ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিঃ ফিরাউনের লাশ ও পশ্চাদবর্তী যায়নিস্ট বাহিনী
লিখেছেন লিখেছেন কায়সার আহমেদ (কায়েস) ২৭ মে, ২০১৬, ০৭:২৫:০০ সন্ধ্যা
►১৮৯৭ সাল সুইজারল্যান্ডে প্রথম যায়নীস্ট কংগ্রেসের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদের উদ্দেশ্য ছিল ইয়াহুদীদেরকে ফিলিস্তিনে ফিরিয়ে নিয়ে ইসারাইল নামক দেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, আর এটা করতে হলে কি কি করতে হবে তা নিয়ে এই মিটিং। সিদ্ধান্ত হয় কিভাবে বিশ্বযুদ্ধ বাধাতে হবে, মুসলিম খিলাফত ধ্বংস করতে হবে, অর্থডোক্স খৃষ্টানিটী কে ধ্বংস করে এক নাস্তিক কম্যুনিস্ট সোভায়েত কায়েম করতে হবে, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক দিয়ে পুরো বিশ্ব কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে এই সকল কিছু হলো তাদের উদ্দেশ্যে অর্জনের এক এক ধাপ।
যায়নিস্টরা ইয়াহুদী দের জন্য খুব ভালো কিছু করতে যাচ্ছে কিন্তু খুব আশ্চর্য বিষয় হলো কোন ইয়াহুদি এই যায়নিস্ট ও এই কংগ্রেস কে ভালো চোখে দেখেনি বরং এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। ইয়াহুদীরা কখনো যায়নিস্টদের সাপোর্ট করেনি তবে যখন তাদের উপর হলোকাস্ট হল অর্থাৎ হিটালার কর্তৃক ৬০ লক্ষ বেচারা ইয়াহুদি মারা গেল তখনি তারা যায়নিস্টদের না পেরে সাপোর্ট করলো কিংবা করানো হলো। তো পুরো বিশ্বকে বদলে দিবে সেখানে এমন পরিকল্পনা হলো আর পরে আবারো ১৯০৩ সালে মিটিং হবে নির্ধারণ করে ৩ দিনের সেই মিটিং শেষ হলো।
►এক বছর পর ১৮৯৮ সাল, পশ্চিমা প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ স্যার গ্রিফটন ইলিয়ট ও তার ৫ জন সহযোগী মিলে ‘মিসরে ভেলি অফ দ্য কিংস’ অঞ্চলে কিং হাতিব ২ এর কবর খুঁজে পেল। সেই কফিনের পাশে আরো একটা ছোট কফিন ছিল। তারা সেটা খুলে দেখল তাতে নাম লেখা ছিল-ফারাও মারনেপথ। তারা বেশ অবাক হল, লাশ টা অন্যান্য সকল লাশ থেকে আলাদা। কারন সেখানে এমন দেহ ছিল যেটাতে কোন পচন ধরেনি আর পুরো শরীর লবন দিয়ে বরফের মতন জমানো ছিল। পরে গবেষণায় দেখা গেল যে সমুদ্রে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছিল আর এই কারনেই শরীরে লবন পাওয়া যায়। নাকের দিকে কিছুটা আছর কাঁটা ডাগ ছিল যাতে বুঝা গেল কোন সামুদ্রিক প্রাণী দেহ কে খেতে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু খেতে পারেনি। কারন আল্লাহ তার দেহের হেফাযত করেছিলেন।
দেহটি ছিল ফারাও রামেসিস ২ এর। মুসা (আ) এর পিছনে লোহিত সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় আল্লাহ তাকে ডুবিয়ে মেরে ছিলেন। তবে সে যেহেতু আল্লাহ্র অবাধ্যতাই সকল সীমা অতিক্রম করেছিল তাই তখন আর বাঁচার উপায় পেয়ে-
“এমনকি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল,তখন বলল,এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে,কোন মা’বুদ নেই তাঁকে ছাড়া যাঁর উপর ঈমান এনেছে বনী-ইসরাঈলরা। বস্তুতঃ আমিও তাঁরই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা ১০:৯০)
আল্লাহ তখন বললেন,
“এখন একথা বলছ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-ফরমানী করছিলে। এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে।” (সূরা ১০:৯১)
তারপর কুরআন ও ইসলামের সত্যতার পুরো নজির কায়েম হয়েছিল যখন মানব সভ্যতা দেখছিল ৩১১৬ বছর আগে ডুবে যাওয়া ফিরাউনের লাশ অক্ষত আছে তা ১২০০ বছর পূর্বেই কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছিল।
“অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।” (সূরা ১০:৯২)
তো আল্লাহ তার দেহ কে সংরক্ষণ করলেন তাই মাছেরা তাকে খেতে পারেনি, কালের বাতাস তার পচন ঘোটায়নি। কেন? শুধু তাদের জন্য যারা পৃথিবীতে এক মহা ফিতনা কায়েম করে ফিরাউনের পিছনে আসছে। ফিরাউন যা করেছিল তারাই তাই করার জন্য একত্র হয়েছে আর ফিরাউনের পশ্চাদবর্তী হয়েছে। আর লাশ পাওয়ার সেই দিন থেকেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হওয়া শুরু।
►►এরা হল সেই যায়নিস্টরা যারা তার পেছনে ছুটছে আর তাদের মিটিং এর পর পরেই আল্লাহ তাদের জন্য নিদর্শন স্বরূপ ফেরাউনের দেহ কে তাদের জন্য প্রকাশ করেছে। কিন্তু তারা আল্লাহর সেই নিদর্শন কে অবজ্ঞা করে তাদের মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে একের পর এক এখন মহাফিতনার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে পুরো মানব সভ্যতা কে। তাদের মাসিহা দাজ্জাল কে স্টেজে বসাতে যাচ্ছে। ফিরাউন কে আল্লাহ যেভাবে এক ইয়াহুদী নবীর মোজেজায় ধ্বংস করেছেন তেমনি ভাবে দাজ্জাল কে আরেক নবীর মোজেজায় ধ্বংস করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৮৩০ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সূরা ফাতেহা তে এদেরকেই অভিশপ্ত বলা হয়েছে ।
কুল্লু হিজবিম বিমা লাদাইহিম ফারিহূন!!
পড়লাম, দোয়া করি, জাযাকাল্লাহ..
রমজান নিয়ে ব্লগীয় আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। অংশ নিতে পারেন আপনিও। বিস্তারিত জানতে-
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন