হামাসের একজন নারী যোদ্ধা যেভাবে ইসরাঈলী কর্ণেলকে হত্যা করল
লিখেছেন লিখেছেন বান্দা ২৭ আগস্ট, ২০১৪, ০১:৪০:১৫ দুপুর
হামাসের এক নারী মুজাহিদার অসাধারণ হামলায় নিহত হলো ইজরাঈলী সেনাবাহীনির কমন্ডার লেফটেন্ট কর্নেল দোলেভ কেদার সহ চার ড্রাকুলার সেনা সদস্য!
======
হামাসের এক নারী যোদ্ধার সুকৌশলী আক্রমনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার নিহত হয়েছে। বুধবারের এই হামলায় এই কমান্ডারের সাথে আরো তিন সেনা নিহত হয়েছে। কমান্ডারের এই হত্যার পর সারা ইসরাইলে ব্যাপক শোক নেমে এসেছে এবং ইসরাইলী সেনাবিহিনীর মধ্যে ব্যাপক ভীতি বেড়েছে। তবে এই নারী যোদ্ধা-ও শহীদ হয়েছেন।
কৌশলের বর্ণনা:
ইসরাইলী সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণের অংশ হচ্ছে কিছু গোপন সিগন্যাল ও কোড নাম্বার। হামাসের হাতে বন্দী রয়েছে ইসরাইলী নারী যোদ্ধা। হামাস চাপ প্রয়োগ করে এবং এই ইসরাইলী নারী যোদ্ধাকে বাধ্য করে সেই গোপন সংকেত ব্যবহার করে তার কমান্ডারকে বলে যে সে অনেক গোপনে অনেক কষ্ট করে হামাসের হাত থেকে পালিয়ে অমুক জায়গায় অপেক্ষা করছে, তাকে হেলিকপ্টারে করে যেন উদ্ধার করা হয়। তখন ওই স্থানে ইসরাইলী ওই নারী যোদ্ধার বদলে বরং হামাসের আল-কাসেম ব্রিগেডের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ ত এক নারী মুজাহিদিনকে ইসরাইলী ওই নারীযোদ্ধার পোশাক, ব্যাচ পরিয়ে রাখা হয়। ইসরাইলী ওই নারী যোদ্ধার গোপন সিগন্যাল সংকেত এবং সামরিক কোড নাম্বার সবকিছু জেনে নেন ওই ফিলিস্থিনি মুজাহিদিন বোন।
উল্লেখ্য এই বোন ইসরাইলী হিব্রু ভাষায় খুবই পারদর্শী। ইসরাইলী হেলিকপ্টার বাহিনী তাঁকে উদ্ধার করতে আসে এবং তখন এই মুজাহিদিন বোন নিজের ব্যাচ, সিক্রেট সিগন্যাল এবং কোড নাম্বার বলতে পারেন, তাতে হেলিকপ্টার বাহিনী এটি তাদের হারিয়ে যাওয়া সেই নারী যোদ্ধা ভেবে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সেনা ক্যাম্পে।
উল্লেখ্য, হামাস আবিষ্কার করেছে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর এক ইউনিটের মানুষ অন্য ইউনিটকে চিনে শুধুমাত্র ওই কোড নাম্বার আর ব্যাচ দিয়ে। এই মুজাহিদিন বোন কৌশলের অংশ হিসেবে লোক দেখানোর জন্য ইহুদি স্টাইলে প্রার্থনা- ও করে সেনা ক্যাম্পে। ইসরাইলী বাহিনী বুঝতে- ও পারিনি যে এটা আসলে হামাসের মুজাহিদিন। ইসরাইলী বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত এবং সম্মান ব্যাচ পরানোর জন্য তার কাছে নিয়ে আসতে বলে। আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন এই মুজাহিদিন বোন। যখন-ই তিনি কনফার্ম হন যে এইটা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার, তখন-ই তাঁর কাছে যে ইসরাইলী আধুনিক অস্ত্র ছিলো সেটা দিয়ে হামলা চালান, আর সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই কমান্ডার। তাঁর দেহরক্ষী ৯ সৈন্য তখন গুলি চালায়, কিন্তু তাদের গুলি চালানোর পূর্বেই আরও তিন সৈন্যকে ঘায়েল করে এই ফিলিস্থিনি মুজাহিদিন বোন। আর এর পরপর-ই সকল ইসরাইলী সেনা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাঁকে এবং তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
উল্লেখ্য, এই নারী মুজাহিদিন বোন আগে থেকেই জানতেন যে তিনি ওখান থেকে জীবিত ফিরে আসতে পারবেন না। যখন তিনি শেষ বিদায় দেন তাঁর স্বামীকে, যিনি হামাসের আরেকজন যোদ্ধা, তখন তিনি বলেন, "দেখা হবে জান্নাতে। আমি একটু আগে গেলাম, তুমি এসো, তোমার অপেক্ষায় তোমার এই প্রিয় স্ত্রী ওখানে অপেক্ষা করবে।"স্বামী তাঁর কপালে শেষ চুম্বন করেন আর বলেন "আল্লাহ তোমাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন আর যখন আল্লাহ তোমার সাথে সাক্ষাত করে তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে তুমি আর কি চাও, তখন আল্লাহর কাছে বলো, ও আল্লাহ আমার স্বামীকে তুমি শহীদ হিসেবে কবুল কর !
সূত্র : কুদসএন ওয়েবসাইট
বিষয়: বিবিধ
১৪২৪ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আমাদের সবার ঈমানকে এভাবে খাটি ও বৃদ্ধি করে দিন.
@ ম্যাম সন্ধ্যাতারা
আপনি আমাকে ব্লক করেছেন , আবার আপনার পোস্ট পড়ার আমন্ত্রনও জানাচ্ছেন! ব্যাপারটা কি ?
যেহেতু আপনার পোস্টে আমি ব্লকড্ তাই অন্যের পোস্টে এসে আপনাকে জানাতে বাধ্য হলাম ।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এই যুদ্ধের কাহিনী পরবর্তীতে খুঁড়লে অনেক বীরত্বগাঁথাই বের হয়ে আসবে। কয়েকটি ইতোমধ্যে চলেও এসেছে। তাই হামাসের বীরত্বের প্রচারের জন্য কোন বানোয়াট কাহিনী প্রচারের প্রয়োজন নেই, বরং এসব বানোয়াট ভিত্তিহীন জিনিসের প্রচারের মাধ্যমে আমরা নিজেদের অজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছি আর আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরও অপমান করছি...
বিস্তারিতঃ http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/34/89052
মন্তব্য করতে লগইন করুন