খেলাফতে রাশেদার যুগ এবং সময়ের তন্ত্রধারীরা
লিখেছেন লিখেছেন জঙ্গী বাবা ২২ জুন, ২০১৩, ১২:২৮:০৪ রাত
একটা চ্যানেলে বাজেট সংক্রান্ত টকশো হচ্ছিল অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে।
বিরোধীদলের সাবেক একজন মন্ত্রি ছাড়াও ওখানে উপস্থিন ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তয় যাকগে সেই কথা। আসল কথায় আসি এখন। আমাদের দেশে বা বর্তমান সারা বিশ্বে শাসকদের কাছ থেকে জনগণ কালে ভাদ্রে একবার আধাবার জবাবদিহীতা চাওয়ার সুযোগ পায়। তাও ভয় থাকে, না জানি কোন মামলায় কখন লাল ঘরে ঢুকিয়ে দেয় কিংবা গুম করে দেয়।
আসুন আমরা একটু খেলাফতে রাশেদার সোনালী দিনগুলোর দিকে একটু ফিরে দেখি যে সেই সময়ের শাসকরা কী পর্যন্ত জনগণের কাছে একাউন্টেবল ছিলেন।
জুমার খুতবা দিতে দাড়িয়েছেন অর্ধজাহানের শাসক ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ)।
খুতবা থামিয়ে দিয়ে এক যুবক অবজেকশন করলেনঃ
-হে ওমর আমার একটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আপনি খুতবা পাঠ করতে পারবেননা।
-জ্বি বলুন।
-বায়তুলমাল থেকে দেয়া জামা সবাই পেয়েছে একটা কিন্তু আপনার গায়ে দুইটি কেন?
তখন মসজিদের ভেতর থেকে খলিফা তনয় আব্দুল্লাহ দাঁড়িয়ে বললেন আমিই দেব আপনার প্রশ্নের উত্তর।
-বাবার গায়ের জামাটি এত্ত তালিযুক্ত ছিল যে এটা পরে নামাজ পড়ানো যাবেনা তাই আমি আমার জামাটি আমার বাবাকে আজকের মত দিয়েছি।
প্রশ্নকর্তা সন্তোষজনক উত্তর পেয়ে নীরবে বসে পড়লেন।
সুবহানাল্লাহ!!!
এই ছিল ইসলামের খলিফাদের আদর্শ। তারা প্রতিটা ক্ষেত্রে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ছিলেন। রাজ্যে এতই সুখ-শান্তি ছিল যে সেই সময়ে জাকাতের টাকা নেয়ার মত লোক ছিলনা। কিন্ত আশ্চর্যের বিষয় হল এত ধনী একটা রাষ্ট্রের প্রধানের গায়ে থাকত তালিযুক্ত জামা। একটার বেশি জামা ছিলনা যার। রাষ্ট্রীয় কাজের সময় তার কাছে ব্যক্তিগত কোনো আত্মীয় আসলে তিনি নিভিয়ে দিতেন রাষ্ট্রীয় মোমবাতি। জ্বালাতেন নিজের কেনাটি। রাতের আঁধারে ঘুরে বেড়াতেন এখানে-ওখানে ছদ্ম বেশে। নিজ চোখে অবলোকন করতেন প্রজাদের অবস্থা। ্মুক্তকণ্ঠে ঘোষনা দিয়েছিলেন, মদীনা থেকে সুদূর ফুরাতের তীর পর্যন্ত আমার রাজ্যের ভেতরে একটা কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায় তবে আমি ওমরই এর জন্য দায়ী থাকব।
বর্তমান যুগের তথাকথিত বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্রধারীরা কি পারবে ওমরের মত হতে।
গনতন্ত্র বা আবুলতন্ত্র (এটা নাকি মূর্খদের শাসন ব্যবস্থা) যদিও জবাবদিহিতার বুলি আওড়ায় কিন্তু তা শুধু খাতায়-কলমে, বক্তৃতা-সেমিনারে, গলাবাজিতেই সীমাবদ্ধ।
ইস! আজকে যদি আবার আমরা ফিরে পেতাম সেই সোনালী দিনগুলো, তবে পৃথিবীটা আবার ভরে যেত সুখ-শান্তি আর সমৃদ্ধিতে।
বিষয়: বিবিধ
১৪২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন