এদেরকে আইনজীবী হতে কে বলেছে? এরা দালাল হলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারতো।

লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪৯:৪০ রাত

নিজামী সরাসরি জড়িত না হলে ফাঁসি দেওয়া যাবে কি: প্রধান বিচারপতি

সোমবার জমায়াতের আমির নিজামির আপিল শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন।

এতে তিনি জিজ্ঞেস করেন, নিজামীর সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে আপনাদের কাছে তো কোনো প্রমাণ নেই। এতে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া যাবে কি?

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াতের নেতা মওদুদী যেভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিতেন, মতিউর রহমান নিজামীও একই ধরনের বক্তব্য দিতেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং হত্যাও সংঘটিত হয়েছে— এ বিষয়গুলো তো নিজামীর আইনজীবীরা স্বীকার করেছেন। কিন্তু নিজামী সরাসরি হত্যা, ধর্ষণে জড়িত ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে?

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ ট্রাইব্যুনাল আইনে সরাসরি হত্যায় জড়িত থাকতে হবে এমন কোনো বিধান নেই। এ আইনে হত্যায় কাউকে উৎসাহিত করলে বা উসকানি দিলে তাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি শুরু করেন। দুপুর ১টায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

প্রধান বিচারপতি আবারও বলেন, আল-বদর বাহিনীর হয়ে নিজামী বক্তব্য দিয়েছেন এটা ঠিক আছে। কিন্তু তাঁর সরাসরি অংশগ্রহণ কোথায়?

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘জামায়াতের নেতা মওদুদী, গোলাম আজম যেভাবে বক্তব্য দিতেন ঠিক সেভাবে নিজামী চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশে বলেছেন, ‘বদর বাহিনীর মতো হিন্দুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়।’ ‘বদর বাহিনীর বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। এভাবে তিনি হত্যাকাণ্ডে উসকানি দিয়েছেন।’

প্রধান বিচারপতি আবার প্রশ্ন করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি অংশ গ্রহণ না থাকলে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া যাবে কি?

জবাবে অ্যাটর্নি জোনারেল বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনে সরাসরি জড়িত থাকলে ফাঁসি দিতে হবে এমন কোনো বিধান নেই। অপরাধের ধরন বিবেচনা করে হত্যার পরিকল্পনা, উসকানি দিলে তাঁকে সবোচ্চ দণ্ড দেওয়া যায়।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ‘৭১-এ শহীদ ডা. আলীম চৌধুরী’ নামক বইয়ে নিজামীর নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যায় মতিউর রহমান নিজামী উসকানি দিয়েছেন।’ একই ব্যক্তির দুই রকম বক্তব্য হওয়ায় এতে করে নিজামীর জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ থেকে যায়। তখন কি বইয়ে নিজামীর নাম বলা যেত না?

অ্যাটর্নি জেনোরেল মাহবুবে আলম বলেন, দীর্ঘদিন এঁদের বিচার না হওয়ায় এরা এই দেশে অনেক ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। হয়তো ভয়ে বইয়ে নাম উল্লেখ করেননি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, নিজামী খুবই ক্ষমতাশালী ছিলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যায় ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তবে নিজামীর সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল কি না?

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন,‘হিটলার নিজের হাতে কাউকে মেরেছেন, এমন কোনো সাক্ষী নেই। কিন্তু এক বিশাল জনগোষ্ঠীকে পরিকল্পনা করে নিধন করেছেন। একইভাবে নিজামীর দল আল-বদর বাহিনী; মুক্তিযোদ্ধাদের নিধন করার পরিকল্পনা করেছিল।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, নিজামীর ৭১ সালের ঘটনা অস্বীকার করছেন না। কিন্তু সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে উল্লেখ করতে পারলেন না।

অ্যাটর্নি জেনারেল আবারও বলেন, ‘‘ট্রাইব্যুনাল আইনে সরাসরি হত্যায় জড়িত থাকার প্রয়োজন নেই—এ ব্যাপারে শুধু বুদ্ধিজীবীর পরিবাররাই নয়, সারা দেশের মানুষ বিচারপ্রার্থী। মানুষ ন্যায়বিচার চায়। এ অপরাধের সাজা একটাই হতে পারে, তা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকা।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নিজামী উত্তেজনামূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন। উনি যখন ছাত্রসংঘের সভাপতি, তখন আলবদর বাহিনী গঠিত হয়। আর উনারাই স্বীকার করেছেন, জামায়াতের লোকজনই আলবদরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ছিলেন।’

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলার অপর আসামি আলী আহসান মুজাহিদ ও ভারতের ইয়াকুব মেনন নিজের হাতে কাউকে মারেননি। মেনন ষড়যন্ত্র করেছেন। ১৯ বছর জেল খেটেছেন। এর পর তাঁর ফাঁসি হয়েছে। তাঁর ফাঁসি কার্যকরও হয়েছে।’

এ পর্যায়ে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে শুনানি কার্যক্রম শেষ করেন। আগামীকাল আসামী পক্ষ এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি করবেন।

শীর্ষ নিউজ।

উপরের লেখা দেখে আবারো প্রমাণিত আওয়ামীলীগ ইচ্ছাকৃত ভাবে এবং নিজেদের মনগড়া আইনে যুদ্ধাপরাধের বিচার করতেছে। বিশেষ করে দাদা বাবুদের খুশি করার জন্য এইসব হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে।

বিষয়: রাজনীতি

১৫৬৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

353115
০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৯
সাইফুল ঈদগাহ কক্স লিখেছেন : উপরের কথোপকথনে প্রমান হল যে, নিজামী ও মুজাহিদ সরাসরি কাউকে হত্যা করেননি, এ কথা সরকার পক্ষও স্বীকার করেন। সুতরাং যারা সরাসরি হত্যা করেছে তাদের পরিচয় কি? একজনের অপরাধের শাস্তি অন্যজনকে দেয়া হচ্ছে নাতো? আমার মনে হয় নিজামীর জাবজ্জিবন হতে পারে।
353116
০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সাক্ষ্য প্রমান বা সত্যি কিছুই দরকার হয়না হত্যা করতে!
353143
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৫
শেখের পোলা লিখেছেন : বোঝা গেল দেশে বিচার পতিদের বাদ দিয়ে এ্যটর্ণী জেনারেল দিয়েইই সব বিচার সহজে নিষ্পত্তি করা সহজ৷ হয়রে এ্যটর্ণী মরণের ভয় কবে হবে?
353158
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:২২
বিবেক নাই লিখেছেন : রিদওয়ান কবির সবুজ @ সাক্ষ্য প্রমান বা সত্যি কিছুই দরকার হয়না হত্যা করতে!
353961
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এক বোনের মন্তব্য, "ভাইয়া, আমার কাছে মনে হয়, এই ব্লগটা এখন অর্ধ মৃত"। তিনি যথার্থই বলেছেন, আপনাদের সম্মিলিত অনুস্পস্থিতি বিডিটুডের ভবিষ্যৎ নিয়ে পাঠকদের খুব ভাবাচ্ছে। আগের সেই সরগরম অবস্থা এখন আর নেই, এ আসেনা, ও আসেনা, সে আসেনা, তাই আমারও আসতে ভালো লাগে না, অতঃপর নিরুত্তাপ... এমন প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ।
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File