শাপলা চত্বরের নৃশংস হত্যাকান্ডঃ একটি পরিসংখ্যান
লিখেছেন লিখেছেন রায়হান আহমেদ ১৮ মে, ২০১৩, ১০:১০:১৯ সকাল
(১) পুলিশের পক্ষ থেকে এই অপারেশনের নাম - " অপারেশন সিকিউরড শাপলা"।
(২) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র দেওয়া নাম- "অপারেশন ক্যাপচার শাপলা"।
(৩) র্যাবের সাংকেতিক নাম ছিল-"অপারেশন ফ্লাশ আউট"।
(৪) শাপলা অপারেশনে গোলা বারুদ খরচের পরিমান-
(ক) টিয়ার শেল- ৮০ হাজার (খ) রাবার বুলেট- ৬০ হাজার (গ) শর্ট গানের গুলি ১৫ হাজার (ঘ) সাউন্ড গ্রেনেড- ১২ হাজার
এরবাইরে পিস্তল ও রিভলবার জাতীয় ক্ষুদ্র অস্ত্রের গুলি খরচ হয়েছে- ৩৫০ রাউন্ড।
(৫) আইন প্রয়োগকারী সদস্য সংখ্যা-
(ক) র্যাবের সদস্য সংখ্যা- ১ হজার ৩০০ (খ) পুলিশের সদস্য সংখ্যা- ৫ হজার ৭১২ (গ) বিজিবির সদস্য সংখ্যা -৫৭৬
(৬) অভিযানে যারা নেত্ত্ব দেনঃ
(ক) র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেঃ কর্নেল জিয়াউল আহসান
(খ) র্যাব -১০ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ইমরান
(গ) র্যাব-৩ এর অধিনায়ক- মেজর সাব্বির
(ঘ) র্যাব-১ এর পরিচালক- লেঃ কর্নেল কিসমত হায়াত
(ঙ) র্যাব-৪ এর পরিচালক- কামরুল আহসান
(চ) বিজিবি কে নের্ৃত্ব দেন- কর্নেল এহিয়া আজম খানসহ ৫ কমান্ডো অফিসার
(ছ) পুলিশের পক্ষে ছিলেন- যুগ্ম কমিশনার- শেখ মারুফ হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (হেড কোয়ার্টার) আনোয়ার হোসেন।
(৭) হতাহতের সংখ্যাঃ (ক) সরকারী প্রেস নোট অনুযায়ী- ১১ জন (খ) হেফাজতে ইসলামের দাবী- ৩ হজার নিহত ১০ হাজার আহত (গ) লন্ডনের ইকোনমিষ্ট বলেছে- ৫০ জন (ঘ) আল জাজিরা- ১০০ জনের মত।
সরকার শাপলা চত্বরের র্ৃশংস ঘটনা তদন্তে পুলিশ দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংবিধান অনুযায়ী এ ধরণের তদন্ত কমিটি সংবিধানের পরিপন্থী। সংবিধান অনুযায়ী অভিযোগকারী, তদন্তকারী এবং বিচারক একই ব্যক্তি হতে পারবে না। শাপলা চত্বরের ঘটনায় গুলবর্ষণকারী, তদন্তকারী এবং রিপোর্ট দাখিলকারী সবাই পুলিশ। এর ফলে কি পরিস্থিতিতে গুলি ছোড়া হয়েছিল এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে না। সুতরাং শাপলা চ্ত্বরের ঘটনার প্রকৃত তথ্য, উপাত্ত, রহস্য উদঘাটন করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন