এই দেশের মেয়েদের শরীরেরই কি সব কিছু?
লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:৫৫:৪৩ সন্ধ্যা
লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার নামের একটা অনুষ্ঠান আছে যেখান থেকে আগামী দিনের অভিনেত্রী খুজে বাহির করা হয়ে থাকে। এই অভিনেত্রী খোজার নামে এই দেশের কত হাজার মেয়ের ইজ্জত নষ্ট হয়েছে তা শুধুমাত্র যারা নষ্ট করেছে তারা জানে। গতকাল রাতে টিভি দেখার সময় রিমোটের বাটন চাপতে চাপতে এক জায়গায় এসে চোখ আটকে গেল তাহল চ্যানেল আইয়ের স্ক্রীন। যাতে দেখানো হচ্ছে কয়েক টা মেয়ে (তাদেরকে বেশ্যা বলা যেতে পারে) ভিবিন্ন স্টাইলে জামদানি শাড়ি পরে রেম্পে চলাফেরা করতেছে । আর জামদিনি শাড়ি পরার স্টাইল দেখে নিজের কাছে অনেক খারাফ লাগছে কারন এরা জামদানি শাড়ি পরে জামদানি শাড়ির ঐতিহ্য মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এদের একেক জনের শাড়ি পরার স্টাইল দেখে মনে মনে চিন্তা করলাম আসলে কি জামদানি শাড়ি এইভাবে পরে? আর এরা কার জন্য এত সাজসজ্জা করেছে? এই সব থেকে একটা জিনিস বুঝা যায় এরা নিজেদের শরীর দেখিয়ে অভিনেত্রী হতে চায়। কারন এদের শরীরের কোন দাম নাই এদের শরীরের চেয়ে একজন যৌন কর্মীর শরীরের অনেক দাম আমার মনে হয়। কারন যৌন কর্মী টাকার জন্য এই কাজ করে আর এরা জনপ্রিয় হওয়ার জন্য নিজের শরীর দেখায়। আর এই সব অনুষ্ঠানে প্রথম হওয়ার জন্য কত এমপি মন্ত্রীদের কাছে যাওয়া লাগে বা রাত কাটাতে হয় একমাত্র তারাই ভালো জানে। আমার এলাকার এক জনপ্রিয় মডেল আছে যে আজ ৮ বছর নিজের গ্রামে যায় না এক মন্ত্রীর সাথের ঘটনার কারনে। আর এইসব মেয়েদের দেখে পরবর্তী প্রজন্মের মেয়েরাও একই চিন্তা করে যে আমরাও সুপার স্টার হব। এই সুপার স্টার হতে গিয়ে কত মেয়ে নিজের ভবিষ্যৎ হারিয়েছে, যারা হারিয়েছে তারাই বলতে পারবে। আসলে এই সব মেয়েদের দোষ দিয়ে লাভ নাই কারন সব দোষ এদের বাবা মায়ের। বিদ্যা সিনহা মীমকে সুপার স্টার করতে যদি মিমের বাবা ২০ হাজার ওয়ারিদ সিম কিনে এসএমএস করে থাকে। আর এর থেকে বুঝা যায় এই সব কিছুর পিছনে এদের বাবা মা। আর বাবা মা নিজের মেয়েকে দিয়ে এই সব করায় টাকার জন্য কোন ভাবে যদি মেয়ে একবার প্রথম হতে পারে তাহলে আর তাদের টাকার অভাব হবে না। এদের বাবা মা যদি এই লেখাটা পড়তে পারত তাহলে নিজের মেয়েকে আর এই সব কাজ করতে দিত না। আল্লাহ আমাদের সকলকে ইসলামের দেখানো পথে চলার তৌফীক দান করুক, আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৮ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সব মিলিয়ে এগুলো আসলে সেসব মেয়েগুলোর রুচিহীনতার পরিচয়, আর যারা এসব অনুষ্ঠান চালায়, তারা তো ইচ্ছাকৃতভাবেই টাকার বিনিময়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলার জন্য এগুলো করে – জেনে শুনেই , এদের কোন প্রকারেরই হিতাহিত জ্ঞান অবশিষ্ট নাই, এরা শুধুই পণ্য এখন, মানুষ না!
সব মেয়েকে আমি খারাপ বলি না, তবে আমার দেখা বেশীরভাগ মেয়েই কোন না কোন দিকে একরোখা, যার জন্য অনেককে সাফার করতে হয় – তবে সব জায়গায় তারা সফলতা পায় না, এটাও সত্য!
এর জন্য দায়ী রাষ্ট্র।
মন্তব্য করতে লগইন করুন