নাকে তেল গিয়ে ঘুমান

লিখেছেন লিখেছেন মাহমুদুল হক মিদুল ২৫ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৫৩:৪২ সকাল

এবার

বোমা ফাটালেন তাজউদ্দীন

আহমেদের কন্যা শারমিন

আহমেদ !!!

শেখ মুজিব বাংলাদেশের

স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে চাননি,

স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ

করে ছিলেন পাক বাহিনীর হাতে!!!

স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে বলায়

তিনি তাজউদ্দীনকে তিরষ্কার

করে বলেন, "যান, নাকে তেল

দিয়ে ঘুমান!!"

"পূর্ব

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫শে মার্চের

ভয়াল কালোরাতে আব্বু গেলেন

মুজিব কাকুকে নিতে। মুজিব কাকু

আব্বুর

সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে

গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ

পরিচালনা করবেন সেই

ব্যাপারে আব্বু মুজিব কাকুর

সাথে আলোচনা করেছিলেন। মুজিব

কাকু সে ব্যাপারে সম্মতিও

দিয়েছিলেন। সেই

অনুযায়ী আত্মগোপনের জন্য

পুরান ঢাকায় একটি বাসাও ঠিক

করে রাখা হয়েছিল। বড় কোনও

সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আব্বুর

উপদেশ গ্রহণে মুজিব কাকু এর

আগে দ্বিধা করেননি। আব্বুর

সে কারণে বিশ্বাস ছিল যে,

ইতিহাসের এই

যুগসন্ধিক্ষণে মুজিব কাকু

কথা রাখবেন। মুজিব কাকু,

আব্বুর সাথেই যাবেন।

অথচ শেষ মুহূর্তে মুজিব কাকু

অনড় রয়ে গেলেন।

তিনি আব্বুকে বললেন,

বাড়ি গিয়ে নাকে তেল

দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো, পরশু দিন

(২৭শে মার্চ) হরতাল ডেকেছি।

পূর্ব-পরিকল্পনা

অনুযায়ী আব্বু স্বাধীনতার

ঘোষণা লিখে নিয়ে এসেছিলেন

এবং টেপ রেকর্ডারও

নিয়ে এসেছিলেন।

টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার

ঘোষণায় স্বাক্ষর

প্রদানে মুজিব কাকু

অস্বীকৃতি জানান। কথা ছিল যে,

মুজিব কাকুর স্বাক্ষরকৃত

স্বাধীনতার ঘোষণা হোটেল

ইন্টারকন্টিনেন্

টালে (বর্তমানে শেরাটন)

অবস্থিত বিদেশী সাংবাদিকদের

কাছে পৌঁছে দেয়া হবে এবং তাঁরা গিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ

পরিচালনা করবেন।

২৫শে মার্চের ভয়াল

কালো রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ

মুজিবুর রহমানের

সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদের

সাক্ষাতের বর্ণনা দিয়ে শারমিন

আহমদ আরও লিখেছেন, মুজিব কাকুর

তাৎক্ষণিক এই

উক্তিতে (বাড়ি গিয়ে নাকে তেল

দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো প্রসঙ্গে)

আব্বু বিস্ময় ও বেদনায় বিমূঢ়

হয়ে পড়লেন।

এদিকে বেগম মুজিব ওই শোবার

ঘরেই সুটকেসে মুজিব কাকুর

জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখতে শুরু

করলেন। ঢোলা পায়জামায়

ফিতা ভরলেন। পাকিস্তানি সেনার

হাতে মুজিব কাকুর

স্বেচ্ছাবন্দি হওয়ার এই সব

প্রস্তুতি দেখার পরও আব্বু

হাল না ছেড়ে প্রায় এক

ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক

উদাহরণ টেনে মুজিব

কাকুকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন।

তিনি কিংবদন্তি সমতুল্য

বিভিন্ন রাজনৈতিক

নেতৃবৃন্দের উদাহরণ

তুলে ধরলেন, যাঁরা আত্মগোপন

করে মুক্তিযুদ্ধ

পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু

মুজিব কাকু তাঁর এই

সিদ্ধান্তে অনড় হয়ে রইলেন।

আব্বু বললেন যে, পাকিস্তান

সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য হলো-

পূর্ব বাংলাকে সম্পূর্ণ রূপেই

নেতৃত্ব্বশূন্য করে দেয়া। এই

অবস্থায় মুজিব কাকুর

ধরা দেয়ার অর্থ

হলো আত্মহত্যার শামিল।

তিনি বললেন, মুজিব ভাই,

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত

নেতা হলেন আপনি। আপনার

নেতৃত্বের ওপরই তারা সম্পূর্ণ

ভরসা করে রয়েছে।

মুজিব কাকু বললেন,

‘তোমরা যা করবার কর। আমি কোথাও

যাবো না।’

