এই লেখার জন্য আমি দায়ী নই
লিখেছেন লিখেছেন খালেদ সাইফুল্লাহ ১৯ মে, ২০১৩, ১০:৪১:২৯ রাত
"ঢাকায় আগামী একমাস সকল প্রকার মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ"-সর্বজন শ্রদ্ধেয় মখা আলমগীর।
এই ঐতিহাসিক বানীর পেক্ষিতে দেশে কি কি ঘটতে পারে বা বিরোধীদল বিম্পি এটাকে কিভাবে গ্রহন করতে পারে তার কিছু খন্ড চিত্র আমরা দেখে আসতে পারি।
ঘটনা এক:-
আজকে হরতাল ডেকেছে বিম্পি। কিন্তু সকাল থেকে কোন প্রকার পিকেটিং বা হরতালের সমর্থনে কোন মিছিল মিটিং দেখা যাচ্ছে না। বিম্পি অফিসের সামনে দিয়েই বিআরটিসির দ্বিতল বাস গুলা ভো ভো রব তুলে অগ্রসরমান। মিসেস জিয়া দেখলেন মান সম্মান তো পাংচার হওয়ার উপক্রম। তাড়াতাড়ি লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে ফোন দিলেন বিম্পি মহাসচিবকে।
মিসেস জিয়া: হ্যালো!
ফখরুল:জী ম্যাডাম।
মিসেস জিয়া: কি ব্যাপার, হরতাল অথচ কোন মিছিল মিটিং দেখতাছি না কেন?
ফখরুল: ম্যাডাম, আপনি এখন ঘুম থেকে উঠলেন বুঝি? শুনেননি যে এক মাসের জন্য সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ?
মিসেস জিয়া: ও তাই বুঝি? ঠিক আছে, আপনি অনেক ক্লান্ত জেল খাটতে খাটতে। একটু বিশ্রামের সুযোগ যখন পাওয়া গেল তখন তা কাজে লাগান। আমি একটু এই ফাকে লন্ডন থেকে ঘুরে আসি। অনেক দিন বড় ছেলে কে দেখি না।
ফখরুল:জী ম্যাডাম, আপনার দোয়ায়।
ঘটনা দুই:-
পত্রিকায় এরকম বিজ্ঞপ্তি আসতে পারে। যেমন, একটি জরুরী বিজ্ঞপ্তি:-
-
-
-
-
-এতদ্বারা সকলকে অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু মখা আগামী একমাস ঢাকাতে সকল প্রকার মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ করেছে, সেহেতু এই খুশির খবর উপলক্ষে বিশিষ্টি বিম্পি নেতা মওদুদ আহমদের বাড়িতে আগামী কাল বাদ আসর এক শোকরানা সমাবেশ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হইয়াছে। উক্ত মিলাদ মাহফিলে সকল আসবেন। ব্যাফুক ফায়দা হবে।
ঘটনা তিন:-
খবর: ঢাকায় এক মাসের জন্য সকল সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ-মখা
প্রতিক্রিয়া: এই খবর প্রকাশের পর বিশিষ্ট অনুভুতি বিশেষজ্ঞ মুন্নি সাহা রুহুল কবীর রিজভীর কাছে জানতে চাইলেন তার অনুভুতি কি। রিজভী:-"আলহামদুলিল্লাহ, এক মাস কোন মিছিল মিটিং করা লাগবে না। পুলিশের প্যাদানী খাওয়া লাগবে না, রিমান্ডও যাওয়া লাগবে না।" -বিশিষ্ট নপুংশক বিম্পি নেতা মওদূদ, রিজভী প্রমুখ।
ঘটনা তিন:-
দীর্ঘ একমাস রাজনৈতিক কর্মবিরতীর কারনে অন্যান্য বিরোধী গোষ্ঠী যেমন জামায়াত শিবির, হেফাজতে ইসলাম অনেক সময় পেল দল গোছানোর। তারা এই একমাস নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে বিক্ষিপ্ত সমর্থকদের সংগঠিত করতে সমর্থ হবে বলে আশা করা যায়। এবং একমাস পর যখন আবার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে তখন এরা নতুন উদ্যমে নতুন শক্তিতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে।
ঘটনা পাচ:-
যেহেতু একমাস কোন বিরোধী তৎপরতা থাকবে না সেহেতু সরকারী শক্তি গুলো অলস ও কর্মবিমুখ হয়ে পড়ব। পুলিশ তাদের ট্রেনিং ভুলে যাবে। ফলে তাদের দ্বারা আর বিরোধী দল দমন করা সম্ভব হবে না।
এখন পাঠক আপনারাই বলুন এই নিষেধাজ্ঞা দ্বারা প্রকৃত পক্ষে কারা লাভবান হবে? স্বাধীন মতামতের ভার আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন