগুলো বলতে চায় আমাদের চুল যথেষ্ট রেশমী নয়, ত্বক ফর্সা নয়, আমরা হ্যান্ডসাম নই, কাপড় সাদা নয়, এই জমি না কিনলে অনেক কিছু হাত ছাড়া হয়ে যাবে, অমুক তেল দিয়ে বত্তা না বানালে মজাদার হবে না, ঐ ব্র্যান্ডের শাড়ি বা গহণা না পড়লে আকর্ষণীয় হওয়া যাবে না, অমুক পানীয় না খেলে যথেষ্ট স্মার্ট হওয়া যায় না ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের দেশে বেশ কিছু পারফিউমের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে। বিজ্ঞাপনগুলোর মূল বক্তব্য হলো-এটি যেই ব্যবহার করবে, মেয়েরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে। সেটি অনুষ্ঠানে হোক বা রাস্তঘাটেই হোক। অবশ্য এগুলো ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে হরহামেশাই প্রচারিত হচ্ছে। সেই সূত্র ধরে আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অবস্থা এমন যে বিজ্ঞাপন হলেই মেয়ে লাগবে আর তাদের অঙ্গ-ভঙ্গিতে থাকবে নগ্নতা, পোষাক হতে হবে শরীর অর্ধেক দেখা যাবে আর অর্ধের ঢাকা থাকবে। কেন এই বিজ্ঞাপন, এইভাবে বিজ্ঞাপন না দিলে কি পণ্যের গুনগত মান হারিয়ে যাবে? বিজ্ঞাপন দেখে মনে হয় যেন পণ্য অপেক্ষা এরা নারীর দেহ দেখাতে উন্মুখ। তার মানে নারীই এখন পণ্য হয়ে গেছে। অনেকে হয়ত এই লেখা পরে আমার প্রতি ক্ষেপে যেতে পারেন। অনেকে বলতে পারেন, ধুর মিয়া আপনি তো অশ্লীলতা আর শ্লীলতার সংজ্ঞাই জানেন না। আধুনিক যুগ তো এতোটুকু দেখাতেই পারে, শুনেন মিয়া নগ্নতাই অশ্লীলতা নয়। তখন যদি আমি বলি, চলেন ভাই আপনার বউ আর বোনকে নগ্ন করে একটু দেখি। এটাতো অশ্লীলতা নয়। তখন কি বলবেন? যারা নারী অধিকার আদায়ে কাজ করে। তাদের থেকে জানতে ইচ্ছে করে,এসবের মাধ্যমে তাদের কেমন স্বাধীনতা অর্জিত হয়? তাদের সম্মান কতটুকু বাড়ে?
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আমরা জানলাম, অন্যকোনো গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকুক বা না থাকুক দাঁত ঝকঝকে শক্ত হলেই রাজকন্যার ছেলে পছন্দ হবে, অথবা ঘরের মধ্যে চকচকা ফকফকা ফার্নিচার থাকলেই মেয়ের বিয়ে হয়ে যাবে, চকলেট খেলেই মুখ খুলবে, এই শ্যাম্পু দিলেই চুল আকাশে উড়বে-গণ হবে-কালা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা ফ্রিজের বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়, মুরগি জবাই ও বাছাই করে ফ্রিজে রেখে দেয়া হলো। কিছু সময় পর ফ্রিজ খুললে মুরগি জীবিত বের হয়ে এলো। তাদের ভাবখান এমন যে এই ফ্রিজে সবসময়ই টাটকা খাবার থাকে। এনার্জি ড্রিংস খেয়ে ফু দিয়ে বাতি নিভানোর সাথে সাথে ঝড় শুরু হয়ে যায়। স্পীডে এ্যাত্তো এনার্জি এ্যাত্তো এনার্জিং যে বাঁশের সাথে লাফালাফি না করলে তা আর কমবেই না! ফল-মূল খাওয়ার দরকার নাই শুধু স্পীড খেলেই হবে! ফল খাবেন সীজনেরও দরকার নাই, গাছের দরকার নাই দোকানে গেলেই হবে। ফলের জন্য যে গাছের প্রয়োজন, সঠিক মওসুমের প্রয়োজন এসব সত্যকথা যেনো মিডিয়ার নিরবচ্ছিন্ন বিজ্ঞাপনের আড়ালে ডেকে যায়। এরকম অন্ত:সারশূন্য বিজ্ঞাপন আমরা অহরহ দেখছি। শুধু একটা প্রশ্ন, দেশের মানুষ এতটাই বিবেক বর্জিত হয়ে গেছে যে, নিম্মরুচি এবং যৌন সুড়সুড়ির বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদ করতে কেউ এগিয়ে আসল না।
সীম কোম্পানীর বিজ্ঞাপনে কখনো চলে সারারাত ধরে ফ্রী কথা বলার সুবিধা। এ সুযোগ কি আর হাত ছাড়া করা যায়, তাই চলে রাতজুড়ে কথা বলার আমেজ। দেশের মানুষ এজন্যই আজকাল কাজের চেয়ে কথা বেশী বলে। আর লেখাপড়ায় ফেল মারে তরুন-তরুনীরা। এমনও বিজ্ঞাপন দেয়া যায় এই পণ্য ব্যবহার করলে তুমি অন্য শিশুদের চেয়ে ভালো করবে, মাথা খুলবে ইত্যাদি ইত্যাদি। রিয়েলএস্টেট কোম্পানি গুলো যেখানে অন্যের জমি দখল করছে সেখানে তারা বলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমান (সব কোম্পানি না)। আমরা এমন বিজ্ঞাপনও দেখেছি যে জমি ক্রেতা বলল আমার জমি কই? বিক্রেতা বলে ঐযে ঐখানে; কই কই এই কথা বলতে বলতে ক্রেতা পানির মধ্যে পরে গিয়ে হাবুডুবু খেতে থাকেন।
হাজার বছরের ঘুমিয়ে থাকা মমিকে জাগিয়ে তোলা হচ্ছে শুধুমাত্র রেডিও এর সাধারণ একটি ঘোষণা শুনিয়ে! চানাচুর খেয়ে ফু দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে ফেলা হয় জ্বালের ঠেলায়, ডাক্তার অপারেশান থিয়েটার আরো কত’কি আবার ভালবাসাও হয়! আরে ভাবি হরলিক্স তো রেগুলার খাবার,কেন আপনি দেন না ?........সন্তানের মায়ের প্রশ্ন। যেই দেশের সোনাবাবুরা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে হাঁড়িতে ভাত না পেয়ে ক্ষোভে আর ক্ষুধার জ্বলায় লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে কামলা করে, রাস্তার দুই পাশে অনেক শিশু ক্ষুধার জ্বালায় ডাস্টবিনের মধ্যে খাবার খুজে বেড়ায়, সেই দেশে প্রচার করা হয় হরলিক্স একটি রেগুলার খাবার সত্যিই বড় বিচিত্র এই দেশ। ইহা ছাড়াও মার্কসতো আইনস্টাইন আর নিউটন বানাতে ব্যস্ত ৪ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের আর আড়ং তো হুলুস্থল কান্ড ঘটিয়ে ফেলল রেডি হচ্ছে বাংলাদেশ, খাটি দুধের অঙ্গিকার নিয়ে রেডি আমরাও এই বিজ্ঞাপনটি দিয়ে। এখানে দেখানে হচ্ছে খাঁটি দুধের অঙ্গীকার নিয়ে ট্যাগ লাইনটার সাথে অনুশীলনরত মেয়েটার ছবির অশ্লীলতা। এই চিত্রটি দেখে অনেকে মন্তব্য করেছেন হালারা এ্যাডও বানায়। বিজ্ঞাপন যদি অশ্লীল না হতো এবং সরকারি বা বেসরকারি নীতিমালার কারণে শ্লীল হতো, তাহলে কি পন্যে চলত না?
হাঁ এ কথা সত্যি যে, এর মাঝে কিছু বিজ্ঞাপন শিক্ষামূলক ও রুচিশীল, যাদের প্রশংসা না করলেই নয়। কিন্তু বেশীরভাগ বিজ্ঞাপনই এখন কুুরুচিপূর্ণ, আর নারী পুরুষের ডলাডলি আর ঢেলাঢেলিতে পূর্ণ। বাংলাদেশে এখন প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে টিভি আছে। পরিবারে মা-বাবা আছে, সন্তান আছে। এসব ছোট শিশুরা যদি শৈশব থেকেই খারাপ কিছু অভ্যাস যেমন-ধুমপান, মিথ্যাচার ও বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গির সাথে পরিচিত হয় এবং মা-বাবার সাথে টিভি দেখতে গিয়ে এই সব কু-রুচিস¤পূর্ণ বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে তাহলে অবস্থাটা কি হয়? অশ্লীলতার আশ্রয় না নিলেও কোম্পানীর মহাজনেরা তাদের পণ্যের প্রচার করতে পারতেন। আর সে জন্য দরকার নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ কিছু ব্যক্তি আমাদের দেশে অথবা দুনিয়ার সবখানে। এত কথা বলার একটাই উদ্দেশ্য যাতে বিজ্ঞাপনগুলো শিক্ষনীয় এবং শালীন হয়। আমাদের প্রতারিত না হতে হয়। বিজ্ঞাপনের মূল উদ্দেশ্য তাত্ত্বিকভাবে পণ্যের পরিচিতি সবাইকে জানানো। অশ্লীলতার প্রচার করা নয় তার পরও তা হয়ে গেছে। আবার অনেকে মনে করেন এভাবে না করলে মানুষের চোখে পড়ে না। মজার বলেন বা অবাক বলেন ব্যাপারটা হলো, এসব বিজ্ঞাপনে যেসব সুন্দরি ললনারা নিজেকে হেলে দুলে নগ্নভাবে প্রকাশ করে তাদের মা-বাবারাও কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট!!!
মূল লেখা এখানে
সংগ্রামে প্রকাশিত
বিষয়: বিবিধ
১৮৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন