আপনি হলে কি করতেন?

লিখেছেন লিখেছেন খালেদ সাইফুল্লাহ ১২ নভেম্বর, ২০১৩, ০৭:০৫:০৫ সন্ধ্যা

দাঁত মুখ খিঁচে চোখ বন্ধ করে প্রস্তুত

হয়ে আছি।

এই প্রস্তুতি গুলি খাওয়ার প্রস্তুতি। ডুশ

করে একটা শব্দ হলো, আর আমার

মনে হলো কিছু

একটা জিনিশ যেন আমার ডান পায়ের

মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। চোখ খুললাম,

দেখলাম,

আমার ডান উরুতে প্যন্ট ছিড়ে পতাকার মত

উড়ছে আর গলগল করে লাল গরম রক্ত বের

হচ্ছে।

এর আগে চারদিকে যখন পুলিশ

ঘিরে ফেলে তখন

উপায়ন্তর না দেখে একটি মসজিদে আশ্রয়

নিলাম, মসজিদ থেকেই ওসি প্রদীপ কুমার

দাস

আমাকে ধরে ফেলে। তারপর মসজিদ

থেকে বের

করে মাথায় পিস্তল

ঠেকিয়ে হুমকি দিতে থাকে, গুলি করব..

গুলি করবো...

আমি ভাবলাম এত লোকের সামনে নিশ্চয়

গুলি করবে না। কিন্তু যখন ঠিক মাথার এক

ইঞ্চি উপর দিয়ে একটা ফাঁকা ফায়ার

করে,

বুলেটের বাতাসে যখন চুল উড়ছিলো,

তখনি বুঝলাম এই লোকের বিশ্বাস নেই..

গুলি সে করে ফেলতেই পারে....

............ চলবে..............

পর্বঃ ২

মাথায় গুলি ঠেকিয়ে আছে.... ভাবছি এই

মুহুর্তে গুলি করলে কি হবে......।। আবার

ভাবছি, না, মনে হয় গুলি করবে না।

আচ্ছা গুলি করলে তো মারা যাব...

এটা চিন্তা করতেই

কালেমা পড়ে নিলাম।।

ঠিক তখনই

পিস্তলটি মাথা থেকে নেমে আসল

পায়ে, তখন বুঝলাম গুলি এবার করবেই।

এবার চিন্তা আসলো,

পায়ে গুলি করলে কি অবস্থা হবে? তখন

মনে পড়লো ২৮ শে অক্টোবর ছাত্রলীগের

গুলি লেগেছে আমাদের সাবেক

কেন্দ্রীয়

সভাপতি ড. রেজাউল করিম ভাইয়ের

পায়ে।

তখন তিনি তার সাক্ষাতকারে বলেছেন,

তার

পায়ের অবস্থা হয়েছে চাকা পাংচার

হওয়ার

মত। গুলি লাগার সাথে সাথেই

তিনি পড়ে যান।

এত সব চিন্তা করছি অল্প কয়েক

সেকেন্ডের

মধ্যেই। ইতিমধ্যে আমার ডান

পায়ে গুলি করা হয়ে গেছে।

আমি সামান্যতম

ব্যথাও পেলাম না। তাই কোন চিৎকারও

করি নি। আমার কোন

প্রতিক্রিয়া না পেয়ে পেছনে থাকা অন্যান্য

পুলিশ সদস্য প্রদীপকে বলছে... স্যার

গুলি লাগে নি, লাগে নি,

আরেকটা করেন।

এবার আর প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পাই নি,

চোখের সামনে পিস্তল আবার

অগ্নি উদগিরন

করলো, এবারের টার্গেট বাম উরু।

আবারো সেই

অনুভূতি... কিছু একটা যেন

ঢুকে গিয়েছে বাম

পায়ে। আমি দু’পা দিয়েই

মাটি ঠুকে দেখি আমার পা সম্পূর্ণ ঠিক....

প্রদীপ আমাকে ধাক্কা দিয়ে তিন জন

দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের

কাছে দিয়ে দেয়। শুরু

হয় ক্রমাগত লাথি, কিল ঘুষি.... হঠাৎ এক

অমানুষিক চিৎকার শুনে পেছনে তাকাই,

দেখি ......

পর্বঃ ৩

দেখলাম থেঁতলে যাওয়া একটা পা নলার

মাঝখান থেকে ঝুলছে .... লাঠির ক্রমাগত

আঘাতে পা’টি ভেঙ্গে গিয়েছে।।

অনেকদিন

পর জানতে পারলাম সেই ভাইটির নাম

ছিল

ইসমাইল রাসেল।

আমাকে দু’জন কলার চেপে ধরে আছে....

আর ৭-৮

জন বিরতিহীন লাথি দিচ্ছিল..... প্রথম দু’

একটা লাগলেও পরেরগুলো তেমন কোন

কঠিনভাবে অনুভূত হয়নি....

হঠাত দেখি একজন পুলিশ আমার

দিকে দৌড়ে আসছে.... তার হাতে ছিল

একটা রাইফেল... প্রবল গর্জন আর

গালিগালাজ

করতে করতে আসছিল...

আমি মাথা ঘুরিয়ে নেওয়ার

সাথে সাথেই

মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেলাম।

কয়েক সেকেন্ডের জন্য

পুরো পৃথিবী অন্ধকার

হয়ে গেলো.... লুটিয়ে পড়লাম রাস্তায়...

থেতলে গিয়েছে মাথার পেছনের

অংশ....

আমি পড়ে যাওয়াতে তাদের

আমাকে মারার

ক্ষেত্রে আরো সুবিধে হল...

আমি রাস্তায়

গড়াগড়ি খেতে লাগলাম.........

রক্তের নোনতা স্বাদ পেলাম.........

সাথে সাথে রঞ্জিত হয়ে গেলো আমার

সাদা শার্ট টি.......

.....চলবে......

পর্বঃ ৪

রাস্তায় গড়াগড়ি খেতে খেতেই

দেখলাম,

একটা বাচ্ছা ছেলেকে ওরা ঐ মসজিদ

থেকে বের করছে, সে কোনভাবেই

পুলিশের

কাছে ধরা দিতে রাজি নয়.........

ধস্তাধস্তি করতে থাকে..... এক

পর্যায়ে সে তাদের হাত

থেকে ছুটে যায়....

এবং পালানোর চেষ্টা করে।। কিন্তু ব্যর্থ

সে চেষ্টা.... একজন

লাঠি দিয়ে মারে .... অন্য

আরেকজন তাকে ঠেকিয়ে গুলি করে.... ।।

সেই

ছেলেটির নাম ছিল তানজিম আল

হাসান।।

সামনেই থানা ছিল.....

রাস্তা থেকে আমাকে উঠিয়ে আবার

নিয়ে চললো.....

থানা তে ঢুকিয়ে ডিউটি অফিসারের

কক্ষে আনলো। আমি ছিলাম গ্রেফতারকৃত

প্রথম

ব্যক্তি....

আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হলেও

প্রচন্ড

অবসাদে না দাঁড়াতে পেরে বসে পড়লাম.....

কেন বসলাম, এই অপরাধে শুরু হল মার...যাই

হোক শত মারেও আমি আর ঊঠি নি....

আসলে উঠার

সামর্থও ছিল না....।।

এরপর একে একে অনেক লোক

কে মারতে মারতে থানায়

নিয়ে আসছে....

মারতেছে.... আর তাদের চিৎকার সব

মিলে এক

বিভীষিকাময় অবস্থা.... আমাদের সব ভাই

একত্রে গোল

করে বসিয়ে মারতে থাকে....

ওরা একেকজন মারতে মারতে ক্লান্ত

হয়ে গেলে আরেকজন শুরু করে..... এভাবেই

চলতে থাকে প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিটের

মত.....

আমার ততক্ষনে অবস্থা কেরোসিন.....

আমি উপুড়

হয়ে শুয়ে পড়ি.... এই অবস্থায়ই আমি বাম

হাত

পকেটে কায়দা করে ঢুকিয়ে মেসেজ

টাইপ

করে পাঠিয়ে দেই আমার আপু আর আব্বুর

মোবাইলে..... কি লেখেছি, আর

কাকে পাঠিয়েছি... এটা আমার

দেখা হয়

নি.....।। কিন্তু পরে জানতে পারলাম কোন

বানানই ভুল হয় নি... যাই হোক আমি পকেট

থেকে হাত বের করার কিছুক্ষনের মধ্যেই

আমাদের সব মোবাইল নিয়ে গেলো....

আমি ততক্ষনে শিওর না, আমি খবর

পাঠাতে পেরেছি কি না.......

আমাদের মারছে এই সময় হঠাত খট

করে একটি শব্দ হয়ে একজনের কনুই

ভেঙ্গে যায়...... ঝরঝর করে রক্ত

পড়তে থাকে.....

এতে টনক নড়ে পুলিশদের....।। তাদের

মধ্যে প্রস্তুতি দেখা যায় আমাদের

হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য..... মার

বন্ধ

হয়.... আর হাত ভাঙ্গা ঐ

ভাইটিকে একটি গামছা দিয়ে বেঁধে দেয়

একজন পুলিশ...।। পরে জানতে পারি ঐ

ভাইটির

নাম ছিল কবির হোসেন....।।

গাড়ি রেডী.... এখানে আমরা তিন জনের

অবস্থা বেশী খারাপ..... আমি, তানজিম,

আর

কবির এই তিনজন

কে হসপিটালে নেয়া হবে....

আমাদের বলা হল বের হতে... তানজিম

এবং কবির উঠে চলে গেলো....

আমি শোয়া থেকে উঠে বসেছি.....

কিন্তু

ততক্ষনে আমার দু’টো পা’ই নিষ্ক্রিয়

হয়ে যায়...।। উঠব কি? আমি পা এক ইঞ্চিও

নাড়াতে পারছি না...।।

আমি উঠছিনা দেখে একজন

গালি দিতে থাকে...

আমি অসহায় ভাবে বললাম

আমি পা দুটো নাড়াতেই পারছি না....

কিন্তু সে আমার কথা বিশ্বাস করে নি......

আমি যেখানে বসা ছিলাম সেটা টাইলস

করা ছিল... এবং আমার পা থেকে বের

হওয়া রক্তে প্লাবিত ছিল......।। ঐ পুলিশ

সদস্য

আমাকে পেছন

থেকে জোরে লাথি মারে.....।।

রক্তে ভেজা থাকার কারনে আমি স্লিপ

করে সাত আট হাত সামনে চলে যাই....

তারপর

একজন এসে আমার পায়ের কেডস

খুলে দেয় ......।। আর তিনজন

মিলে আমাকে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তুলে দেয়.....।।

..........চলবে......... ।।

পর্বঃ ৫

হাসপাতালে পৌঁছার সাথে সাথে প্রচুর

সাংবাদিক আমাদের ঘিরে ধরলো।।

ক্যমেরার

ফ্ল্যাশ ও ক্লিক ক্লিক শব্দের মধ্যেই

আমাদের

স্ট্রেচারে তোলা হল.....

সেখানে শুয়ে আমি সাংবাদিকদের

ঘটনার

বর্ননা করতে থাকি.... আমি প্রথম

চিন্তা করেছিলাম নিজের সঠিক পরিচয়

সাংবাদিকদের দেব না.....

পরে চিন্তা করলাম

আমি তো জানি না আমার খবর ফ্যমিলির

লোকজন

পেয়েছে কি না...... তারপর তাদের

আমি আমার

পরিচয় দেই...।

ইতিমধ্যে ডাক্তার নার্স ও পুলিশ সকল

সাংবাদিকদের ঠেলে আমাদের

প্রাথমিক

চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন... ডাক্তার

বললেন

এই একটা ব্লেড নিন... ব্লেড নিন.....।। এই

প্রথম আমি ভয় পেতে শুরু করেছি......।।

আমি ভেবেছি ব্লেড

দিয়ে কেটে আমার

পা থেকে বুলেট বের করা হবে..... ব্লেড

আসলো.... মোড়ক খোলা হল.....।।

আমার আর সহ্য হচ্ছে না একদিকে ভীষন

পেইন,

অন্যদিকে ব্লেডের ভয় সব

মিলে মনে মনে আল্লাহকে এমন

ভাবে ডাকছি..... মনে হচ্ছিল

স্বয়ং আল্লাহ

এখনি বুঝি নেমে আসবেন....।। ডাক্তারের

কথা কানে আসলো... তিনি নার্স

কে বলছেন......

এই খুব সাবধানে ওর পায়ে যেন

না লাগে। তখন

বুঝলাম এই ব্লেড দিয়ে আমার প্যান্ট

কাটা হবে পা নয়। দু’টো পায়ে ব্যন্ডেজ

করা হল.... মাথায়

হালকা ড্রেসিং করা হল......।।

প্রচন্ড অবসাদে ও রক্তক্ষরণে পুরো শরীর

কাঁপছে। এই সময়ে একজন দাড়িপাকা লোক

আমার পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত

রাখলেন......।। এটা যেন ছিল শান্তির পরশ।

মোবাইল বের করে বললেন বাসার

নাম্বার

বলেন। আমি আমার বোনের নাম্বার

বললাম, কল

করেই আমার কানের পাশে ধরলেন। আপু

রিসিভ

করার পর আমি বললাম....... আমি সাব্বির,

আপু

বললো তুই এখন কই? আমি বললাম আমার

পায়ে গুলি লেগেছে আমি এখন CMC তে।

আল্লাহ

হাফেয.....।।

পাগুলো তো আগেই নিষ্ক্রিয়

হয়ে গিয়েছে....।।

এখন হাত গুলোও কেমন যেন শক্ত

হয়ে যাচ্ছে....

থরথর করে কাঁপছি.....।। আমার মনে হচ্ছিল

আমি কাঁপতে কাঁপতে স্ট্রেচার

থেকে পড়ে যাব।। ডাক্তার

কে কাছে পেয়ে বললাম খুব

ব্যথা হচ্ছে.........।।

ঊনি বললেন হ্যাঁ হ্যাঁ এখুনি ঠিক

হয়ে যাবে.......।। কিছুক্ষণ পর এসে আমার দু

বাহুতে ইঞ্জেকশন দিলেন......।।

এবং বললেন

আপনার বাসায় খবর দিন......।। আপনার রক্ত

লাগবে দু ব্যাগ.........।। আপনার অপারেশন

করতে হবে......।।

সাথে সাথে ঐ লোকটি হাজির

তিনি আবার আপুর

নাম্বারে কল দিলেন....।। আপুর

সাথে কথা বলতেই দেখলাম আমার দু বোন

হাসপাতালের করিডোরে......।। ডাক্তার

বলতেই আপু চিৎকার

করে বলতে থাকে আমার B+

তারও B+........ আমি দেব......

আমি দেব.......।।

...........চলবে...........

পর্বঃ ৬

পেইন কিলার দেয়ার পর অনেকটাই

স্বাভাবিক

হতে শুরু করছি।। আমাকে স্যলাইন দেয়ার

হাতে ক্যনুলা লাগাবে..... কিন্তু আমার

শিরা খুঁজে পাওয়াটা বেশ দুষ্কর। হাত

দুটো ফুলে ঢোল হয়ে আছে......।। যাই হোক

আঙ্গুলের

কাছাকাছি অবস্থানে ক্যনুলা সেট

করা হল। আমাকে একটা বেডে ট্রান্সফার

করা হল। ইতিমধ্যে কাপড় চেঞ্জ করলাম...।।

মোটামুটি একটা ভালো অবস্থানে আসতে লাগলাম.....

।।

হটাত চিৎকার

শুনে তাকিয়ে দেখি জিয়া কে নিয়ে আসা হয়েছে......।।

পা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে...।। ওর ঐ

একটুখানি পা থেকে ছয় ছয়টি বুলেট বের

করা হয়েছে.........।।

পাশাপাশি তিনটা বেডে একটাতে আমি মাঝখানে তানজিম

এরপর জিয়া......।।

এরমধ্যে জিয়া কান্না করছে দেখে তানজিম

ওকে সান্তনা দিচ্ছে......।। তানজিমের

ইন্টারনাল রক্তক্ষরন হচ্ছে প্রচুর......।। এর

মধ্যে ওর কোন স্বজন তখনো আসে নি......।।

আমাকে এক্স রে করানোর জন্য

নিয়ে যাওয়া হচ্ছে......।। তিন তলায়

নেবে......।। আমাকে হুইল

চেয়ারে বসানো হয়েছে......।। একজন

আয়া হুইল

চেয়ার ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে......।।

লিফটের

সামনে এসে অপেক্ষা করছি......।। এইসময়

দেখলাম গালিব, রহমত, রায়হান,

মেহেদী দাঁড়িয়ে আছে একটু দূরে......।।

তারা জানত না আমি কোথায়...... হটাত

দেখা.......

আমার পাশে এসে দাড়ানোর জন্য এই

কঠিন

পরিস্থিতিতে চলে এসেছিল।

সারা হাসপাতালে ডি.বি. পুলিশ গিজ

গিজ

করছে...।। এরই

মধ্যে ওরা এসে গেছে আমাকে রক্ত

দেয়ার

জন্য। আমি ওদের কাছে কৃতজ্ঞ... এর

মধ্যে হাসান রক্ত ব্যাগে নিয়ে ব্লাড

ব্যাংকে জমা রেখেছে......।। আমি ওদের

ঋণ

কখনোই শোধ করতে পারবো না.........।।

এক্স রে রিপোর্ট পাওয়ার পর

জানতে পারলাম

আমার কোন হাড়ই ভাঙ্গে নি...।।

তবে বাম

হাঁটুর নিচে, ডান হাতে এবং বাম

কাঁধে ফ্র্যাকচার দেখা গিয়েছে......।।

বাম

পায়ের গুলি একপাশ দিয়ে ঢুকে অন্যপাশ

দিয়ে বের হয়ে গিয়েছে......।। ডান

পায়ে বুলেট আছে ...... অপারেশন

লাগবে.........।।

এই রিপোর্ট পাওয়ার পর বুঝতে পারলাম

যদিও

থানা থেকে আসার সময়ে আমার

অবস্থা সবচেয়ে গুরুতর মনে হয়েছিলো,

কিন্তু

বাস্তবে তা নয়, এখন সবচাইতে বেটার

পজিশনে আমি। তাই সিদ্ধান্ত হল আমার

অপারেশন পরে হবে............।।

তানজিমের পাকস্থলিতে তিনটি বুলেট।

ওর

অপারেশন আগে হবে...।। কিন্তু শুরু

করা যাচ্ছিল না ওর অভিভাবকের

অভাবে......।। সন্ধ্যার পর ওর দুঃসম্পর্কের এক

ফুফা আসলেন......।। ওর অপারেশন শুরু হল......।।

টানা চার ঘন্টা অপারেশন করার পরও

একটা বুলেট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পেট

সেলাই করে দিয়ে আবার

এক্সরে করা হল...।।

আরেকটি বুলেট

ধরা পড়লো ব্লাডারে......।।

ব্লাডার ফেটে গিয়েছে......।। অবস্থা খুব

সঙ্গিন...।।

সকালে তার জ্ঞান ফিরেছে...

তাকে আবার ও

টি তে নেয়া হয়েছে......।। ডাক্তার তার

কানের কাছে বললেন

তোমাকে হয়তো বাঁচানো যাবে না তোমার

কিছু

বলার থাকলে বল.........।। সে বললো,

আমাকে পুলিশ

অন্যায়ভাবে গুলি করেছে,

আমি এখন মারা গেলে আমি শহীদ

হয়ে যাব...।।

এই কথাটা সে একবার নয় বারবার

বলেছিল......।। শুধু ডাক্তার নয়...... নার্স

পুলিশসহ সবাইকে খুব

নাড়া দিয়েছে কথাটা.....

...........চলবে.........।।

-Manzur Ashraf

বিষয়: রাজনীতি

১৬৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File