হারাম অর্থে মসজিদের সৌন্দর্য
লিখেছেন লিখেছেন কায়সার আহমেদ (কায়েস) ২১ জুন, ২০১৬, ১২:৪২:২৩ রাত
ইসলাম আবির্ভাবের প্রায় ৫ বছর আগে কাবা ঘর পুনঃনির্মাণের প্রয়োজন দেখা দেয় পূর্বে ছাদ না থাকায় কাবা ঘরের ভিতরে সঞ্চিত সম্পদ চুরি হয়ে যেত অন্যদিকে দেয়ালগুলোতে ফাটল ধরে গিয়েছিল ফলে বন্যার পানি ভিতরে প্রবেশ করত আর কাঠামো হয়ে গিয়েছিল দুর্বল। তাই কুরায়শরা একত্রিত হয়ে নীতি নির্ধারণ করল যে, কাবাঘর পুনঃনির্মাণ করার জন্য শুধু মাত্র বৈধ (হালাল) অর্থ-সম্পদ ব্যবহার করা হবে। তাই বেশ্যাবৃত্তির অর্থ, সুদের অর্থ ও অন্যের হক নষ্ট হয়েছে এমন টাকা ব্যবহার করা যাবে না। এতে এক সময় হালাল টাকার ঘাটতি হলে বাধ্যহয়ে উত্তর দিক থেকে ৯ ফিট পর্যন্ত কমিয়ে দেয়া হল।
জাহিলিয়াতের যুগে মক্কার কাফির মুশরিক সরদাররাও আল্লাহর ঘর নির্মাণে হারাম টাকা ব্যবহার করেনি। বরং টাকার ঘাটতি থাকায় কিছু অংশ ছেরে দিয়েছিল। আর অন্যদিকে আজ মুসলিমরা, আল্লাহর রাসুল (সা) এর অনুসারীরা সেই মহান আল্লাহর ইবাদতখানা মসজিদ নির্মাণে ও সাজাতে নিশ্চিন্ত ভাবে হারাম টাকা ব্যবহার করে যাচ্ছে। সুদ, ঘুস, অন্যের হক নষ্ট, চাঁদাবাজি, জোর জুলুম ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জিত টাকা মসজিদ নির্মাণে দিয়ে যাচ্ছে। মসজিদের নির্মাণ হয়েগেলেও বিলাসিতা ও সৌন্দর্যের নামে দামি মারবেল, এসি বিশাল ঝাড়বাতি ইত্যাদি খাতে হারাম টাকা দিয়ে মসজিদের শোভাবর্ষণ করতে একটুও ভাবছে না। জাহিলিয়াতের যুগেও তারা আল্লাহর আযাবের ভয় পেয়েছিল। আর আজ আমরা আযাব না আসা সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হয়ে আছি। আমাদের উদ্দেশ্য হল মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা এতে কিসের টাকা ব্যবহার করা হল কোন ধরনের লোক টাকা সরবরাহ করলো তার উপার্জনের সোর্স কি এই সব খোঁজ করার কোন গুরুত্ব নেই।
“অচিরেই তোমরা মসজিদগুলোকে ইয়াহুদি-নাসারাদের মত কারুকার্য করে গড়ে তুলবে” (আবু দাউদ- ৪৪৮) আর মসজিদ সুসজ্জিত করতে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠবে (আবু দাউদ- ৪৪৯)
This is the age of Dajjal
বিষয়: বিবিধ
১৪১৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধু তাই ই নয় - এটা একই সাথে ইয়াজুজ-মাজুজ, দাব্বাতুল আরদ এর যুগ ও বটে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন