আমর বিন আস(রাঃ)
লিখেছেন লিখেছেন বান্দা ২৩ মে, ২০১৩, ১০:১৪:৪৫ সকাল
আজনাদাইনের যুদ্ধে পরাজিত রোমক বাহিনীকে তাড়া করে মুসলিম বাহিনী। রোমক বাহিনী একটি সরু সেতু পার হয়ে ওপারে চলে যায়। ওপারে গিয়ে তারা শেষবারের মত লড়াই করতে প্রস্তুত হয়। মুসলিম বাহিনীর কিছু সদস্য সরু সেতু পার হতে গিয়ে আক্রান্ত হয় এবং প্রথম পর্বে কমান্ডার হযরত আমর বিন আস(রাঃ)এর ভাই হিশাম বিন আস(রাঃ) শত্র“ কর্তৃক শাহাদাহ লাভ করেন। কিন্তু তিনি সেই সরু সেতুটির ওপর পড়ে থাকলে মুসলিম ঘোড় সওয়াররা থেমে যায় কারন একজন সম্মানিত সাহাবীর লাশ মাড়ানো ঠিক হবে কিনা সেটা তারা চিন্তা করছিলেন,তাছাড়া তিনি স্বয়ং কমান্ডারের ভাই।
বিষয় বুঝতে পেরে আমর বিন আস হুঙ্কার ছেড়ে বললেন,সামনে এগিয়ে যাও। হিশামের আত্মা আল্লাহর কাছে চলে গেছে ,তোমরা তার ওপর দিয়েই ঘোড়া ছোটাও। মুসলিম সৈন্যরা হিশামকে মাড়িয়ে সেতু পার হল এবং ওপাশে কচুকাটা করে পুরোপুরি বিজয় অর্জন করল। যুদ্ধ মেষে আমর বিন আস(রাঃ)তার ভাইয়ের খতবিক্ষত লাশ নিজহাতে দাফন করলেন। ২য় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ)তাকে ইরাকের গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ করেন।
রসূল(সাএর জীবদ্দশায় মুসাইলামা নামক এক ব্যক্তি নিজেকে নবী বলে দাবী করে। সেসময়ে হযরত আমর বিন আস ইসলাম গ্রহন করেননি। তিনি একদিন মুসাইলামার সাথে দেখা করলেন। তাদের পারষ্পরিক জানাশোনা ছিল। মুসাইলামা আমরকে জিজ্ঞেস করল-তোমাদের এলাকার সেই নবীর ওপর নতুন কোনো আয়াত কি নাযিল হয়েছে ? আমর তখন বলল-হ্যা সূরা আজর নাযিল হয়েছে-“মহাকালের শপথ ! নিশ্চয় সমগ্র মানব ক্ষতির মধ্যে রয়েছে,তারা ছাড়া যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে,পরষ্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং ধৈর্য্যরে উপদেশ দেয়।” এ আয়াত শুনে মুসাইলামা দীর্ঘক্ষন মাথা নীচু করে ভাবতে থাকলেন। এবং মাথা তুলে আমরকে বললেন,হুমম, আমার ওপরও এমন ধরনের আয়াত নাযিল হয়। মুসাইলামা আবৃত্তি করলেন-“হে খরগোশ ! হে খরগোশ ! তোর কি আছে ? দুটি কান এবং বুক ছাড়াতো সমগ্র দেহই তুচ্ছ এবং সাধারণ !”
মুসাইলামা আমরের দিকে গর্বভরে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল-কি ? কেমন অয়াত নাযিল হল ? অতি চমৎকার নয় কি ? আমর বিন আস বললেন, “মুসাইলামা-তুমি তো জান আমি তোমাকে মারাত্মক ধরনে মিথ্যাবাদী বলে জানি, শুধু শুধু এসব কেন বানাও ?”-
বিষয়: বিবিধ
২০০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন