বিএনপি এবং সিটি নির্বাচন
লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ২৪ মার্চ, ২০১৫, ১০:২৮:৩২ সকাল
আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে তিন সিটি নির্বাচন। আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সিটি নির্বাচনে সব দল অংশ গ্রহন করবে এমন কি বিএনপি (শীর্ষ নিউজ)।
এখন আমার ছোট মুখে বড় কথা হচ্চে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে জানে বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে? তাহলে কি কিছু হয়েছে আমরা ধরে নিব? আর বিএনপি যদি এই সিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে তাহলে এত দিন অবরোধ কেন দিয়ে আসছে? আর এই কয় দিনে দেশের সাধারন মানুষকে কেনো রাজনীতিবিদেরা পুড়িয়ে মেরেছে?
এখন পর্যন্ত যা জানি বিএনপি এই সিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে এবং মেয়র নির্বাচন প্রায় শেষের দিকে।
এমনিতে বিএনপির কিছু কুলাঙ্গার নেতার কারনে আজ দেশের এই অবস্থা। এখন যদি বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে তাহলে বিএনপির জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।
সময়ের কাজ সময়ে যদি না করা হয় তাহলে তা পরবর্তীতে বিশাল ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়। যেমন দাঁড়িয়েছে বর্তমানে।
২০১১ সালের ১০ মে যখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল ঘোষণা করল সুপ্রিমকোর্ট তখন বিএনপির বড় বড় নেতারা এক দম চুপ মেরে ছিল। আবার কিছু কিছু নেতা টকশোতে এর বিরুধীতা করেছে। তখন বিএনপি যদি এর জন্য কঠিন আন্দোলন করতো তাহলে ঐ সময়ই এই সব সমাধান হয়ে যেত।
যাক এই সব পুরনো বিষয় নিয়ে কথা না বলে বর্তমান বিষয় নিয়ে বলা অনেক ভালো। এখন মূল কথা হচ্ছে বেগম জিয়া হয়তো এই নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু বিএনপির কিছু নেতা বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে দিয়ে এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে। আমি আশা করি তারেক জিয়া এই নির্বাচনে যাবে না। তারপরেও যদি যায় তাহলে তারেক জিয়াকে তাইওয়ান দূতাবাস খোলার পরবর্তী ইতিহাস এবং বর্তমানে চিনের নিরপক্ষ তার কথা মাথায় রাখবে।
এখন যদি বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে তাহলে হয়তো বর্তমান সরকার বিএনপিকে পাস করি বলবে আমরা সুষ্ঠ নির্বাচন দিয়েছি। তখন আরো বলবে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনও সুষ্ট হয়েছে। আর বিদেশীরা চুপ মেরে যাবে। যদিও বাংলার সাধারন জনগণ এই সব বিষয় কিছুই করতে পারবে না। যত দিন না এক হবে।
আর ভারতীয় "র" চাইবে যেই করে হোক এই নির্বাচন সম্পূর্ণ করার জন্য। কারন এতে তাদের অনেক স্বার্থ জড়িয়ে আছে।
শেষ বারের মত বলতে পারি বিএনপি যদি কোন কারনে এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে তাহলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না বাঙ্গালী আর বাঙ্গালী থাকবে না। কারন তখন হয়তো আমরা বাঙ্গালী থাকব না আমরা ভারতীয় হয়ে যেতে পারি।
বর্তমান এই অবস্থা দেখে বাংলার কয়েক জন বুদ্ধিজীবী এই রকম কিছু কথা বলেছেন।
নির্বাচন হয়ে গেলে রাজনীতি অন্য দিকে মোড় নিবে যা আর একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিয়ে ফিরিয়ে আনা যাবে না। যা ২০১৯ সালেই অনুষ্ঠিত হবে। যার মূল সমস্যা বাংলাদেশে এর চেয়ে অনেক বড় বড় ঘটনা সরকার নানা ভাবে দামা চাপা দিয়ে পেলেছে।
"ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।"
বিষয়: রাজনীতি
৯২৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন