|||||||||||||||||||||| সরি বাংলাদেশ ও টিনের চশমা |||||||||||||||||||||

লিখেছেন লিখেছেন একলা মানুষ ১৪ মে, ২০১৩, ০২:০৬:২৮ দুপুর

সরি বাংলাদেশ!

সরি বাংলাদেশ ডায়লগটা কেন জানি আমাদের পরিচিত। ছোটবেলায় সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে পাকিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শানে নুযুল যখন পড়তাম সেখানে “ পাট ” নামক সোনালী আশের কথাও পড়তাম। এই সোনালী আশের আয়ের মুখ্যভাগই পাকিরা নিয়ে যেত। অথচ তখনকার বাংলাদেশীদের অর্থনেতিক ভিত্তির প্রধান অংশ ছিল এই পাট। এই ধরনের অনায্যতা থেকে বাচতে বাংলায় স্বাধীনতা আসল সাথে পাটের ভাগ্যেরও পরিবর্তন হল। হে আসলেই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। তবে তা উলটা হল আগে বিদেশ বিভুইয়ে রপ্তানি হত স্বাধীনতার পরই তা কমা শুরু হল। কারন আমাদের অসর্তকতা এবং অসততা। সোনা জিনিষটা এমনিই ভারী এইটার সাথে সিলিকা মিশিয়ে ভারী করার কিইবা দরকার ছিল। এই সোনা হচ্ছে সেই সোনালি আশ পাট। যারা এই অসততা নজরদারি করবে ওরা আর কিইবা নজরদারি করবে। কারন তখনকার যুগেতো গ্লাসের চশমা ছিল না । তাই সবাই তখন টিনের চশমা পড়ে কেমনে পাটের বাজার ইন্ডিয়াকে দেয়া যায় ঐধরনের পত্রজারী নিয়ে ব্যস্ত থাকত। গেল গেল বলে রব উঠল কিন্তু ততদিনে পাটের বাজার ইন্ডিয়া নিয়ে গেল। অর্থ্যাৎ যে বিদেশীরা এই সোনা আমদানি করত তারা সাফ জানিয়ে দিতে লাগল “ সরি বাংলাদেশ ” ওপারের ওদেরকে জানাল “ ওয়েলকাম ইন্ডিয়া ”।

সরি বাংলাদেশ!!

আরেক সোনা হল চিংড়ি । এই সোনাও যথেষ্ট ওজনদার। না এই ওজনে আমাদের হবে না আরও ওজন হতে হবে। এইবার কেমনে ওজন বাড়ানো যাই আগেরবারতো সিলিকা দিয়ে ধরা এইবার ঐটা করা যাবে না তাইলে লোহা দিতে হইব। সোনার সাথে লোহাও ফ্রি । সাদা চামড়ারা এই ফ্রি লোহাসহ কিনল। তেলে ভাজল এবং না চিবিয়ে গিলল। যা হবার তাই হল। না লোহার যে দাম এতে বাংলাদেশীরা সোনার সাথে লোহা ফ্রি দিতেছে তাইলে নিশ্চয় এই সোনার কোনো সম্যসা আছে। তাই এবারও “সরি বাংলাদেশ ”। তখনও এই দেশে গ্লাসের চশমা আসেনি।

সরি বাংলাদেশ!!!

এই যুগের সোনার কথাও সবাই জানি। পোশাক শিল্প । একে একে পোশাক শিল্পগুলো বন্ধ হল ও হচ্ছে। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বিবৃতি বা মাথাব্যথা নাই। তবে হে বিজিএমই নামক এলিট শ্রেণী গোলযোগপূর্ণ পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিল। স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন সামনে চলে আসল এই গোলযোগ কি শ্রমিকরাই তৈরী করছে? এইখানে কি অন্য কারোই হাত নাই? অথচ গোলযোগ সেই ২০০৬ সাল থেকে দেখেই আসছি।

এইটা সম্বন্ধে আর কিছু বলার নাই কারন সবাই জানি জং-গং মিলে এখন এই শিল্পকে যে অবস্থাই নিয়ে দাড় করাইছে এতে আবারও শুনতে হচ্ছে “সরি বাংলাদেশ ”।

||||||| এই বাংলা আর গ্লাসের চশমা নামক অমূল্য রতন দেখল না।|||||||

বিষয়: বিবিধ

১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File