আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বটি আল-আসমা ওয়াস-সিফাত সংশ্লিষ্ট এই প্রকার শিরকের বহিঃপ্রকাশ।

লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ০১ জুন, ২০১৫, ০১:১০:০৮ দুপুর

আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বটি (E=mc2 অর্থাৎ, শক্তি হলো ভর এবং আলোর গতির বর্গ গুণফলের সমান) সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়ানো হয়, টা মুলত আল-আসমা ওয়াস-সিফাত সংশ্লিষ্ট এই প্রকার শিরকের বহিঃপ্রকাশ। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, শক্তিকে ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায় না। শক্তি কেবল রূপান্তরিত হয়ে পদার্থের অথবা পদার্থ রূপান্তরিত হয়ে শক্তিতে পরিণত হয়। তবে বাস্তবে সত্য হলো, পদার্থ এবং শক্তি উভয়ই সৃষ্ট সত্তা এবং এদের উভয়েই ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। এই মর্মে আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন,

"আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর তত্ত্ববধায়ক।"

অর্থঃ- অর্থাৎ তিনি কেবল পৃথিবী সৃষ্টিই করেননি, বরং তিনিই এর সব জিনিসের তত্ত্বাবধান ও রক্ষাণাবেক্ষণ করছেন। পৃথিবীর সমস্ত বস্তু যেমন তাঁর সৃষ্টি করার কারণেই অস্তিত্ব লাভ করেছে তেমনি তাঁর টিকিয়ে রাখার কারণেই টিকে আছে, তাঁর প্রতিপালনের কারণেই বিকশিত হচ্ছে এবং তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের কল্যাণেই তা কাজ করছে।

[আয-যুমুরঃ- ৩৯ঃ৬২]

"পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সবই ধ্বংসশীল।"

(আর-রহমানঃ- ৫৫ঃ২৬)

এই তত্ত্বের অর্থ হলো পদার্থ বা পদার্থের ভর এবং শক্তি যেহেতু সৃষ্ট কোন সত্তা নয়; বরং এক্তি আরেকটিতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে, তাই এরা চিরস্থায়ী এবং এদের কোনো শুরু বা শেষ নেই। অথচ সত্য হলো, এই গুন কেবল আল্লাহরই জন্য যার কোন শুরু বা শেষ নেই।

[উৎসঃ- এক, পেজ নং ৫৮]

বিষয়: বিবিধ

১১৮৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323841
০১ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:৫৯
সালাম আজাদী লিখেছেন : কুরআনের আয়াতে যা বলা হয়েছে তাই বুঝা ভালো। "অর্থাৎ" দিয়ে যে কথা টা বলা হচ্ছে ওটা কিন্তু কুরআন না। ওটা যিনি "অর্থাৎ" বলেছেন তার ব্যাখ্যা। "পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সবই ধ্বংসশীল।" এর সাথে শক্তি ও আলো সংক্রান্ত আইনস্টাইনীয় তত্ত্ব টা আসবে কি করে? আল্লাহ জান্নাত জাহান্নাম তৈরি করেছেন। সব কিছু ধ্বংস হলেও কিয়ামত তক, এমন কি কিয়ামতের পরেও সেই জান্নাত জাহান্নাম থাকবে। আল্লাহর আরশ তো সৃষ্ট। তা কখনো ধ্বংশ হবেনা। কোন প্রাণী জীবিত থাকবেনা এর মানে আল্লাহর সিস্টেম ও ধ্বংশ হবে এমন টা নয়। আমি বলছিনা আইনস্টাইন আল্লাহর সাথে শরিক করেছেন, এটাও বলছিনা তিনি বিরাট ঈমানদারির কাজ করেছেন। আমি বলছি এই তত্ত্ব কে যার উপর ভিত্তি করে শিরক আখ্যায়িত করলেন তা করা কি ঠিক হয়েছে? যদিও লেখটা সংগৃহিত, তার পরেও একটু বুঝে তার পরে লিখলে ভালো হত।
০১ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:৪৪
265254
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : 'অর্থাৎ' দিয়ে যে কথাটি বলা হয়েছে সেটা কিন্তু কোরান না... জায়গা মত হিট খেয়েছে... Rolling on the Floor Rolling on the Floor কিন্তু সমস্‌যা হলো, এক বইটার লেখক বিলাল ফিলিপ্‌স সাহেব...!
০১ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৯
265344
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : "আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর তত্ত্ববধায়ক।"
সূরা আয যুমার এর ৬২ নাম্বার আয়াত।

নিচের লেখা হচ্ছে এই আয়াতের অর্থঃ-

অর্থঃ- অর্থাৎ তিনি কেবল পৃথিবী সৃষ্টিই করেননি, বরং তিনিই এর সব জিনিসের তত্ত্বাবধান ও রক্ষাণাবেক্ষণ করছেন। পৃথিবীর সমস্ত বস্তু যেমন তাঁর সৃষ্টি করার কারণেই অস্তিত্ব লাভ করেছে তেমনি তাঁর টিকিয়ে রাখার কারণেই টিকে আছে, তাঁর প্রতিপালনের কারণেই বিকশিত হচ্ছে এবং তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের কল্যাণেই তা কাজ করছে।

এখানে লেখক নিজের মত করে মনে হয় কিছুই বলে নাই কারন কুরআন এঁর আয়াতের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

সালাম আজাদী ভাই।
০১ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫২
265392
সালাম আজাদী লিখেছেন : আসলে ঈমান ও শির্কের কোয়েশ্চন তখন আসে যখন এই বিষয়কে ধর্ম হিসাবে গ্রহন করে। তাবীআহ বা নেচার চলে একটা সিস্টেমে। এই সিস্টেম আল্লাহ তৈরি করেছেন। কেও যদি এই সিস্টেম কে আল্লাহ বলেন বা সৃষ্টি কর্তা বলেন, তখন আমরা শির্ক হচ্ছে কিনা দেখবো। যারা সাইয়েন্সের এই বিষয় গুলো উপলব্ধি করেছেন তাদের মধ্যে আইনস্টাইন একজন। দু:খের কথা হলো তিনি নাস্তিক ছিলেন। নাস্তিক হয়ে এতটুকু হয়েছে তিনি এই গুলোকে সৃষ্টি কর্তা বলেন নি। ফলে শির্কের প্রশ্ন আমি উঠাই না।
তবে যিনি এই শক্তি কে আল্লাহ মনে করবেন, বা আল্লাহর মত ধ্বংশহীন মনে করবেন তখন ই আসবে শিরকের প্রশ্ন।
323904
০১ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
ছালসাবিল লিখেছেন : আইন্সটাইন নাকি নিজের টেলিফোন নাম্বার ও বাড়ির ঠিকানা মনে রাখতে পারতো না Smug
০১ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
265391
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : জি আমিও এই কথা শুনলাম।
323907
০১ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই তত্বটি পদার্থের অবস্থার সুচক মাত্র। পদার্থ বা শক্তি সৃস্টির সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই। এভাবে ফতোওয়া দেওয়ার কোন প্রয়োজন নাই। এটা তো খ্রিষ্টানদের মত হয়ে গেছে যারা পৃথিবি স্থির এই বিষয়কে প্রমান ছাড়াই প্রমান করতে অনেক মানুষ মেরে ফেলেছিল।
০১ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
265390
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাই, আমি ফতোওয়া বা এই সম্পর্কে কিছু বুঝাতে চাই নাই আমি শুধু লেখাটা তুলে ধরলাম এই ছাড়া আর কিছুই না। তবে বিজ্ঞানের অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা এই কথা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে।
০১ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৩১
265405
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমিও করি। কারন এটা গানিতিক হিসাব।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File