আর কত নিচে নামতে পারে এক জন প্রধানমন্ত্রী
লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ১৩ জুন, ২০১৫, ০৭:২৭:৩৮ সন্ধ্যা
মায়ানমারের সবচেয়ে ছোট সীমান্ত এবং সেই সাথে এটি ভারতের সাথে দীর্ঘ সীমানার ব্যতীত বাংলাদেশের দ্বিতীয় সীমান্ত। আর সেই সীমান্ত অঞ্চলে বসবাস মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমেরা।
বর্তমানে সারাবিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমস্যা। শুধু রোহিঙ্গা মুসলিমেরাই না তাদের সাথে আছে বাংলাদেশের মুসলিম অমুসলিমরাও। যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুর কাছে বাংলাদেশের ঘটনা প্রায় চাপা পড়ে গেছে।
আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশীদের নিয়ে ইচ্ছামত বলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন তাদের মাথায় সমস্যা আছে। তাদের ধরে এনে বিচার করা উচিত ইত্যাদি ইত্যাদি। আরে আপনি একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিজের দেশের জনগনের বিপদের মুহূর্তে এই কথা বলবেন? না হয় এই সব মানুষ ভুল করেছে কিন্তু এখন আপনার দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জীবন বাঁচানো। তাদেরকে এনে পুনর্বাসন কবেন। তা না করে উল্টা তাদেরকে পাগল বলেন? এটাই কি একজন স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ববোধ?
ও এতক্ষন যার কথা বলেছি তিনি হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার ভিতরে অন্যের প্রতি মায়া নাই বা করুনা নাই। আছে শুধু হিংসা, আছে শুধু ক্ষোভ, আছে মানুষ হত্যার নীতি। এইসব নিয়ে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন মনে করি না। কারন এই সব নিয়ে সবাই মোটামুটি অবগত আছেন।
আর একজন ইন্দোনেশিয়ান সাধারন মুসলিম হায়াতুর রহমান জাকফার বলেন, ‘‘এরা আমাদের ভাই-বোন। তাই এদেরকে সাহায্য করতেই হবে। তারা একটু ভালো জীবন আর নিরাপত্তার জন্য সংগ্রাম করছে। তাদেরকে সাহায্য না করার তো কোনো কারণ নেই।’’
আরেক মুসলিম দেশ তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। অসহায় এসব মুসলমানদের জন্য ১০ লাখ ডলারের সাহায্য ঘোষণা করেছে দেশটি। জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভাসমানদেরকে এসব সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে। তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজ্জাকের কাছে তার দেশের আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব করেন।
আর আজ মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডা: মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমারকে আসিয়ান থেকে বহিষ্কার করা উচিত। ‘মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অনুমতি দেয়ার জন্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দায়ী করা।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের সহযোগিতা করাসহ তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য বিশেষ কেবিনেট কমিটি গঠন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।
বিশ্বের প্রায় অনেক খ্রিস্টান দেশ লোক দেখান হোক বা এমনিতে হোক রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য কথা বলেছে।
আমি রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা বাদ দিলাম আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য এই দেশের বর্তমান কুলাঙ্গার সরকার কি করেছে? এই দেশের মানবাধিকার সংস্থার কুত্তার বাচ্চারা কোথায়? তারা আজ এইসব দেখেনা? নাকি এরা মুসলিম বলে এদের জন্য কিছুই করা যাবে না।
শেখ হাসিনা অনেক বড় মানের একজন খেলোয়াড় বলতে হবে। যেই সাগরে ভাসমান বাঙ্গালীদের ইস্যু সামনে আসে তখন দেশের ভিতরে কোন একটা নতুন রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে দেশের দালাল মিডিয়ার চোখ ঐ দিকে রাখে। যেমন রেখেছে মোদীর সফর দিয়ে।
সবশেষে স্যার মাহমুদুর রহমানের সাথে মিলিয়ে বলতে হচ্ছে মুসলিমদের মানবাধিকার থাকে নাই। হে আল্লাহ তুমি মুসলিম বাংলাদেশিদেরকে হেফাতজ করো, আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১১১০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মাহমুদুর রহমান আজ দীর্ঘকাল কারাগারে। সবাই তাকে যেন ভূলতে বসেছি। এভাবে সব ইস্যুই হারিয়ে যাবে। জালিমদের রাজত্ব কায়েম রবে নির্দিষ্ট একটি মুহুর্ত পর্যন্ত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন