কার হাতে কত পরমাণু বোমা

লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ১১ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:০০:১৯ দুপুর

সম্প্রতি মার্কিন বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে পাক পরমাণু বোমার মজুদ ৯০ থেকে ১১০টির মধ্যে থাকলেও থাকলেও এখন তা বেড়ে ১১০ থেকে ১৩০’এর মধ্যে পৌঁছেছে। এ হারে পাকিস্তানের পরমাণু বোমার সংখ্যা বাড়তে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে ১৬,৩০০ আণবিক বোমা আছে। তবে এ সব বোমার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

রাশিয়ার কাছে সবচেয়ে বেশি

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউট সিপ্রি-র তথ্য অনুসারে রাশিয়ার কাছে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে৷ দেশটিতে এ ধরনের বোমার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারের বেশি। ১৯৪৯ সালে সেদেশ প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল।

দ্বিতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পরমাণু বোমা বানিয়েছে এবং একমাত্র দেশ যারা এটা যুদ্ধে ব্যবহারও করেছে। দেশটির এখন সাত হাজারের বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে৷

সাবমেরিনে পরমাণু বোমা

ফ্রান্সের কাছে পরমাণু ওয়ারহেড আছে তিনশ’র মতো। এগুলোর অধিকাংশই রয়েছে সাবমেরিনে। দেশটির অন্তত একটি সাবমেরিন সবসময় পারমাণবিক বোমা নিয়ে টহল দেয়।

পিছিয়ে নেই চীন

আড়াইশ’র মতো পরমাণু বোমা আছে চীনের৷ রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সংখ্যাটা কম হলেও দেশটি ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়াচ্ছে৷ স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে এসব বোমা ছোঁড়া সম্ভব।

যুক্তরাজ্যেরও আছে পরমাণু বোমা

দুইশ’র বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে যুক্তরাজ্যের কাছে। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এই দেশটি ১৯৫২ সালে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালায়।

দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে পাকিস্তান

ইতোমধ্যে তিনবার প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান। দেশটির আছে শতাধিক পরমাণু বোমা৷ সাম্প্রতিক সময়ে পরমাণু বোমার সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি। অনেকে আশঙ্কা করেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে দেশটির লড়াই কোনো এক সময় পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

থেমে নেই ভারত

ভারত প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালায় ১৯৭৪ সালে। দেশটির কাছে নব্বইটির বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে।

ইসরাইল সম্পর্কে তথ্য কম

ইসরাইল অবশ্য নিজের দেশের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তেমন কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করে না। দেশটির আশিটির মতো পরমাণু ‘ওয়ারহেড’ আছে বলে ধারণা করা হয়।

উত্তর কোরিয়া সবার নিচে

এখন পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার কাছে দশটির কম পরমাণু বোমা রয়েছে। তবে দেশটির নিজেদের এ ধরনের বোমা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়

পাকিস্তানের হাতে বর্তমানে ১২০টি পারমাণবিক বোমা আছে। এক দশকের মধ্যেই পাকিস্তান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হতে পারে। রবিবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরেই তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারে পাকিস্তান। দেশটি পরমাণু বোমায় ফ্রান্স, ব্রিটেন ও চীনকেও ছাড়িয়ে যাবে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রাণঘাতী অস্ত্রের বৃদ্ধি বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে দ্রুত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি প্রাণঘাতী অস্ত্রের মজুত গড়ে তুলেছে। পাকিস্তানের কৌশলগত ক্ষুদ্র ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। আর তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আরো দূরে আঘাত হানার সক্ষমতরা রাখে। সম্পদকীয়তে বলা হয়, পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতা দেশটির দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ রক্ষা করছে না। দেশটির মোট বাজেটের ২৫ ভাগই যায় প্রতিরক্ষা খাতে। এরফলে নাগরিকরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেছেন, ভারতের প্রথাগত অস্ত্রের মোকাবিলায় পাকিস্তানের আরো পরমাণু অস্ত্র দরকার।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ভারতের নরেন্দ্র মোদির সরকার ইসলামাবাদের নিরাপত্তা ভীতি দূর করতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১৭৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File