নারী-পুরুষ ও রাত-দিন
লিখেছেন লিখেছেন কায়সার আহমেদ (কায়েস) ২২ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:৫৭:০৪ রাত
আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতা আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে যে, নারী ও পুরুষ সমান। নারী-পুরুষ একে অপরের সহযোগী নয় বরং প্রতিযোগী। অথচ নারী ও পুরুষের শারীরিক গঠন, মানসিক বিকাশ ও সর্বপরি তাদের কর্ম বা Function সবই আলাদা। আল্লাহ্ নির্ধারণ করে দিয়েছেন পুরুষ ও নারী দের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট ও কাজের ধরন।
পবিত্র কুরআনে সূরা লাইলে রাত ও দিন এবং নারী ও পুরুষের জন্মের কসম খাওয়া হয়েছে। সেখানে বুঝানো হয়েছে রাত ও দিন এবং পুরুষ ও নারী পরস্পর থেকে ভিন্ন এবং তাদের প্রত্যেক জোড়ার প্রভাব ও ফলাফল পরস্পর বিরোধী।
রাত ও দিন যেভাবে একসাথে মিলে একটা পরিপূর্ণ দিবস হয় ঠিক তেমনি নারী ও পুরুষ এক সাথে মিলে একটা সুন্দর যুগল হয়। দিনের সাথে পুরুষের বৈশিষ্ট ও রাতের সাথে নারীর বৈশিষ্টের মিল রয়েছে যেমন দিন হল রোদ্রজ্জোল কঠিন, মানুষকে ক্ল্যান্ত করে দেই ঘামিয়ে দেই, আর প্রক্ষান্তরে রাত হল সুন্দর, মনোরম, কমল, শিতল, শান্তি, দিনের কাঠিন্য কে নির্মল করে দেই এমন। দিনের শেষে সূর্য আস্তে আস্তে ডুবে যেমন সারাদিনের কঠোর পরিশ্রম শেষে পুরুষ নিস্তেজ হয়ে যায় নিজেকে সপে দেয় শান্তির রাতের (নারীর) পরিবেশে। আর যখন রাত শেষে সূর্য উদয় হয় তখন তা আর ধীরে ধীরে উঠে না, (যেন মনে হয় সে উঠতে চাচ্ছে না শান্তির নীড় থেকে) তাই একবারেই প্রকান্ড বিস্ফোরণে উঠে পুরো বিশ্ব কে আলোকময় করে দেই।
পবিত্র কুরআনে বর্ণীত রাত-দিনের বৈশিষ্টের সাথে নারী-পুরুষের বৈশিষ্ট মিলিয়ে দেখি-
এই সকল আয়াতে রাত ও দিনের কর্ম তুলে ধরা হয়েছে
তিনিই তো তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছেন আবরণ, নিদ্রাকে বিশ্রাম এবং দিনকে করেছেন বাইরে গমনের জন্যে। (Al-Furqaan: 47) তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্যে রাত ও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম গ্রহণ কর ও তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (Al-Qasas: 73) তিনি তোমাদের জন্য তৈরী করেছেন রাত, যাতে করে তোমরা তাতে প্রশান্তি লাভ করতে পার, আর দিন দিয়েছেন দর্শন করার জন্য। নিঃসন্দেহে এতে নিদর্শন রয়েছে সে সব লোকের জন্য যারা শ্রবণ করে। (Yunus: 67) তিনি তোমাদের জন্য তৈরী করেছেন রাত, যাতে করে তোমরা তাতে প্রশান্তি লাভ করতে পার, আর দিন দিয়েছেন দর্শন করার জন্য। (Yunus: 67)
এই সকল আয়াতে রাত ও দিনের পরস্পরের সাথে সম্পর্কের প্রকাশ পাচ্ছে
তিনি পরিয়ে দেন রাতের উপর দিনকে এমতাবস্থায় যে, দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। (Al-A'raaf: 54) আল্লাহ রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাত্রির মধ্য দাখিল করেদেন। (Al-Hajj: 61) তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে। (Ar-Ra'd: 3) সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। (Yaseen: 40)
এই আয়াতটা কি সুন্দর করেই না নারীপুরুষের সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহু আকবার
তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই নিষ্প্রাণ বস্তু হতে প্রাণবান বস্তু বের কর এবং প্রাণবান থেকে নিষ্প্রাণ বস্তু বের করাও। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর। (Aali Imraan: 27)
রাত ও দিনের সম্পর্কের ফলে যদি কোণ প্রাণের সৃষ্টি হয় আল্লাহ তাকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী রিযিক দান করেন। পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে তার রিযিক নির্ধারণ হয়না।
বিষয়: বিবিধ
১৮১৬ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পড়লাম, দোয়া করি,
স্মরণ করিয়ে দিলেন,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ..
আপনাকেও ধন্যবাদ । ওয়া ইয়্যাক
মন্তব্য করতে লগইন করুন