হারাম অর্থে দেহের যখন পুষ্টি সাধিত হয় তার ইবাদাত ও প্রার্থনা আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়.

লিখেছেন লিখেছেন বান্দা ১৬ মার্চ, ২০১৫, ০৯:৩৯:৩৮ সকাল



পারিবারিক জীবনে ভরন-পোষণের জণ্য যাবতীয় আয়-রোজগার বৈধ পন্থায় হালাল উপার্জন হতে হবে। মানুষের আয়-রোজগার যখন হালাল হয় এবং হালাল রিজিক দ্বারা রক্ত-মাংস গঠিত হয়, তখন তার হৃদয় ঈমানের নুরে আলোকিত থাকে। পক্ষান্তরে আয়-রোজগার যখন হারাম হয় এবং হারাম রিজিক দ্বারা রক্ত-মাংস গঠিত হয়, তখন তার হৃদয় থেকে ঈমানের নুর বের হয়ে যায়।

হযরত আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে লোক সকল! আল্লাহ পবিত্র,তিনি পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ মুমীনদেরকে সেই কাজের নির্দেশ দিয়েছেন,যার নির্দেশ পয়গম্বরদেরকে দিয়েছেন। সুতরাং মহান আল্লাহ বলেছেন: হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর এবং সৎকর্ম কর - (সূরা মু’মিনূন ৫১ আয়াত)। তিনি আরও বলেছেন: হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি তা থেকে পবিত্র বস্তু আহার কর এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর;যদি তোমরা শুধু তাঁরই উপাসনা করে থাক-(সূরা বাকারাহ ১৭২ আয়াত)। অতঃপর তিনি সেই লোকের কথা উল্লেখ করে বললেন, যে এলোমেলো চুলে, ধূলামলিন পায়ে সুদীর্ঘ সফরে থেকে আকাশ পানে দু’হাত তুলে ইয়া রব! ইয়া রব! বলে দো’আ করে। অথচ তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম এবং হারাম বস্তু দিয়েই তার শরীর পুষ্ট হয়েছে। তবে তার দো’আ কিভাবে কবুল করা হবে? - (মুসলিম)

ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, রাহাজানী-ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, জুয়া-লটারীর, অবৈধ পেশা (যেমন- নাচ, গান, অভিনয়, জীব-জন্তুর ছবি অংকন, মুর্তি-মুরাল-প্রতিকৃতি তৈরী, যৌনসেবা ইত্যাদি), অবৈধ চাকুরি, অবৈধ ব্যবসা (যেমন- মদের ব্যবসা, সিনেমার ব্যবসা), অবৈধ ব্যবসার শেয়ার, সুদ ভিত্তিক ব্যবসার শেয়ার ইত্যাদির মাধ্যমে যিনি প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন তার উপার্জিত অর্থ হারাম। হারাম অর্থে দেহের যখন পুষ্টি সাধিত হয় তার ইবাদাত ও প্রার্থনা আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়.

বিষয়: বিবিধ

৯৩৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309240
১৬ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:২০
১৭ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৩৪
250360
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : লেখকের কোন আওয়াজ নেই কারণ কি?
309242
১৬ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:৩০
sarkar লিখেছেন : এই জন্যই মুসলমানদের চরম মূল্যদিতে হচ্ছে।কারণ আমাদের ঢাক আল্লাহর দরবারে গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে।আমাদের ইমানী শক্তি বিনষ্ট করছে।ইনসোরেন্স এর নামে হারাম খাওয়ানো হচ্ছে।
309244
১৬ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:১২
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ, আল্লাহ আমাদেরকে হালাল উপার্জনের সক্ষমতা দান করুন ! আপনার লেখাটি সামু ব্লগে প্রচার করেছি সংগৃহীত হিসেবে
309280
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:২১
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ।খুবই সুন্দর পোষ্ট ।আমাদের চারিপাশে অসংখ্য লোক রয়েছে তারা নামাজে কালামে খুবই পরহেজগার কিন্তু ইনকাম হালাল নয় ।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File