কামারুজ্জামানের ফাঁসি এবং নাস্তিক আওয়ামীলীগ ও বিএনপি
লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ১৩ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৪৮:০৬ দুপুর
এক.
মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আগে দালাল মিডিয়ার সংবাদ প্রচার দেখে মনে মনে খুব কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু কিছুই করার নাই সহ্য করে নিয়েছি আগের ঘটনারমট করে। যেই দিন আদালত থেকে রিভিউ খারিজ করে দিয়েছে ঐ দিন থেকে শুরু হয় মিডিয়া নামের কিছু কুকুরের খামারের উন্মাদের লাফালাফি। যদি পারতো ঐ দিনই মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসি দিয়ে দিত। যেই সব অপরাধে ফাঁসি দিয়েছে আধো তা সত্য কিনা মানুষ বিশ্বাস করে না। যদি পাঠকের বিশ্বাস না হয় তাহলে একজন ডাক্তারকে জিজ্ঞাস করে নিয়েন এক জন মানুষ কয় জনকে ধর্ষণ করতে পারে। আমার সব চেয়ে অবাক লাগে ১৯ বছরের মত একটা ছেলেকে কিভাবে গাদ্দার পাকিস্তানীরা লিডার হিসেবে নিয়েছে? এই কথা আমার কোন দিন বিশ্বাস হবে না। তারপর আছে অসংখ্য মিথ্যা সাক্ষী, অসংখ্য মিথ্যা মামলা। যাক অবশেষে গত ১১ তারিখ রাত ১০ঃ০১ মিনিটে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে শহীদ মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে। কবর দেওয়া জানাজার নামাজ পড়া নিয়ে পুলিশের নির্যাতন অনেকেই শুনেছেন তাই নতুন করে কিছু বলার নাই। ফাঁসি দেওয়ার পর থেকেই বিশ্বের অনেক দেশে গায়েবানা জানাজা পড়া হয়েছে এবং গত ১২ এপ্রিল সারাদেশে গাজেবানা জানাজা পড়া হয়েছে। যেখানে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল কয়েক লক্ষ।
দুই.
এই মুহূর্তে যদি বাংলাদেশের কোন ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাস করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ স্থানের নাম কি? আমার বিশ্বাস সেই ব্যাক্তি উত্তর দিবে শাহবাগ। এই শাহবাগের কিছু কুলাঙ্গারের অবস্থা দেখলে মনে হয় এখনো ১৫০০ বছর অতীতে আছি আমরা মানে আইয়ামে জাহেলির যুগে। এদের অধিকাংশ জন্মগত ভাবে মুসলমান কিন্তু এরা আমার কাছে কোন মুসলমান হিসেবে স্থান পায়না। একজন মানুষের হত্যা করার পর এদের অবস্থা দেখলে বুঝা যায় এরা বর্তমান পৃথিবীর সব চেয়ে নিকৃষ্ট জাতি ইসরাইলের জন্ম নেওয়া ইহুদী। শাহবগের সাথে আওয়ামীলীগ সরাসরি জড়িত যদিও দালাল মিডিয়া তা বলতেছে না। আওয়ামীলীগ যখন দেখেছে ট্রাইব্যুনাল দিয়ে জামায়াত নেতাদেরকে হত্যা করতে পারবে না। তখইন তাদের বন্ধু ভারতীয় "র"য়ের বুদ্ধিতে দেশের কিছু উন্মাদ ছেলে মেয়েদের নিয়ে শুরু করা হয় শাহবাগ। যার অর্থ সম্পূর্ণ রাষ্ট্র বহন করে আসছে এবং আওয়ামীলীগ ও নাস্তিক পন্থী ব্যবসায়ীরা দিয়ে আসছে। এদের কারনে সরকার বাংলাদেশের আইন পরিবর্তন করতে হয়েছে এবং সেই আইনের মাধ্যমে শহীদ আব্দুল কাঁদের মল্লাকে হত্যা করেছে আওয়ামী সরকার। তারপর দিয়েছে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী হুজুরকে আমৃত্যু কারাদণ্ড। শুধুমাত্র এই শাহবাগের কুলাঙ্গারদের কারনে এই সব করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। কারন আওয়ামীলীগ সরকার জানে জামায়াত যদি কোন দিন ক্ষমতায় আসে তাহলে জীবনে আর কোন দিন ক্ষমতায় আসতে পারবেনা দেশের অন্য কোন রাজনৈতিক দল। (আওয়ামী মন্ত্রী পরিশোধে এক দিন এই নিয়ে আলোচনা করে তারা। এক মন্ত্রীর পিসি এর কাছ থেকে শুনা) এই সব কিছু এবং ভারতের "র"য়ের বুদ্ধিতে এই সব হত্যাকাণ্ড করে যাচ্ছে তারা।
তিন.
পৃথিবীতে অনেক সুবিধাবাদী দেখেছি কিন্তু বিএনপির মত সুবিধাবাদী দল আর দেখি নাই। এরা ক্ষমতার লোভে শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে সরে গিয়েছে। বিএনপির নেত্রী বেগম জিয়া জানে আওয়ামীলীগ সরকার বিরুধী মতকে দমন করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেছে। কিন্তু তারপরেও কিছুই বলতেছে না। আমি জামায়াত নেতাদের জন্য বলতেছিনা তাদের নেতাদের কথা বলতেছি। স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রামের সাবেহ সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় এবং সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়ার পরও কোন প্রকার বিবৃতি বা একদিনের জন্য হরতাল দেয় নাই। বিএনপি সম্পর্কে যত না বলা যায় তত ভালোই ভালো। ঘোলা পানি যতই ঘোলা করবে ততই ঘোলা হবে। এরা চায় বিনা কষ্টে ক্ষমতায় যেতে মানে এরা চিন্তা করতেছে এখন যদি আমরা যুদ্ধাপরাধের বিপক্ষে বলি তাহলে জনগণ পরবর্তীতে আমাদের ভোট দিবে না তাই এরা এখন চুপ মেরে আছে। যদিও নিজেদের নেতাকে হারাবে কয়েক দিনের মধ্যে।
চার.
সবশেষে বলা যায় আমার মতে জামায়াতের এখন উচিত ২০ দল তথা বিএনপি থেকে সরে আশা। বিএনপি জামায়াতকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যবহার করতেছে। বিএনপি এখন পর্যন্ত বলে নাই আমরা জামায়াতের সঙ্গে আছি বা নাই তারা সব সময় বলে ২০ দল ভাঙ্গবে না। এখানে বাকি ১৮ দল নিয়ে কোন সমস্যা নাই শুধুমাত্র সমস্যা হচ্ছে জামায়াতকে নিয়ে। জামায়াত যদি সরে যায় তাহলে তাদের অনেক কর্মী জামায়াতে যোগ দিবে বা ভোট দিবে। আর এখন যদি তারা জামায়াতকে ছেড়ে দেয় তাহলে আর দেশে কোন প্রকার আন্দোলন হবে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা পদের জন্য আন্দোলন করতে পারে কিন্তু রাজনীতির জন্য বা দেশের জন্য না। এইসব চিন্তা করে বিএনপি এখন জমায়াতের সঙ্গ ছাড়ে না। একদিন না এক দিন জামায়াত আলাদা হতে হবেই তাই এখন হওয়াই ভালো।
মনে রাখবেন তেলে আর জলে কোন দিন এক হয় না ইসলামীক দলের সাথে সাধারন দল কোন দিন এক হবে না সে আওয়ামীলীগ হোক বা বিএনপি হোক।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন