মাওলানা ভাসানী'র "হক কথা'য় প্রকাশিত, সেই দেশ কাঁপানো সম্পাদকীয়।

লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ২১ মে, ২০১৫, ১১:০১:৫১ সকাল

মাওলানা ভাসানী হক কথায় লিখেন,

একদিন শয়তানের প্রধানকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। শয়তানের সকল শাখায় সংবাদ পৌছে গেল যে, শয়তান প্রধানের কোন খবর নাই।

খবর পাওয়া মাত্রই দুনিয়ার সকল শয়তান জরুরী ভিত্তিতে মিটিংয়ে মিলিত হয় এবং ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু দুদিন পার হওয়ার পরও কোন সন্ধান কেউ দিতে পারেনি।

অতপর শয়তানের যে এজেন্ট জাহান্নামের দায়িত্বে আছেন, তাকে ফোন করা হল, শয়তান প্রধানকে আল্লাহ কোন গোপনে জাহান্নামে ঢুকিয়ে রেখেছে কিনা? খবর আসল তিনি জাহান্নামে নাই।

তাহলে বেহেশতে দেখ আল্লাহ কোন তাকে মাফ করে দিয়ে সেখানে রেখেছে কিনা? সকল সম্ভাব্য সুত্রে খবর নিয়ে দেখা গেল তিনি সেখানেও নেই। শয়তানের সকল এজেন্সীগুলো আবারো সচল হল এবং শয়তান প্রধানকে ভূপৃষ্টে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হল। কোথাও থেকে কোন আশাব্যঞ্জক খবর পাওয়া গেলনা।

দুদিন পর অকস্মাত খবর আসল শয়তান প্রধানকে পাওয়া গিয়েছে। সবাই প্রশ্ন করল কোথায়?? উত্তর আসল তিনি বাংলাদেশের বঙ্গভবনে।

সবার প্রশ্ন তিনি ওখানে কি করছেন? মাধ্যম, উত্তরে জানালেন তিনি এখন শেখ মুজিবের পা টিপাটিপি করিতেছেন। সব শয়তান তাজ্জব হয়ে গেলেন দুনিয়ার এতকাজ থাকতে শয়তান প্রধান শেখ মুজিবের পা কেন টিপতেছেন কেন? তার সাথে কি কথা বলা যায়? উত্তর আসল এমুহুর্তে কথা বলার সময় ওনার হাতে নাই, কেউ যাতে ওনাকে বিরক্ত না করে। তারপরও সকল শয়তান তাদের প্রধানের নিকট অনুনয় বিনয় করে জানতে চাইলেন শেখ মুজিবের পা টিপার রহস্যটি কি?

অবশেষে শয়তান প্রধান জানালেন, শয়তান প্রধান নিজেও একজন মানুষকে গোমরাহ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। কখনও সফল হন কখনও ব্যর্থ হন। কিন্তু শেখ মুজিব যেভাবে একটি বক্তৃতা দিয়ে তার সকল অনুসারীদের গোমরাহ করেন, সে যোগ্যতা শয়তান প্রধানের নেই। শেখ মুজিব এক কথায় যতজন মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারেন, শয়তান প্রধান সারা জীবনেও তা করতে পারেন না। আর ৭ই মার্চের ভাষনে শেখ মুজিব এক বক্তৃতায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে গোমরাহ করেছে, যা কিনা সকল শয়তান সদস্য ১০০ বছরে করতে পারেনা। তাই শয়তান প্রধান অন্য সকল কাজ বাদ দিয়ে একজনের পা টিপাতে লেগে গেছেন, যদি শেখ মুজিবের মাধ্যমে আরেকটি বক্তৃতা বের করা যায় এই আশায়।

মাওলানা ভাষানী কর্তৃক প্রকাশিত "হক" কথা পত্রিকাটি তারপর দিনই নিষিদ্ধ করা হয় চিরতরে। মাওলানা ভাষানী গ্রেফতার হন, নিক্ষিপ্ত হন জেলের প্রকোষ্টে। এখানে উল্লেখ্য যে মাওলানা ভাসানী শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক গুরু ছিলেন।

মুজিবের সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তের দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন মুজিবের যোগ্য কন্য হাসিনা।

সংগ্রহীত

বিষয়: রাজনীতি

১৫২৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

321540
২১ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
বুসিফেলাস লিখেছেন : জয় মা-কালী,
জয় হাসিনা Tongue
২১ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১০
262606
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : জয় বাংলা বলে পিছে চলো
321559
২১ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
321652
২১ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৭
শেখের পোলা লিখেছেন : এখনও কি শয়তান সে পদে বহাল আছে? হয়ত আছে তবে প্রধান নয় এজেন্ট৷ ভাষানী সাহেব নিজেও চেলাকে চিনতে ভুল করেছিলেন৷ যখন চিনলেন তন অনেক দেরী হয়ে গেছে৷ধন্যবাদ৷
২১ মে ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
262719
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : ওস্তাদের সাথে বেয়াদবি করার ফল পেয়ে গেছে ১৫ই আগস্ট।
321660
২১ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শয়তান এখনও তার কন্যার পা টিপতেছে!
২১ মে ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
262720
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : জি ভাই তবে এখন খুব কম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File