আব্বু বললেন, ‘আপনার

অবর্তমানে দ্বিতীয় কে নেতৃত্ব

দেবে এমন

ঘোষণা তো আপনি দিয়ে যাননি।

নেতার অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয়

ব্যক্তি কে হবে,

দলকে তো তা জানানো হয়নি।

ফলে দ্বিতীয় কারও নেতৃত্ব

প্রদান দুরূহ

হবে এবং মুক্তিযুদ্ধকে এক

অনিশ্চিত ও জটিল পরিস্থিতির

দিকে ঠেলে দেয়া হবে।’ আব্বুর

সেদিনের এই উক্তিটি ছিল এক

নির্মম সত্য ভবিষ্যদ্বাণী।

তাজউদ্দীন কন্যার

বর্ণনা অনুযায়ী, স্বাধীনতার

ঘোষণায় বঙ্গবন্ধুর

অস্বীকৃতি জানানোর পর

তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন,

‘মুজিব ভাই,

এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে।

কারণ কালকে কি হবে, আমাদের

সবাইকে যদি গ্রেপ্তার

করে নিয়ে যায়, তাহলে কেউ

জানবে না, কি তাদের করতে হবে।

এই ঘোষণা কোন না কোন

জায়গা থেকে কপি করে আমরা জানাবো।

যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়,

তাহলে সেটাই করা হবে।

মুজিব কাকু তখন উত্তর

দিয়েছিলেন-‘এটা আমার

বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর

জন্য

পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের

জন্য বিচার করতে পারবে।’

শারমিন আহমদ আরও লিখেছেন,

আব্বুর লেখা ওই স্বাধীনতার

ঘোষণারই প্রায় হুবহু

কপি পরদিন আন্তর্জাতিক

মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।

ধারণা করা যায়, ২৫শে মার্চের

কয়দিন আগে রচিত এই

ঘোষণাটি আব্বু তার আস্থাভাজন

কোন

ছাত্রকে দেখিয়ে থাকতে পারেন।

স্বাধীনতার সমর্থক সেই ছাত্র

হয়তো স্বউদ্যোগে বা আব্বুর

নির্দেশেই স্বাধীনতার

ঘোষণাটিকে বহির্বিশ্বের

মিডিয়ায় পৌঁছে দেন। মুজিব

কাকুকে স্বাধীনতার ঘোষণায়

রাজি করাতে না পেরে রাত ৯টার

দিকে আব্বু ঘরে ফিরলেন

বিক্ষুব্ধ চিত্তে। আম্মাকে সব

ঘটনা জানালেন।

লিংক ( http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjA0NTA%3D&sMg=%3D )

বিষয়: বিবিধ

১৩৯৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

213043
২৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
নীল জোছনা লিখেছেন : ও নিশ্চয় জামাত শিবিরের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। নইলে এমন মন্তব্য একজন জাতীয় নেতার মেয়ের কাছ থেকে জাতি প্রত্যাশা করে না।
213046
২৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৫২
হতভাগা লিখেছেন : শারমিনকে রিমিই সাইজ করবে
213048
২৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৫২
সন্ধাতারা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
213053
২৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০০
মাহমুদুল হক মিদুল লিখেছেন : নীল জোছনা
এটা তো একদিকে সত্যিই হতে পারে ।মরার আগে হয়তো মিসেস তাজউদ্দিনের এগুলো বলেও যেতে পারে ।
অন্যদিকে আপনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না ।এটা হতেই পারে ।এটা বাংলাদেশ
213061
২৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
মাহমুদুল হক মিদুল লিখেছেন : হতভাগা
রিমি মনে হয় সে সাহস হবে না ।কেননা এ নিয়ে তার দলই এখনও মুখ খোলে নাই ।
213062
২৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
মাহমুদুল হক মিদুল লিখেছেন : সন্ধ্যাতারা
ধন্যবাদ
213075
২৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : হয়তো হালুয়া রুটিতে টান পড়েছে তাই হয়তো রিভার্স খেলছে।
213087
২৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
মাহমুদুল হক মিদুল লিখেছেন : খেলাটা কোথায় গিয়ে শেষ হয় এটা দেখার অপেক্ষায় আছি ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File