শয়তানের পশ্চাৎদেশে কিক করেন যত জোরে পারা যায়

লিখেছেন লিখেছেন বান্দা ০১ জুন, ২০১৩, ১১:৫৭:৫৫ সকাল

আমার এই ছোট্ট লেখাটা মনে হচ্ছে জরুরী। আমি এটাকে মাত্র এক দিকেই ব্যবহার করলাম। সেটা হল এই ব্লগ।

আপনারা লক্ষ্য করেছেন বা আপনাদের অভিজ্ঞতা আছে। কেউ ভাল বললে আপনাদের ভাল লাগে আর খারাপ বললে খারাপ অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এটা আমাদের বৈশিষ্ট্য। আপনি কোনো সত্য উপস্থাপন করলে কেউ যদি সেটাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে তাহলে আপনার মন ভেঙ্গে যায়। আপনি নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন এবং মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। সকলের মাঝেই এই অনুভূতির সৃষ্টি হয়। রসূল(সাঃ) যখন সত্য দ্বীন নিয়ে আসলেন ,তখন তাকে পারিবারিক,সামাজিক চাপ সহ্য করতে হয়। আত্মীয় স্বজন তাকে কোনঠাসা করে,চাপ দেয়,বয়কট করে,গালি দেয়,নির্যাতন করে,কুৎস্যা রটায় এবং নানান ধরনের অত্যাচার করে। ফলে তিনিও ভেঙ্গে পড়তেন কিন্তু স্বয়ং আল্লাহ তাকে সান্তনা দেন। ফলে তিনি সেসবকে জয় করতে সক্ষম হন। আর আমাদের জন্যেও আদর্শ হল এ সমস্ত সময় আল্লাহর ওপর নির্ভর করা এবং সকল শয়তানকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে সামনে এগিয়ে যাওয়া

যে বিষয়ে আলোচনা করছি তা অনেক দিকে নেওয়া যায় কিন্তু আগেই বলেছি শুধু ব্লগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখব। এখানে কেউ ইসলাম নিয়ে লিখলে এক মেয়ে যে কোনোভাবেই হোক সেখানে খারাপ কিছু কথা বলবেই এবং লেখককে আক্রমন করবেই। এতে লেখকের কষ্ট হতে পারে এবং এমনও হতে পারে,সে ওই সমালোচনাকারী বা আক্রমনকারীর হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যে সত্য যথাযথভাবে প্রকাশ করতে কুন্ঠিত হবে। সর্বদা তার মাথায় একটা চিন্তা ভর করতে পারে,এভাবে লিখলে সে গালি দিবে আর ওভাবে লিখলে সে হয়ত কিছু বলবে না। এটা হল নফস। নফস মানুষকে এভাবে ভাবায়। এতে শয়তান খুশী হয়। আমাদেরকে আরও একবার চিন্তা করতে হবে যে,আমার সকল কাজ কার উদ্দেশ্যে ? যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হয় তবে এই চিন্তাকে বাদ দিতে হবে। কারন শয়তান বিভিন্নভাকে ধোকা দিয়ে থাকে। শয়তানের রং বোঝা কষ্টকর। তাই কেউ যত গালিই দিক,আপনি ভীত সন্ত্রস্ত হবেন না। আপনি ধৈর্যহারা হবেন না। শয়তানের বানী যত খারাপই হোক গায়ে মাখবেন না। এবং তাকে প্রত্যাখ্যান করবেন।

আপনি যদি শয়তানের সমালোচনার পাত্র হন তাহলে আপনি ঠিক আছেন। নিজেকে মাপতে হবে শয়তানের আচরন দিয়ে। সে খুশী হলেই বুঝবেন আপনার সর্বনাশ হয়েছে। এ জন্যে নির্ভিকভাবে সত্য প্রকাশ করবেন। শুধু আল্লাহকেই পরোয়া করবেন। শয়তানের সাথে আপোস করবেন না। মনে রাখবেন শয়তান আপনার ক্ষতি করতে পারবে না,যদি আল্লাহ আপনার পক্ষে থাকে। বরং শয়তানের তিক্ত ভাষাই মুমিনের কাছে মধুর,কারন এর অর্থ হল আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট। সর্বদা নিজেকে বিশ্লেষন করতে হবে,আত্মসমালোচনা করতে হবে এবং শয়তানের পশ্চাৎদেশে কিক করতে হবে যত জোরে পারা যায় !!!

বিষয়: বিবিধ

১৯১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File