''কর্তিত লেজ এবং পর্দাভীতি''
লিখেছেন লিখেছেন বান্দা ০৯ মার্চ, ২০১৫, ১২:৫২:২৬ দুপুর
ধূর্ত শিয়ালের কর্তিত লেজের কাহিনী বাল্যকালে পড়িয়াছিলাম। নিজের লেজ কাটিয়া গিয়াছে বলিয়া অপরের লেজ কাটাইবার ফন্দি করিয়া ধরা খাইয়াছিল। অপরের লেজ দেখিলেই ঐ লেজকাটা শিয়ালের হিংসা হইত। ইহা একপ্রকার লেজভীতিতে পরিণত হইয়াছিল।
যাহা হোক, এখন আধুনিক লেজকাটা কিছু শিয়ালরূপী মানবী দেখিয়া এই গল্প মনে পড়িল। ইহারা হইল আধুনিক, সুশীল নারীনেত্রীগণ যাহাদের মাঝে কিছু আবার শিক্ষিকাও বটে। ইহারা বেশীরভাগ বিগতযৌবনা। ইহাদের কুপ্রবৃত্তি বয়সকালে খুব একটা কাজে লাগাইতে পারিয়াছে বলিয়া মনে হয় না। কেননা এইদেশে ২০/ ৩০ বছর পূর্বেও এতটা বেহায়াপনা ছিলনা। তবে একাধিক পতি ইহারা অনেকেই বদল করিতে বাধ্য হইয়াছে। কেননা এই বিষের বড়ি হজম করিবার মত নীলকণ্ঠের দেখা পাওয়া ভার। তাই বুঝি সংসারের জ্বালা মিটাইতে ইহারা অপর নারীর সুখের সংসারে আগুন জ্বালাইবার চেষ্টায় সদা চঞ্চল। এমনিতেই নারীগণের পরশ্রীকাতরতা হিন্দি সিরিয়ালের পর্ব সংখ্যার মতই ক্রমবর্ধমান।
যৌবনে সবার মত ইহাদেরও তেলতেলে, চকচকে ত্বক ছিল। ঐ ত্বক দেখাইবার মানসে পোশাক খুলিতে ইহাদের বেজায় আনন্দ হইত। যেহেতু মস্তিষ্কে পশ্চিমা মল ব্যতিত কিছুই নাই, সেহেতু ইজ্জত নামক শব্দ ইহাদের অভিধানে নাই। তাই গৃহে অথর্ব অথবা দুঃচরিত্র, দাইয়ুস পতি রাখিয়া বাহিরে পরকীয়াতে মত্ত থাকিয়া ইহারা গাছেরটা এবং তলারটা খাইবার সুখ অনুভব করিত।
কিন্তু সময় ইহাদের ত্বকের আদ্রতা কাড়িয়া নিয়াছে। পারসোনার স্পাতেও কোন ফল হয়না। তাই নিতান্তই ভদ্রতাবশত কিছু দূর হইতে করা প্রশংসা ব্যতিত কোন রসিক ভ্রমর জুটে না। পূর্বের গুণগ্রাহী খদ্দেরগণ পর্যন্ত ইহাদের পিংপং বলের মত একজন অপরজনের দিকে তুই নিয়া যা আমি রাখিব না বলিয়া ছুড়িয়া দেয়। অপরদিকে গর্ভে পয়দা হওয়া সন্তানগণ যেহেতু আরও আধুনিক তাই মাতার বৃদ্ধ বয়সের সম্বল না হইয়া অপর রমণীর কম্বল গরম করিবে ইহাই স্বাভাবিক।
এতসব যন্ত্রণা ভুলিতে এখন এই রমণীগণ অপর ভদ্র, সভ্য, ধার্মিক রমণীগণের পিছনে লাগিয়া থাকে। নারী জাতির সম্মান এবং ধার্মিকতার প্রতীক পর্দা দেখিলেই ইহাদের মস্তিষ্কে শয়তানী চিন্তা ভর করে। তখন এইসব খুরশিদা আলম, খুশী কবির, সুলতানা কামাল, মিতা হকেরা কাপড় দেখিলেই হিংসায় জ্বলিয়া পুড়িয়া ছারখার হইয়া যায়। নিজের সমস্ত সত্ত্বা দিয়া ইহারা পর্দা খুলিবার চেষ্টা করে আর নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়। ইহাদের দুর্দশা দেখিয়া বড়ই করুণা জাগে। ইহাদের দুনিয়া এবং আখিরাত দুইটাই কি যে কষ্টকর!!!!!!!!
সুপ্রিয় ইসলামিক, পর্দানশীন ভগিনীগণ, আপনারা জান্নাতে মা ফাতিমা, মা আয়েশার সাথী হইবেন ইনশাল্লাহ। তাই এইসব দাইয়ুসের ঝি, দাইয়ুসের তিন নম্বর উপপত্নীগণের আচরণে দুঃখিত না হইয়া ইহাদের একখানা করিয়া রুমাল উপহার দিয়া আসিবেন। যাহাতে ইহাদের গোপন অশ্রু মুছিতে পারে অথবা কুৎসিত বদন ঢাকিতে পারে। এবং অবশ্যই ইহাদের হেদায়েতের জন্য দোয়া করিতে থাকিবেন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন।
সংগ্রীহিত
বিষয়: বিবিধ
১০৮৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ।
এটা কড়া কথা হবে কেন ভাইয়া আমার কোন ভুল হলে অবশ্যই বলতে পারেন ।
সত্য উচ্চারণ।ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন