উভয় সঙ্কটে চুছিল ছাম্বাদিকরা: সরকারের চোখ রাঙানি ও মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয়!
লিখেছেন লিখেছেন আসমা সিথী ২০ মে, ২০১৩, ০৭:১০:০৫ সন্ধ্যা
উভয় সঙ্কটে পড়েছেন চুছিল ছাম্বাদিকেরা। সরকারের চোখ রাঙানি ও এতোদিনের দালালির মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয়ে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।
সরকারের অবৈধ কাজে কখনো সমর্থন না দিলেও চুছিল ছাম্বাদিকদের উভয় সঙ্কটে ফেলে দেওয়ায় আওয়ামী-বাম সরকারকে ধন্যিবাদ না দিয়ে পারছি না।
এ জন্য ধন্যিবাদ দিচ্ছি যে, খেলা কেবল শুরু অইছে।
চ্যানেল ওয়ান বন্ধ, শীর্ষনিউজডটকম বন্ধ ও সম্পাদক একরামকে গ্রেপ্তার, আমার দেশ বন্ধ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার, প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা সাঈদীর রায় পরবর্তী গণহত্যা এবং সর্বশেষ মতিঝিলের গণহত্যাকে সমর্থন দিয়ে নির্লজ্জ সরকারি বিটিভি গিরিতে ব্যস্ত ছিল চুছিল ছাম্বাদিকেরা।
চুছিল ছাম্বাদিক ও ছম্বাদ প্রতিষ্ঠানের এমন বেহায়া মানবতাবিরোধী কাজে আকাশ কেন ভেঙে পড়লো না এটাই ছিল অবাক করা বিষয়।
সে যাই হোক! সরকার দেখলো যে, আকাম করার পর নিজেরা বৈধ করা লাগছে না, চুছিল ছাম্বাদিকরাই তা বৈধ করে দিচ্ছেন তাই একের পর এক প্রকল্প হাতে নিচ্ছে হাসিনা-ইনু সরকার।
কয়েকটি উদাহরণ দিই, যুগান্তরের মালিক নুরুল ইসলাম বাবুইল্যার বিরুদ্ধে ৭টা মামলা, বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে নয়া দিগন্ত, মানবজমিন, নিউএইজ, একুশে টিভি আর বাংলাভিশন। সরকারের চোখ রাঙানির ভয়ে এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ বিক্রি করে দেওয়ার মনো বাসনা প্রকাশই করে দিলেন মালিক মাহফুজুর রহমান। সম্প্রতি, নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে মাহফুজ বলেই দিলেন যে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ গেলেই উপর মহল থেকে ফোনের পর ফোন আসে।
আরও মজার ব্যাপার হলো, এখন ডানপন্থি বুদ্ধিজীবীদের খুব কমই টকশোতে নেওয়া হয়। টকশোতে যারা যান সবাই আওয়ামী-বাম বুদ্ধিজীবী বলে খাস পরিচিত। কিন্তু এই আওয়ামী-বাম বুদ্ধিজীবীদের ঘর-বাচানোর সমালোচনাও সহ্য হচ্ছে না বাকশালী চেতনায় উজ্জীবীত আওয়ামী সরকারের। অর্থাৎ নিজেদের মিডিয়া- নিজেদের বুদ্ধিজীবীদের ভাসুরের নাম মুখে নিতে নেই মার্কা সমালোচনাও সহ্য হচ্ছে না হাসিনা-ইনু সরকারের।
সবচেয়ে নিরপেক্ষ পত্রিকা দাবি করা প্রথম আলোও (ডানপন্থিরা আগে থেকে জানলেও সাম্প্রতিককালে নিজেদের পরিচয়ের মুখোশ আর রাখতে পারেনি নষ্ট মতি ও তার গংরা) সরকারের নাখোশ পত্রিকার তালিকায় রয়েছে।
ফেনীর জয়নাল হাজারী, লক্ষ্মীপুরের তাহের ও জারজপুত্র বিপ্লব, নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান ও তার পরিবার গংসহ আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর চক্ষূশূল মতি ভাইয়ের পত্রিকাটি। এখন সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই প্রথম আলো ও মতি গংয়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে মুখিয়ে আছে শীর্ষ সন্ত্রাসী চক্র। আর সরকার একে মতিঝিলের গণহত্যার মতোই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে করা কাজ বলে চালিয়ে দেবে।
ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পর একটি নিউজ করার কারণে সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার সরকারের প্যাদানি খেলেও শাহবাগের কামোত্তেজনায় ভুলে যান সেসব, তাইতো মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতার ও আমার দেশ, দিগন্ত, ইসলামিক টিভি বন্ধে তার উল্লাস সবারই চোখে লেগেছে, উল্লাস অব্যাহত রেখেছে ভূমিদস্যুদের প্রতিষ্ঠান কালের কণ্ঠ ও বাংলানিউজ।
উল্লাস করলেও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার হুমকি ও বাস্তব কয়েকটি উদাহরণের প্রেক্ষিতে পাছা সোজা করে বসতে বাধ্য হচ্ছেন চুছিল ছাম্বাদিক মহল।
তাই সম্প্রতি মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও আমার দেশ, দিগন্ত, ইসলামিক টিভি খুলে দেওয়াসহ ভিন্ন মত সহনে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন চুছিল ছাম্বাদিকরা।
ফল কী হলো, সরকারতো আকামের বৈধতা পেয়ে আসছে, তাই এ বিবৃতিটিকেও প্রত্যাখ্যান করতে গলা কাঁপলো না। মেম্বারি নির্বাচনেরও যোগ্যতা না থাকা তথ্যমন্ত্রী ইনু (গুগলে INU লিখে সার্চ দিলে কী আসে দেইখেনতো) বললেন, চুছিল ছাম্বাদিকরা না বুঝে বিবৃতি দিয়েছেন। তার মানে তোগোর বিবৃতিরে থোড়াই কেয়ার।
সরকারের প্যান্দানির লগে নিজ প্রজনন গোষ্ঠীর উগ্র প্রতিক্রিয়াতো রয়েছেই। বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে চুছিল ছাম্বাদিকদের অবস্থা এখন দেখার মতো।
আমি বেশ আনন্দিত এবং আবারও সরকারকে ধন্যবাদ। এইসব বেশ্যা মিডিয়াগুলা ধ্বংস করে দাও। সাহস করে আসুক একটি আমার দেশ। একটি আমার দেশই জনগণের পক্ষে কথা বলবে। লাখো দালাল মিডিয়ার দরকার নেই আমাদের।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন