ইন্দিরা গান্ধীর নামে বিশ্ববিদ্যালয় করলে অবাক হওয়ার কিছু নাই।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ০৮ মে, ২০১৫, ০২:৪১:৪৫ দুপুর
আজ ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোন ভাবে যদি আওয়ামীলীগ সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত থাকে তাহলে "ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ" নামেও বিশ্ববিদ্যালয় করবে আওয়ামীলীগ সরকার। আর বলবে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য ইন্দিরা গান্ধীর স্মরণে এই বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। এতে আমাদের অবাক হওয়ার মত কিছুই নাই কারন দলটা যে আওয়ামীলীগ এরা এমন কোন কাজ নাই যা করতে পরে না।
যেই ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করার সময় বলেছে চাষার ছেলেরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাহলে চাষবাস করবে কে? আর আজ সেই ঠাকুরের নামে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ আছে তাদের নামে কেন করা হল না? সিরাজগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে যারা আছেন,
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীঃ- বিংশশতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যদিও ভাসানীর নামে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীঃ- আধুনিক বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রথম দিকের মুসলমান সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম একজন।
আবদূর রশীদ তর্কবাগীশঃ- ভারত উপমহাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আশির দশকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অবধি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিনঃ- বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক, বিজ্ঞান কর্মী এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা। তবে তিনি আবদুল্লাহ আল-মুতী নামেই সমধিক পরিচিত। বাংলাদেশের বিজ্ঞান লেখকদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় যিনি ইউনেস্কো কলিঙ্গ পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়াও আরও অনেক ব্যাক্তি আছে সিরাজগঞ্জের কিন্তু তাদের কেউ এই দেশের জন্য কিছুই করে নাই!!!!!
সবচেয়ে বড় কথা আওয়ামীলীগ সরকার নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে সেই মুক্তিযুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নামে কি এই বিশ্ববিদ্যালয় করা যেতো না? নাকি তারা কেউ আওয়ামীলীগ না করার কারনে তাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করা যাবে না? আমাদের ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের নামে কি করা যেতো না? সিরাজগঞ্জেরও এক জন ভাষা সৈনিক আছে এম এ মতিন তার নামে কি করা যেতো না? মূল কথা হচ্ছে ভারতীয় দাদাদেরকে খুশি করার জন্য আজ আওয়ামীলীগ সরকার উঠে পড়ে লেগেছে। তাই আজ তারা দেশের কথা ভুলে গিয়ে অন্যকে খুশি করার জন্য এইসব করে যাচ্ছে। যদিও আওয়ামীলীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই দেশে এবং এই দেশের মানুষের কথা ভুলে বিদেশী প্রভুদের কথা মত কাজ করে যাচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
১৮৯৩ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে দেশে গুনীর কদর হয় না সে দেশে গুনীর জন্ম হয় না । আর যে দেশ নিজ দেশের গুনীদের চেয়ে বাইরের মানুষদেরকেই বেশী কদর করে তারা কখনও আত্ম পরিচয় নিয়ে শক্তভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না ।
আমি ইন্ডিয়ান দালালের নামেও একখান বিশ্ববিদ্যালয় খুলবো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন