আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ এর একটু ব্যাক্তি গত একটু তথ্য
লিখেছেন লিখেছেন মাজহারুল ইসলাম ১৭ জুলাই, ২০১৩, ০২:৪০:১৭ রাত
আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল এবং আগামীকাল যার বিরুদ্ধে কথিত অপরাধের রায় ঘোষণা করা হবে। তাঁর জীবনের ২টি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আজ। * একবার (সময়টা মনে নেই) ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সহ সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিদের একটা জরুরী বৈঠক ডাকা হল। তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি (খুব সম্ভবত আকন্দ ভাই) ফোন করলেন আলী আহসান মুজাহিদ ভাইকে। ফোন করে বললেন, আমরা আগামীকাল বাদ ফজর আপনার বাসায় আসবো এবং জরুরী বৈঠকে বসব এরপর নাস্তা করে চলে আসব। মুজাহিদ ভাই ঠিক আছে বলে ফোন রেখে দিলেন। কিছুক্ষন পরেই কি মনে করে আবার ফোন ব্যাক করলেন সিপিকে (সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট)। বললেন, আগামীকাল তোমরা অন্য কোথাও প্রোগ্রাম এরেঞ্জ করো। সিপি আশ্চর্য হয়েই জিজ্ঞেস করল, কোনও সমস্যা ? মুজাহিদ ভাইতো মুখের উপর না বলার মত মানুষ নন। এই প্রশ্নের জবাব মুজাহিদ ভাই প্রথমেই দিতে চাননি। কিন্তু পরে সিপি জোরাজুরি করলে তিনি জবাব দিলেন, তোমরা এতজন সম্মানিত মানুষ আমার বাসায় আসবে, কিন্তু তোমাদেরকে বসতে দেয়ার মত এতোগুলো চেয়ার কিংবা ভাল কোনও সোফা সেট আমার নেই। তাছাড়া, এতজন মানুষের সকালের নাস্তার ব্যবস্থা করার সামর্থ্যও আমার নেই। তাই বলছি, তোমরা অন্য কোথাও প্রোগ্রাম এরেঞ্জ করো। একথা শুনে সিপি চোখের পানি ছেড়ে দিলেন। এশিয়া মহাদেশের অন্যতম একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সেক্রেটারি জেনারেল বলছেন একথা !!! ধরা গলায় সিপি বললেন, সোফার দরকার নেই, আমরা মাটিতেই বসবো এবং নাস্তাও আমরা সঙ্গে করে নিয়ে আসবো, আপনাকে কিছুই করতে হবেনা। এরপর দিন যথাসময়ে আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের বাসায় প্রোগ্রাম শুরু হল। * আরেকবার খুব সকালে মন্ত্রনালয় থেকে ফোন এল। খুব জরুরী ভিত্তিতে তাঁর অফিসে যাওয়া দরকার। তিনি রেডি হয়ে তাঁর জন্য নীচে প্রস্তুত রাখা সরকারী গাড়ীতে গিয়ে উঠে বসলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ছেলে দৌড়ে এল এবং বলল, বাবা, আমি কলেজে যাবো, তুমি যাওয়ার পথে আমাকে নামিয়ে দিয়ো। কিন্তু মুজাহিদ ভাই তাঁর ছেলেকে গাড়ীতে উঠতে দিলেন না। তিনি বললেন, বাবা, এটা তোমার বাবার গাড়ি নয়, এটা মন্ত্রীর গাড়ি। তাছাড়া এই গাড়ী শুধু মন্ত্রনালয়ের সরকারী কাজে ব্যবহার করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে, আমার ব্যক্তিগত কোনও কাজে কিংবা তোমাকে কলেজে নামিয়ে দেয়ার জন্য নয়। এই বলে তিনি ছেলের হাতে ২০ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি পাবলিক বাসে করে কলেজে চলে যাও। এই দৃশ্য দেখে চোখের পানি ফেলে দিলেন তাঁর সরকারী পি এস। এই দুটি ঘটনা হল এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর একজন সেক্রেটারি জেনারেলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আর এই ব্যাক্তির বিরুদ্ধেই আগামীকাল হয়তো ফাসি/যাবজ্জিবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। সত্যিই, এই পৃথিবী এখন জালিমের পদতলে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ শুধু এটাই, তোমার দ্বীনের সৈনিক, তোমার দ্বীনের সিপাহসালারদের হেফাজত করো। আমিন।
কপি - তাওহীদুল ইসলাম
বিষয়: রাজনীতি
১৪৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন