আম-বাম্লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে যে কারণে!!!
লিখেছেন লিখেছেন আসমা সিথী ৩০ মে, ২০১৩, ০৯:৪২:৩৫ রাত
আম্বাম্লীগ যে সব অপকর্ম করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থাৎ যে সব অপকর্মে তাদের কাছ থেকে মানুষের আস্থা উঠে গেছে তার মধ্যে উল্লেখজনক হলো-
*পিলখানায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার চক্রান্তে দেশপ্রেমিক ৫৭ সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে তাদের বিরোধ তুঙ্গে তুলে দেওয়া।
*শেয়ার বাজারের লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারীর কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়ে তাদের পথে বসানো।
*ডেসটিনি, ফ্রিল্যান্সার, ডোলেন্সারসহ এমএলম কোম্পানিগুলোকে বন্ধ করার নামে এসব কোম্পানির হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
*পদ্মা সেতুর টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে খেয়ে নেওয়া।
*আড়িয়ল বিলে জনতার ঝাটা পেটা খাওয়া।
*টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে ভারতের নির্লজ্জ দালালের ভূমিকায় নামা।
*নারায়ণগঞ্জের রূপপুরে সেনাবাহিনীকে জনতার মুখোমুখি করে দেওয়া
*কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নিরপরাধ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিরুদ্ধে দণ্ড প্রদান।
*মাওলানা সাঈদীর রায়ের পর নির্বিচারে গণহত্যা চালানো।
*রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা চালানো।
*মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশে দ্বিতীয় দফা গণহত্যা চালিয়ে উল্লাস প্রকাশ করা।
* সোনালী ব্যাংক ও হলমার্ক কেলেঙ্কারি।
*সাগর-রুনিসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক খুন
*চ্যানেল ওয়ান, শীর্ষনিউজ, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, সোনার বাংলাদেশ ব্লগ, বাঁশেরকেল্লা ফেসবুক পেজসহ গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে বন্ধ করে দেওয়া।
*শাহবাগিদের মতো একটি নষ্ট ও ধর্মবিদ্বেষী প্রজন্ম প্রস্রব করা।
*রানা প্লাজায় আগের দিন ফাটল ধরলেও শ্রমিকদের হরতালবিরোধী মিছিল করার জন্য জোর করে ডেকে এনে হত্যা করা।
*সর্বোপরি তত্ত্বাবধায়কের মতো একটি সর্বজনবিদিত সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করে নিজেদের ইচ্ছেমতো নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখা।
এতোসব গুরুতর অপরাধের সঙ্গে কালোবিড়াল ওরফে চোরঞ্জিত মামার হাতে নাতে টাকার বস্তা চুরি, ছাত্রলীগের খুনোখুনি, ধর্মের বিরুদ্ধে কটাক্ষতো রয়েছেই।
এতো হাজারো অপকর্মের পরও আম্লীগ ২০১৩ সালের শেষের দিকের নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসবে।
কেন? কারণ
* এই গুরুতর ইস্যুগুলোতে জনগণের পাশে না থেকে আম্বাম্লীগ পন্থি মিডিয়ার ভয়ে ঘরে আঁচল দিয়ে লুকিয়েছিল বাংলাদেশ শাড়ি ও চুড়িয়তাবাদী দল (বিএসপি)।
*এখন কেবল তারেক ইস্যুতে হরতাল দিচ্ছে, জনতার যেখানে উৎসাহ সেই উৎসাহের ইস্যুতে হরতাল দিতে সাহস পাচ্ছে না বিএনপি। তারেক রহমানকে আগেই দুর্নীতির বরপুত্র বানিয়ে রেখেছে আম্বাম্লীগপন্থি মিডিয়া। সুতরাং তারেক ইস্যুতে হরতাল মানুষের মনে অতোটা প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু মতিঝিলের গণহত্যা, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতুর টাকা চুরি, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে দেওয়া অবৈধ রায়ের বিরুদ্ধে যদি হরতাল ডাকা হতো তবে এ দেশের মানুষ হরতালের নতুন সংজ্ঞা লিখতে বাধ্য হতো।
*তারেক ইস্যুতে হরতাল দিলেও কয়েকটা মামলা দিলে ছাত্রদল-যুবদলসহ শাড়ি ও চুড়িয়তাবাদী দল ফের আঁচলে মুখ ডাকবে। এবার তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে তুলে আনলেও ঘর থেকে বেরোবে না।
*তত্ত্বাবধায় ইস্যুর সঙ্গে তারেক ইস্যু যোগ করে শাড়ি ও চুড়িয়তাবাদী ১৮ দলীয় জোটকে দৌঁড়ের উপর রেখে আগামী নির্বাচনের কার্যক্রম এখনি শুরু করেছে আম্বাম্লীগ।
*শাড়ি ও চুড়িয়তাবাদী জোট যুদ্ধারপরাধ ও তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে মাঠে হাবুডুবু খাবে, স্বৈরাচারি-গণহত্যাকারী আম্বাম্লীগ এবার কয়েকদফা গণহত্যা চালিয়ে (চালাতে পারবে, কারণ মিডিয়া তাদের সেই লাইসেন্স দিয়ে আসছে।) শাড়ি ও চুড়িয়তাবাদীদের দমিয়ে দেবে।
অনেকেই বলেন, সরকারের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে পুলিশ এবং প্রশাসন ততই নিষ্ক্রিয় হবে। তাদের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলা যায়, দু’দফা গণহত্যা কিন্তু সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততো নিকটবর্তী দিকেই হয়েছে। অর্থাৎ সময় যতো ঘনাবে পুলিশ ও প্রশাসন ততো নিষ্ক্রিয় হবে না, শেখ হাসিনার পুরস্কারের বিনিময়ে (শাড়ি ও চুড়িয়তাবাদীদের সঙ্গে লড়াই করে মরলে ৫ লাখ, আহত হলে ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে) ১৮ দলীয় জোটের নিরস্ত্র ও বোকাচো-া কর্মীদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলবে। মিডিয়া কিচ্ছু বলবে না। বলতে পারে হয়তো এমনিভাবে যে, নিজেদের রক্ত দিয়ে রাজপথকে অপরিচ্ছন্ন করে ফেলেছে আঠার দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা (দৈনিক মতির আলো)
সবদিক থেকে হিসেব মিলিয়ে দেখলাম, দিনের পর দিন বাঙালি শাড়ি ও চুড়িয়তাবাদের দিকে ঝুঁকছে, অর্থাৎ যতোই এদের পশ্চাতে বাঁশ দেওয়া হচ্ছে ততোই এরা গর্তের মধ্যে ঢুকে পড়ছে, আর লেডি হিটলার হাসিনা ততোই আগ্রাসী হয়ে উঠছেন।
একদিন ধ্বংসতো সবাই হয়, হাসিনাও না হয় হবেন। কিন্তু তার আগে বোকাচো-া বাঙালিকে আরেকবার বোকা বানিয়ে যান ঠিক স্পেনের কর্ডোভার মতো!
অর্থাৎ হাসিনার ইদানীং কালের কর্মকাণ্ড ও থোড়াই কেয়ার ভাব এবং শাড়ি ও চুড়িয়তাবাদী দলের পাছা লুকানোর ভাব থেকে মনে হচ্ছে বাকশালের জনক মুজিব তনয়া হাসিনাই আবার ক্ষমতায় আসছেন।
ক্ষমতাবাদী খালেদা তার দুই সন্তানকে বিদেশে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে আছেন। শুধু বোকাচো-া বাঙালিই দুই পক্ষ থেকে বাঁশ খেয়ে গেল।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন