বাধা, ইসলামী আন্দোলনের সাথী: আমার অভিজ্ঞতা

লিখেছেন লিখেছেন খালেদ সাইফুল্লাহ ১৫ মে, ২০১৩, ০৮:১০:২৫ রাত

আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। হাইস্কুল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলাম এবং এ কারনে গোটা স্কুলে একটা পরিচিতি ও প্রভাব ছিল। সব শিক্ষকের কাছে একজন ভালো ছাত্র হিসেবে সুনাম ছিল। আমাদের যিনি বাংলা পড়াতেন, স্যার একদিন ক্লাসে লেকচার দিচ্ছিলেন। ক্লাস শুরু হওয়ার আগে আমার কিছু বন্ধুদের কাছে সংগঠনের কিছু প্রকাশনা বিক্রয় করেছিলাম। স্যার যখন পড়াচ্ছিলেন তখন সেই বন্ধুটি প্রকাশনা গুলো নিয়ে দেখছিল। তখন স্যারের চৈটখে পড়ে এটা এবং তিনি রেগে যান। সেই ছাত্রকে দাড় করিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি এবং কোথা থেকে তা পেয়েছে। বন্ধুটির সাথে আমার ভাল সম্পর্ক ছিল কিন্তু সে ছিল বিপরীত আদর্শের। আমাকে বিপদে ফেলার একটা সুযোগ পেয়ে সে স্যারকে আমাকে দেখিয়ে বললো, ও দিয়েছে এবং এটা শিবিরের জিনিষ। স্যার জিনিসটা দেখলেনও না। কিছু বুঝে উঠার আগেই একটা প্রচন্ড থাপ্পড় এসে পড়লো আমার গালে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক আমি এবং আমার বন্ধুরা। কেউ আমার গায়ে হাত তুলবে এটা ওরা ভাবতে পারেনি। স্যার বললেন, স্কুলে শিবির করিস তাই না? আর কোন দিন যদি তোকে এই সব করতে দেখি তাহলে খবর আছে।

স্যার যে আমাকে আঘাত করেছিলেন এতে আমি একবিন্দুও কষ্ট পাইনি। কারন ইসলামী আন্দোলন করার কারনে আমি এই আঘাত পেয়েছি। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু একটু অবাক হয়েছিলাম এই জন্য যে স্যার এর কাছ থেকে এটা আশা করিনি। যাই হোক, স্যার পরে এই ঘটনার জন্য মনে মনে খুবই অনুতপ্ত হন এবং পরদিনই আমাকে কাছে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে শান্তনা দেন। এরপর থেকে সাংগাঠনিক কাজ স্কুলে আরো বেড়ে গেল। এই ঘটনার পর থেকে স্যারের সাথে এত গভীর সম্পর্ক তৈরী হল যে এখনও এলাকায় গেলে স্যারের সাথে দেখা হলে কাছে ডেকে খোছ খবর নেন এবং সাবধানা থাকতে বলেন। আল্লাহর পথে থাকলে তিনি এ ভাবেই সাহায্য করেন।

বিষয়: বিবিধ

১০৯০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

363033
২০ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! ঠিক তাই!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File