যেঁভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে সেকুলারদের কুজন্ম হলো।

লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী ছেলে ০৪ জুন, ২০১৩, ১২:২২:০৮ দুপুর

দীর্ঘকাল মুসলিমজাতি কাফির সম্রাজ্যবাদীদের ­ ­­ দ্বারা শাসিত হয়। সম্রাজ্যবাদীরা মুসলিম উম্মাহর অজ্ঞাতে তাদের দেশে আধিপত্য বিস্তার করে। অত:পর ইসলামী জীবন ব্যবস্থার সমগ্র ভিত্তি নড়বড়ে করে দেয়। আঠারো শতকেভারতে ইসলামী সভ্যতার সবচেয়ে বড় সহায়ক সেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাও মুসলমান দের হাতছাড়া হয়েযায়। এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে গেলো। যেসব শক্তির সহায়তায় ভারতে ইসলামী কৃষ্টি ও সভ্যতা কিছু কায়েম ছিলো,ইংরেজদের রাজ্য বিস্তারেরসঙ্গে সঙ্গেই তা মুসলমানদের হাতছাড়াহয়ে যায়। তারা ফারসীও আরবীর পরিবর্তে ইংরেজীকে শিক্ষার মাধ্যমে পরিণত করে। ইসলামী আইন ব্যবস্থাবাতিল করলো, শরীয়া আদালতভেঙ্গে দিলো এবং দেওয়ানী ও ফৌজদারী ব্যাপাারে ব্রিটিশ আইন প্রবর্তন করলো। এমনকি তারা ইসলামী আইনের প্রয়োগকে খোদ মুসলমানদের জন্যেও শুধু বিবাহ তালাক ইত্যাদির মধ্যে সীমিত করে দিলো। এক সময় ইংরেজরা এ দেশে থেকেচলে যায় কিন্তু রেখে যায় তাদের ইসলাম বিরোধী চিন্তাধারা, জীবন ব্যবস্থা , আইন, অপসংস্কৃতি ও চিন্তাযুদ্ধের কুপ্রভাব। এ যুদ্ধ মুসলিম উম্মাহর অন্তরে, বিশেষত ইসলমী শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের মস্তিস্কে রেখে যায় প্রচন্ড কুফুরি চিন্তার কুপ্রভাব। এই পরিকল্পিত যুদ্ধে ইসলামের তাওহীদি- খেলাফতী চেতনারপরিবর্তে তাদের মধ্যে ব্যাপক পশ্চিমা সেকিউলার চিন্তা চেতনার অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়। এর ফলে তারা পাশ্চোত্যের সেকিউলার মগজদিয়ে চিন্তা করে, সেকিউলার চোখ দিয়ে দেখে, সেকিউলারদের নির্দেশিত পথঅনুসরনকরে চলে। তাদের মানসিকতা এভাবে গড়ে উঠলো যে, আমেরিকা ইউরোপের কোন গবেষকের নামে কোন কিছু পেশ করা হলে তারা তা বিনা বাক্যেমেনে নেয় অপর দিকেকোরআন হাদীস থেকে কিছু পেশ করা হলে তারা তা মেনে নিতে পারেনা। আরএভাবে মুসলিমদের মধ্যে দুই ধরণেরলোকের আবির্ভাব হয়।এক শ্রেণী সেকিউলার প্রগতিবাদী অপরশ্রেণী ইসলামী চেতনায় বিশ্বাসী।

এবার আপনি আপনাকে জিজ্ঞেস করেন আপনি কোন চেতনায় বিশ্বাসী??

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File